শাদা একটি ঘোড়া। দাঁড়িয়ে আছে ঘোর কুয়াশার ভেতরে। যেন সে কুয়াশা দিয়েই তৈরি। এক পা তুলে আছে। যেন এক্ষুনি সে ছুটে যাবে। অথবা ছুটে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে। কুয়াশায় শাদা ঘোড়া! কুয়াশা নয়, স্বপ্নে আমি জোছনা আর কুয়াশা এক করে ফেলেছি। ওটি জোছনাই। সেই জোছনা! সেই পূর্ণিমার জোছনা রাতে টগরের হাতখানি হাতের ভেতরে নিয়ে চাঁদের দিকে আমাদের দুজনের অপলক তাকিয়ে থাকা। ঘোড়াটিও আমাদেরই মতো স্বপ্নবিহ্বল হয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিলো পা তুলে। আজ রাতে স্বপ্নটা যদি ফিরে আসে, হয়তো দেখবো পা নামিয়ে নিয়েছে, ঘোড়াটি চলতে শুরু করেছে…
জন্ম : ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ জন্মস্থান : কুড়িগ্রাম, বাংলাদেশ পিতা : ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন মাতা : সৈয়দা হালিমা খাতুন শিক্ষাজীবন : কুড়িগ্রাম ও ঢাকা, মানবিক শাখা, বিজ্ঞান শাখা এবং ইংরেজি ভাষা সাহিত্য পেশা : লেখা প্রিয় : বই ও ভ্রমণ গ্রন্থ সংখ্যা : কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কাব্যনাট্য, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ মিলে দুইশ’র অধিক পুরস্কার : কবিতায় আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ছোটগল্পে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সমগ্র সাহিত্যকর্মের জন্যে বাংলাদেশের প্রধান পুরস্কারসমূহের মধ্যে_নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ্ স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, পদাবলী পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক স্ত্রী : আনোয়ারা সৈয়দ হক সন্তান : বিদিতা সৈয়দ হক দ্বিতীয় সৈয়দ হক বসবাস : ঢাকা ও লন্ডন
আমার মাকে আজ মাটি দিয়ে ফিরলাম। গর্ভে তিনি ধরেছিলেন। কতনা দুঃখের সহন তাঁর গেছে আমাকে নিয়ে। বুঝি তাঁর জীবনকে নিয়েই! যে-জীবনের ছবি এখন আমি একটু একটু করে গড়ে তুলছি। আমি জানি এখন হবে এই আমার কাজ। তাঁর জীবনের গল্পটা শেষ পর্যন্ত যে আমারই গল্প হয়ে উঠবে, এটিও এখন আমি অনুমান করে উঠছি। মায়ের মৃত্যুর আগে প্রায় এক মাস যাবত বারেবারেই আমি একটি স্বপ্ন পাচ্ছিলাম প্রায় প্রতি রাতেই। শাদা একটি ঘোড়া। দাঁড়িয়ে আছে ঘোর কুয়াশার ভেতরে। যেন সে কুয়াশা দিয়েই তৈরি। এক পা তুলে আছে। যেন এক্ষুনি সে ছুটে যাবে। অথবা ছুটে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে। হয়তো আজ রাতে স্বপ্ন আবার পাবো। সেই স্বপ্ন। কুয়াশায় শাদা ঘোড়া! কুয়াশা নয়, স্বপ্নে আমি জোছনা আর কুয়াশা এক করে ফেলেছি। ওটি জোছনাই। সেই জোছনা! সেই পূর্ণিমার জোছনা রাতে টগরের হাতখানি হাতের ভেতরে নিয়ে চাঁদের দিকে আমাদের দুজনের অপলক তাকিয়ে থাকা। ঘোড়াটিও আমাদেরই মতো স্বপ্নবিহ্বল হয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিলো পা তুলে। আজ রাতে স্বপ্নটা যদি ফিরে আসে, হয়তো দেখবো পা নামিয়ে নিয়েছে, ঘোড়াটি চলতে শুরু করেছে।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “কুয়াশায় শাদা ঘোড়া” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.