বিক্রমপুরের প্রাচীন পুকুর-দীঘি ও মহারাজা বল্লাল ওরফে নবাব আবুল ওরফে বাদশাহ মঙ্গৎ রায়
বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ী উপজেলাধীন রাজাবাড়ী গ্রামে সুউচ্চ ও সুবিশাল একটি মঠ ছিলো। মঠটি রাজাবাড়ীর মঠ নামে সুবিখ্যাত। তবে মঠটি বর্তমানে নেই। অনেকদিন আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রমত্তা কীর্তিনাশা নদীর গর্ভে।
জয়নাল আবেদীন খান জন্ম: ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে। পৈত্রিক নিবাস : গ্রাম-বেশনাল, থানা - টঙ্গিবাড়ী, জেলা - মুন্সিগঞ্জ। পিতা: আব্দুল খালেক খান, মাতা: রবেদা বেগম। শিক্ষাজীবন: ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কর্মজীবন: ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত হন এবং সুদীর্ঘ ৩৬ বছর একই পেশায় নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন। অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বিক্রমপুর ও বাংলার ইতিহাসের একজন নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ গবেষক। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি নিরলসভাবে গবেষণাধর্মে নিয়োজিত আছেন। তার একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ বিক্রমপুরের নবাব বল্লাল সেন ও ঢাকেশ্বরী মন্দির, প্রকাশক : দেলোয়ারা বেগম, ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের আজীবন সদস্য। লেখকের যেসব পাণ্ডুলিপি গ্রন্থ আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় সেগুলো হলো: বিক্রমপুরের প্রাচীন পুকুর-দিঘি, বিক্রমপুরের বিখ্যাত রাজাবাড়ীর মঠ, বিক্রমপুরের বাবা আদমের মসজিদ ও বাবা আদমের মাজার, বঙ্গে দুর্গা ও চতুর্ভুজা কালী দেবীর পূজা, ঢাকা লালবাগ কেলা ও পরীবিবির মাজার, দিনাজপুরের কান্তজী মন্দির, সন বলালি ও নবাব বল্লাল, মাংতা (বেদে) সমতল বঙ্গে একটি পার্বত্য কৌমসমাজ। বইগুলো পাঠক সমাবেশ ধারাবাহিক প্রকাশ করবে।
বিক্রমপুরের মঠটি নিয়ে অতীতের বিভিন্ন সময়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে, বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু কেউ মঠটির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে অথবা এর প্রতিষ্ঠাকাল কখন কিংবা কী উদ্দেশ্যে মঠটি নির্মিত হয় সে সব বিষয়ে কোন সুস্থির সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি বা দেননি। ওই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এই গ্রন্থে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এই গ্রন্থে অনাদৃত ও অবহেলিত অনেক তথ্য ও উপকরণ নতুনভাবে বিন্যস্ত ও বাখ্যা করা হয়েছে। এধরনের গবেষণামূলক গ্রন্থে বিস্তৃত তথ্যনির্দেশ থাকার প্রচলিত রীতি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। গবেষক ও পাঠকদের সুবিধার্থে প্রচুর প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছু সংখ্যক প্রয়োজনীয় চিত্রও সংযুক্ত করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “বিক্রমপুরের প্রাচীন পুকুর-দীঘি ও মহারাজা বল্লাল ওরফে নবাব আবুল ওরফে বাদশাহ মঙ্গৎ রায়” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.