Sale!

প্লেটো: ইউথিফ্রো ধার্মিকতা সম্পর্কে একটি সংলাপ

সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ‘অধার্মিকতা’ আর ‘যুবকদের কলুষিত করা’র অপরাধে; অভিযোগের খোঁজখবর করতে তিনি উপস্থিত হয়েছেন আর্কনের দরবারের রোয়াকে। ইউথিফ্রো নামের এক অ্যাথেনীয় সেখানে উপস্থিত তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার উদ্দেশ্যে; তার পিতার অবহেলার কারণে এক ক্রীতদাসের মৃত্যু ঘটেছে তাই। তার ধারণা তার পিতাকে বিচারের মুখোমুখি করাই হল ধার্মিকতা (পবিত্রতা)। সেখানে দুজনের মধ্যে ধার্মিকতা বিষয়ে যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় তা নিয়ে রচিত হয়েছে ইউথিফ্রো।

৳ 225.00 ৳ 180.00

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Translator

Size

8 X 5.2

Weight

Price

Tk 225 US : $ 20 UK : £ 10

About The Author

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া

প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ‘অধার্মিকতা’ আর ‘যুবকদের কলুষিত করা’র অপরাধে; অভিযোগের খোঁজখবর করতে তিনি উপস্থিত হয়েছেন আর্কনের দরবারের রোয়াকে। ইউথিফ্রো নামের এক অ্যাথেনীয় সেখানে উপস্থিত তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার উদ্দেশ্যে; তার পিতার অবহেলার কারণে এক ক্রীতদাসের মৃত্যু ঘটেছে তাই। তার ধারণা তার পিতাকে বিচারের মুখোমুখি করাই হল ধার্মিকতা (পবিত্রতা)। সেখানে দুজনের মধ্যে ধার্মিকতা বিষয়ে যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় তা নিয়ে রচিত হয়েছে ইউথিফ্রো। সক্রেটিসের প্রশ্নের মুখে ইউথিফ্রো একে একে পবিত্রতার যে সংজ্ঞা উপস্থাপন করেন তা হল: (ক) মন্দিরে চুরি, বা এ ধরনের কাজ হল অধার্মিকতা; (খ) যা দেবতার প্রিয় তা-ই পবিত্র বা ধর্মসম্মত; (গ) ধার্মিকতা হল দেবতার দেখভাল করা; (ঘ) ধার্মিকতা হল প্রার্থনা আর উৎসর্গের মাধ্যমে দেবতার সন্তুষ্টিবিধান করা। এসব সংজ্ঞার কোনোটিই যুক্তির ধোপে টেকে না, কারণ, প্রথমটি একটি উদাহরণ মাত্র, সর্বজনীন কিছু নয়, তাই সংজ্ঞা নয়; দ্বিতীয় সংজ্ঞাটিতে ধার্মিকতাকে দেবতার নির্দেশের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে, যা ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, ভিন্ন ভিন্ন দেবতার মতে ভিন্ন হতে পারে, আবার ভুল হতে পারে, স্বেচ্ছাচারীও হতে পারে। তৃতীয় ও চতুর্থ সংজ্ঞাতে ধর্মকে ব্যবসায়িক লেনদেনে পর্যবসিত করা হয়েছে। তাহলে কি যা নিজ থেকে ধার্মিকতা, তা-ই ধার্মিকতা। ধার্মিকতা যদি নিজ থেকেই ধার্মিকতা হয় তাহলে দেবতার প্রয়োজন কী, তার ভূমিকাই বা কী? আর তা যদি দেবতার নির্দেশই হয় তবে দেবতার (দেবতাদের) স্বেচ্ছাচারী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ইউথিফ্রো তাহলে ধার্মিকতার কোন্ পথ বেছে নেবে? এটিই ‘ইউথিফ্রোর উভয়-সংকট’। প্লেটো যে সংকটটি আবিষ্কার করেছেন, তা এক সর্বজনীন, সর্বকালীন সংকট—আমাদের কালের মানুষের সংকটও বটে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “প্লেটো: ইউথিফ্রো ধার্মিকতা সম্পর্কে একটি সংলাপ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *