জিয়া হায়দার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। শিশু থাকতে তিনি পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে, বেড়ে ওঠেন হতদরিদ্র এক ভাঙা দালানে, পরে সরকারের দেওয়া কাউন্সিল এস্টেটের ছোট চার দেওয়ালের মাঝে তার বাস-কন্ডাক্টর বাবা ও সেলাইয়ের কাজ করা মায়ের সঙ্গে। এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যালিওল কলেজ থেকে ফার্স্ট ক্লাস অনার্স ডিগ্রি নিয়ে তিনি উচ্চতর পড়াশোনা শেষ করেন ক্যামব্রিজ, মিউনিখ ও ইয়েলে। কর্মজীবনে তিনি ওয়াল স্ট্রিটে গোল্ডম্যান স্যাকস্-এর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ছিলেন, পরে কাজ করেছেন কর্পোরেট আইনজীবী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজ্ঞ, এবং ঢাকার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে দুর্নীতি দমন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবেও। ২০১৪ সালে প্রকাশিত এ-উপন্যাস তাঁর প্রথম লেখা, যা তাকে সরাসরি জায়গা করে দেয় বিশ্বাসাহিত্যের মূল মঞ্চে। ২০১৫-র আগস্টে উপন্যাসটি বৃটেনের প্রাচীনতম সাহিত্য পুরস্কার ‘জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল প্রাইজ ২০১৪’ লাভ করে। এছাড়া এটি মনোনয়ন পায় গোল্ডস্মিথ প্রাইজ, স্পেকসেভারস্ ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ডস এবং দি গার্ডিয়ান ফার্স্ট বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্যও। আবার ২০১৬-তে এসে এ-উপন্যাসের ব্যতিক্রমী শক্তির জন্য রহমান লাভ করেন প্রথম ‘ইন্টারন্যাশনাল রানাল্ড ম্যাকডোনাল্ড’ পুরস্কার। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাডক্লিফ ফেলো এবং বিবিসি রেডিও ফোর-এর ‘এ পয়েন্ট অব ভিউ’ অনুষ্ঠানের নিয়মিত কণ্ঠ। হার্ভার্ডের র্যাডক্লিফ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট মতে রহমান এখন ব্যস্ত তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাসের কাজ নিয়ে, যার প্রাথমিক নাম ‘ক্রিয়েশন’।