প্রাচীন বিক্রমপুর আধুনিক বিক্রমপুর ও মহারাজা বল্লাল ওরফে নবাব আবুল ওরফে বাদশাহ মঙ্গৎ রায়
আধুনিক বিক্রমপুরের শুধু ভারত জোড়া খ্যাতি নয়, বিশ্বজোড়া খ্যাতিও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্রমপুর সম্বন্ধে বিশ্লেষণমূলক কোন ইতিহাস গ্রন্থ আজ অবধি রচিত হয়নি। আজ এটা দিবালোকের মতই পরিষ্কার যে খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের কীর্তিমান, কীর্তিলিপ্সু, প্রজারঞ্জক ও মহান নির্মাতা বল্লাল রাজার নামনিশানা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলার দুরভিসন্ধিতেই বঙ্গদেশের ‘আধুনিক বিক্রমপুর’-কে চিত্রিত করা হয়েছে বঙ্গের তাম্রশাসনোক্ত প্রাচীন রাজধানী ‘শ্রীবিক্রমপুর’ হিসেবে।
জয়নাল আবেদীন খান জন্ম: ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে। পৈত্রিক নিবাস : গ্রাম-বেশনাল, থানা - টঙ্গিবাড়ী, জেলা - মুন্সিগঞ্জ। পিতা: আব্দুল খালেক খান, মাতা: রবেদা বেগম। শিক্ষাজীবন: ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কর্মজীবন: ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত হন এবং সুদীর্ঘ ৩৬ বছর একই পেশায় নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন। অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বিক্রমপুর ও বাংলার ইতিহাসের একজন নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ গবেষক। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি নিরলসভাবে গবেষণাধর্মে নিয়োজিত আছেন। তার একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ বিক্রমপুরের নবাব বল্লাল সেন ও ঢাকেশ্বরী মন্দির, প্রকাশক : দেলোয়ারা বেগম, ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের আজীবন সদস্য। লেখকের যেসব পাণ্ডুলিপি গ্রন্থ আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় সেগুলো হলো: বিক্রমপুরের প্রাচীন পুকুর-দিঘি, বিক্রমপুরের বিখ্যাত রাজাবাড়ীর মঠ, বিক্রমপুরের বাবা আদমের মসজিদ ও বাবা আদমের মাজার, বঙ্গে দুর্গা ও চতুর্ভুজা কালী দেবীর পূজা, ঢাকা লালবাগ কেলা ও পরীবিবির মাজার, দিনাজপুরের কান্তজী মন্দির, সন বলালি ও নবাব বল্লাল, মাংতা (বেদে) সমতল বঙ্গে একটি পার্বত্য কৌমসমাজ। বইগুলো পাঠক সমাবেশ ধারাবাহিক প্রকাশ করবে।
আধুনিক বিক্রমপুর ও তাম্রশাসনোক্ত প্রাচীন রাজধানী শ্রীবিক্রমপুর দুই ভিন্ন জনপদ, দুই পৃথক ভূখন্ড। আরো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে ‘আধুনিক বিক্রমপুর’ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শরণার্থী আরাকানরাজ মঙ্গৎ রায় ওরফে নবাব আবুল ওরফে মহারাজা বল্লাল যিনি ছিলেন আরাকানের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা মলহন ওরফে হুসেন শাহের পুত্র। সমস্ত তথ্য ও উপকরণ পতিতমহলে অল্পবিস্তর পরিচিত ও আলোচিত তা থেকেই প্রায় সমস্ত তথ্য ও উপাদান আহরণ করা হয়েছে? বিক্রমপুরের ভৌগোলিক ইতিহাস একটি নতুন কার্যকারণবশত যুক্তিপরম্পরায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির ভিতর দিয়ে পাঠকের সামনে উপস্থিত করা হলো।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “প্রাচীন বিক্রমপুর আধুনিক বিক্রমপুর ও মহারাজা বল্লাল ওরফে নবাব আবুল ওরফে বাদশাহ মঙ্গৎ রায়” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.