কৃষ্ণাদশমী

পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ সাতটি তারার তিমির প্রকাশকের দপ্তরে চলে যাওয়ার পর কবি জীবনানন্দ দাশ পরবর্তী কাব্যগ্রন্থের কথা ভেবেছিলেন। ১৯৪৮-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি রোজনামচার খাতায় তিনি “কৃষ্ণা দশমী” নামে একটি কাব্যগ্রন্থের পরিকল্পনা করেছিলেন। এ-ও ভেবেছিলেন সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত হবে। হয়নি: প্রকাশিত হয়েছিল রূপসী বাংলা (প্রকাশকাল: ১৯৫৭) এবং বেলা অবেলা কালবেলা (প্রকাশকাল: ১৯৬১) তাঁর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর অনেক পরে। সেই কৃষ্ণাদশমী-ই অবশেষে প্রকাশ করা হলো।

৳ 550.00 ৳ 440.00

Out of stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Size

8.5 X 5.7

Weight

Price

Tk 550 US : $ 20 UK : £ 10

About The Author

ফয়জুল লতিফ চৌধুরী

ফয়জুল লতিফ চৌধুরী (১৯৫৯- ) সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয় রয়েছেন। সাহিত্য গবেষণা তাঁর প্রিয় ক্ষেত্র। তিনি জীবনানন্দ দাশের কবিতা ও অন্যান্য রচনা নিয়ে প্রায় তিন দশক যাবৎ গবেষণা করে চলেছেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা অগ্রণী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়, মনাশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স-এ অধ্যয়ন করেছেন। সাহিত্য ছাড়াও তিনি অর্থনীতি এবং ব্যবসায় প্রশাসন নিয়ে গবেষণা ও অধ্যাপনা করেন। তাঁর অন্যতম গ্রন্থ “করাপট্ ব্যুরোক্র্যাসি অ্যান্ড প্রাইভেটাইজেশন অব ট্যাক্স এনফোর্সমেন্ট” দুর্নীতির অর্থনৈতিক ব্যাখা সম্বলিত বহুল পঠিত গবেষণা গ্রন্থ। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও আংকটাডের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪-এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রতিবেদন “চটি সাহিত্যের পূর্ব পশ্চিম”। বর্তমানে তিনি বাংলা অভিধানে অসংকলিত বাংলা শব্দ নিয়ে গবেষণা করছেন।

পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ সাতটি তারার তিমির প্রকাশকের দপ্তরে চলে যাওয়ার পর কবি জীবনানন্দ দাশ পরবর্তী কাব্যগ্রন্থের কথা ভেবেছিলেন। ১৯৪৮-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি রোজনামচার খাতায় তিনি “কৃষ্ণা দশমী” নামে একটি কাব্যগ্রন্থের পরিকল্পনা করেছিলেন। এ-ও ভেবেছিলেন সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত হবে। “হয়নি” প্রকাশিত হয়েছিল রূপসী বাংলা (প্রকাশকাল: ১৯৫৭) এবং “বেলা অবেলা কালবেলা” (প্রকাশকাল ১৯৬১) তাঁর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর অনেক পরে। এ দুটি গ্রন্থ জীবনানন্দ নিজেই পরিকল্পনা করে গিয়েছিলেন। কৃষ্ণাদশমী-তে কোন কোন কবিতা অন্তর্ভুক্ত হবে তাও তিনি ভেবেছিলেন: চল্লিশটি কবিতার তালিকা যার শেষ পাঁচটি থেকে তিনি একটি মাত্র নিতে চেয়েছিলেন। সেই কৃষ্ণাদশমী-ই অবশেষে প্রকাশ করা হলো। তবে জীবনানন্দের অপ্রকাশিত ও অগ্রন্থিত কবিতাগুলো থেকে বেশ কিছু কবিতা জুড়ে দেয়া হলো যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত পান্ডুলিপি খাতার কয়েকটি কবিতা আগে কখনো ছাপা হয়নি বলে। জীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ের কয়েকটি কবিতাও সংযোজন করা হলো; সেই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ কবিতার সেই বারোটি কবিতা যেগুলো কোনো গ্রন্থে কোনো কালে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই সংযোজন জীবনানন্দকে নতুনভাবে উপস্থাপন করবে। সব মিলিয়ে কৃষ্ণাদশমী-তে কবিতার সংখ্যা দাঁড়াল ৮১।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কৃষ্ণাদশমী”

Your email address will not be published. Required fields are marked *