রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর―বিংশ শতাব্দীর একজন বিশ্ববিখ্যাত লেখক, কবি ও গীতিকার এবং নোবেল বিজয়ী প্রথম বাঙালি। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ থেকে শুরু করে ছড়া, কবিতা, গান, চিত্রকলা পর্যন্ত সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। এমনকি বাদ যায়নি ভ্রমণসাহিত্য এবং অভিনয়ও।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ মে ১৮৬১ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ ঠাকুরবাড়ির পরিবেশে মননশীলতা ও সূক্ষ্ম কল্পনাশক্তি নিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
ছাপার অক্ষরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বনামে প্রকাশিত প্রথম কবিতা হলো ‘হিন্দু মেলার উপহার’। তাঁর প্রকাশিত প্রথম ছোটগল্প হলো ‘ভিখারিণী’ এবং প্রথম উপন্যাস ‘করুণা’। ১৯১৩ সালে তিনি ‘গীতাঞ্জলি’র জন্য সাহিত্যে নোবেল পান। ‘গীতাঞ্জলি’ তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি। এছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১৪ সালে তিনি ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু উপন্যাস হলো ‘শেষের কবিতা’, ‘নৌকাডুবি’, ‘চোখের বালি’, ‘গোরা’ ইত্যাদি। ‘কাবুলিওয়ালা’ ও ‘ছুটি’ তাঁর বিখ্যাত ও সমাদৃত দুটি গল্প।
রবীন্দ্রনাথের একক চেষ্টায় বাংলা ভাষা সকল দিক দিয়ে পরিপুষ্ট হয়ে বিশ্ব দরবারে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করে নেয়। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা তিনি। এমন নজির আর কোথাও দেখা যায়নি।
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট বিশ্ববিখ্যাত এই লেখক মৃত্যুবরণ করেন।