রবীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত পত্রাবলি

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্মবার্ষিকী : ১৪১৮ বঙ্গাব্দ/২০১১ খৃস্টাব্দ। পাঠক সমাবেশ-এর শ্রদ্ধার্ঘ্য : ২৫ খণ্ডে রবীন্দ্রসমগ্র। ২৫ খণ্ডে রবীন্দ্রসমগ্রের এই খণ্ডে প্রকাশিত-অপ্রকাশিত রবীন্দ্র চিঠিপত্র, পত্রসাহিত্য, রবীন্দ্র র্আকাইভ বিষয়ের লেখা স্থান পেয়েছে যার মধ্যে প্রায় তিন হাজার দুষ্প্রাপ্য ও অত্যন্ত মূল্যবান চিঠি ইতঃপূর্বে অন্য কোথাও প্রকাশিত হয়নি।

৳ 85.00 ৳ 68.00

Out of stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Price

৳85, $3, £2

Height

8.5

Width

5.5

Weight

About The Author

Rabindranath Tagore

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম : ২৫ বৈশাখ ১২৬৮/ ৭ মে ১৮৬১; মৃত্যু ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ / ৭ আগস্ট ১৯৪১ ॥ জন্ম ও মৃত্যু : কলকাতায় জোড়াসাঁকেfর পৈতৃক বাড়িতে। বিস্ময়কর ও সর্বগ্রাসী প্রতিভাধর বাঙালি এই কবির নানা অভিধা : কবি : দার্শনিক ॥ শিক্ষাবিদ ॥ গীত-রচয়িতা ॥ সুরকার ॥ কণ্ঠশিল্পী ॥ নাট-প্রহসন-রচয়িতা ॥ অভিনেতা ॥ ঔপন্যাসিক ॥ গল্পকার ॥ প্রবন্ধকার ॥ পত্রিকা-সম্পাদক ॥ চিত্রশিল্পী ॥ কৃষি-উদ্ভিদবিদ্যা-বিজ্ঞানবিষয়ক রচনকার ॥ সমবায়-কৃষিব্যাংক ধারণার প্রবর্তক ॥ সমাজসংস্কারক ॥ পর্যটক। বিপুল রচনাসম্ভারে রয়েছে কবিতাগ্রন্থ (গান ও কাব্যনাট্য বাদে) : ৬৫টি। গান : প্রায় ২ হাজার ৫ শো ॥ ছোটগল্প ১১৯টি ॥ উপন্যাস ১৩টি। নাটক (কাব্যনাট্য-পদ্যনাটক-নৃত্যনাট্য-প্রহসন) : ৫০টি ॥ ভ্রমণকাহিনী : ৯টি ॥ শিশুসাহিত্য : ৯টি। চিত্রকলা : প্রায হাজার ॥ দেশ-বিদেশে অনেকবার চিত্রপ্রদর্শনী হয়, যেমন প্যারিসে (১৯৩০), বোম্বাইয়ে (১৯৩৩)। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই জাতীয়-সংগীত-রচয়িতা। এশিয়ার প্রথম বাঙালি নোবেল-পুরস্কার-বিজয়ী। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য এ পুরস্কার লাভ : ১৩ নভেম্বর ১৯১৩। পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়িক সম্মান : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (হিবার্ট বক্তৃতা ১৯৩০, ডি. লিট উপাধি ১৯৪০) ॥ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ববিদ্যালয় (ডি. লিট. উপাধি ১৯১৩, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ১৯২১, কমলা বক্তৃতা ১৯৩৩, রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক ১৯৩২-৩৪) ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডি. লিট. উপাধি ১৯৩৬) ॥ ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ডি. লিট. উপাধি ১৯৩৮) ॥ হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, কাশী (ডি. লিট. উপাধি ১৯৩৫) ॥ অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় (কৃষ্ণস্বামী বক্তৃতা ১৯৩৩)। জমিদারি তদারকিতে বাংলাদেশে শিলাইদহ, সাজাদপুর ও পতিসরে অবস্থান : প্রধানত উনবিংশ শতাব্দির শেষ দশক এবং অনিয়মিতভাবে বিংশ শতাব্দির প্রথম ও দ্বিতীয় দশক।

ঢাকায় আগমন : এক প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগদান (১৮৯৮) ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাদান (১৯২৬)।

শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা : ডিসেম্বর ১৯০১।

শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা : ১৯২১।

শ্রীনিকেতনে পল্লিগ্রাম পুনর্নির্মাণ শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা : ১৯২২।

বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ : ১৯০৫।

জালিয়ানওয়ালাবাগে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নাইটহুড (স্যার) উপাধি প্রত্যাখ্যান : ১৯১৯।

নোবেল পুরস্কারের টাকা পতিসরে কৃষিব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য জনহিতকর কাজে ব্যয় করেন

সব্যসাচী রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলি তাঁর শিল্প-সৃষ্টিধারায় এক অভিনব মাত্রা সংযোজন করেছে। প্রসঙ্গ ও প্রকরণে তাঁর চিঠিপত্র বৈচিত্র্য-বিশিষ্টতার দাবি রাখে। রবীন্দ্র-পত্রাবলি আমাদের মূল্যবান সাহিত্য-সম্পদ। সারা জীবনে রবীন্দ্রনাথ যে বিপুলসংখ্যক পত্র রচনা করেছেন, তার সঠিক তথ্য জানার উপায় নেই। তবে গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকায় ১৩৭৯ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত পত্রের সংখ্যা চার হাজার সাতানব্বইটি বলে জানা যায়। রবীন্দ্রনাথের অগ্রন্থিত, অপ্রকাশিত ও অনাবিষ্কৃত চিঠির সংখ্যাও যে কম নয়, তা সহজেই অনুমেয়। নিরন্তর অনুসন্ধানের ফলে ক্রমেই রবীন্দ্রনাথের অনেক অজ্ঞাত বিলুপ্তপ্রায় চিঠিপত্রের সন্ধান মিলছে। ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি অপ্রকাশিত ও অগ্রন্থিত চিঠি উদ্ধার করেছেন। সেই পত্রগুচ্ছ নিয়েই এই সংকলনের জন্ম। কাজী আবদুল ওদুদ, কবি সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে লেখা চিঠিপত্রের মধ্যে সহৃদয়, গুণগ্রাহী, সৌজন্যপরায়ণ, স্পষ্টভাষী এক রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করা যায়। ডক্টর চৌধুরী এই সংকলিত পত্রগুচ্ছের প্রাসঙ্গিক পরিচয়ও তুলে ধরেছেন। পরিশিষ্টে সংযোজিত হয়েছে শিলাইদহ ঠাকুর এস্টেটের একটি বিনিময়-চুক্তি দলিল ও রবীন্দ্রনাথের স্বহস্তে লেখা কবিতা। এই ব্যতিক্রমী প্রয়াস রবীন্দ্রচর্চায় একটি মূল্যবান সংযোজন হিসেবে গণ্য হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “রবীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত পত্রাবলি”

Your email address will not be published. Required fields are marked *