জমজমাট গায়েবানার হাজিরায় বাংলা ভাষার ছান্দিক বুননে হাজির করেছে এমন একজন বিশ্ববিখ্যাত কবির সৃষ্টিশীল মহাকাব্যিক চেতনাকে যার নাম মাহমউদ দারউইশ! আমরণ নির্বাসনেন্ত্রন্ত্রণায় দগ্ধ দেশহীন এই কবি আত্মরক্ষার সন্ধি রচনায় প্রবেশ করেছিলেন সীমারেখাহীন এমন এক কাব্যবিশ্বে যেখানে তাঁর উপলব্ধি বলেছিল- ভাষাই পারে কোনো বিলুপ্ত জাতিসত্তাকে তার অক্ষরে অক্ষরে মূর্তমান করে রাখতে, ভাষাই পারে প্রিয় স্বদেশ হতে বিচ্ছেদের দুঃখকে তাজা রাখতে। শুধু তাই নয়, তাঁর উপলব্ধি আরও বলেছিল – তাঁর পুরো জীবনকে কবিতায় প্রবেশ করালে তিনি পেয়ে যাবেন সেই দিব্যচোখ, যে চোখের দৃষ্টিসীমা সাধারণ দৃষ্টিসীমাকে অতিক্রম করে যায়। এই গ্রন্থপাঠের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের অনুবাদসাহিত্যের ইতিহাসকে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ ঘটল। কেননা, এই অনুবাদ-বিশ্লেষণ পাঠের মাধ্যমে যে-কোনো সাধারণ পাঠকের পক্ষেও উপলব্ধি করা সম্বব হবে যে, বাংলাদেশের অনুবাদক ইসফানদিয়র আরিওন আরবী ভাষায় অসাধারণ দক্ষতা ও পাণ্ণ্ডিত্য অর্জন করেছেন।
ইসফানদিয়র আরিওন প্রধানত বহুভাষিক। ভাষার হাত ধরেই সাহিত্য-সরস্বতীর বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন। ১৩ বছর বয়স থেকেই বিদ্যালয়ের পাঠের অন্তর্ভুক্ত নানান বিষয় ও গণিতকে আরবীতে রূপান্তর করতে করতে এবং নিজের তৈরি করা এক গোপন লিপির চর্চার ভেতর দিয়ে তাঁর বহুভাষিকতার গোড়াপত্তন। কোনো প্রতিষ্ঠানের ছায়া না মাড়িয়ে শিখেছেন চোস্ত আরবী, ফারসী, উর্দু ও হিন্দী। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিখেছেন জর্মন, ফরাসি, রুশ ও চীনা। হিবরু, ইউনানী, সংস্কৃত, পালি ও লাতিনের মতো ভাষাও তাঁর পাঠের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ছোটোকালেই ব্রাহ্মী, আভেস্তা, পাহলভী, নেওয়ারী, আরামীসহ পঞ্চাশের মতো লিপিপঠনে অভ্যস্ততা অর্জন করেন। প্রথম কবিতা রচনা আরবী ভাষায়। পরবর্তীতে ফারসী, উর্দু হয়ে মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চায় বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমির অনুবাদ, পাঠ্যপুস্তক ও আন্তর্জাতিক সংযোগ বিভাগে সহপরিচালক হিসেবে কর্তব্যরত।
জন্ম: ১১ আষাঢ়, ১৩৯২ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২৬ জুন, ১৯৮৫। পড়াশুনা: ঢাকা কলেজ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অণুজীব বিজ্ঞান); টে.উ. ইলমেনাউ, জর্মনমুলুক (DSH Biomedizinische Technik
প্রকাশনা: আরেক অহা (ঢাকা, ২০০৭)
তন্দ্রাভিভূত বিমর্ষ মৌতাত (কলকাতা, ২০১৬)
জমজমাট গায়েবানার হাজিরায় বাংলা ভাষার ছান্দিক বুননে হাজির করেছে এমন একজন বিশ্ববিখ্যাত কবির সৃষ্টিশীল মহাকাব্যিক চেতনাকে যার নাম মাহমউদ দারউইশ! আমরণ নির্বাসনেন্ত্রন্ত্রণায় দগ্ধ দেশহীন এই কবি আত্মরক্ষার সন্ধি রচনায় প্রবেশ করেছিলেন সীমারেখাহীন এমন এক কাব্যবিশ্বে যেখানে তাঁর উপলব্ধি বলেছিল- ভাষাই পারে কোনো বিলুপ্ত জাতিসত্তাকে তার অক্ষরে অক্ষরে মূর্তমান করে রাখতে, ভাষাই পারে প্রিয় স্বদেশ হতে বিচ্ছেদের দুঃখকে তাজা রাখতে। শুধু তাই নয়, তাঁর উপলব্ধি আরও বলেছিল – তাঁর পুরো জীবনকে কবিতায় প্রবেশ করালে তিনি পেয়ে যাবেন সেই দিব্যচোখ, যে চোখের দৃষ্টিসীমা সাধারণ দৃষ্টিসীমাকে অতিক্রম করে যায়। এই গ্রন্থপাঠের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের অনুবাদসাহিত্যের ইতিহাসকে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ ঘটল। কেননা, এই অনুবাদ-বিশ্লেষণ পাঠের মাধ্যমে যে-কোনো সাধারণ পাঠকের পক্ষেও উপলব্ধি করা সম্বব হবে যে, বাংলাদেশের অনুবাদক ইসফানদিয়র আরিওন আরবী ভাষায় অসাধারণ দক্ষতা ও পাণ্ণ্ডিত্য অর্জন করেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “জমজমাট গায়েবানার হাজিরায়” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.