সন্ত্রাসী নয় ওরা মুক্তিযোদ্ধা: মধ্যপ্রাচ্য ইসরাইল আমেরিকা ও রোডম্যাপ
বিশ্ব আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় আমেরিকা নেমে পড়েছিল রোনাল্ড রিগানের যুগেই। যা রাখঢাক সরিয়ে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে ওয়াকার বুশের আমলে। ইরাক আগ্রাসনের মিথ্যা কারণ ঢাকতে গিয়ে নিত্যনতুন যে সমস্ত অজুহাত দাঁড় করানো হচ্ছে, তা প্রমাণ করে বিশ্ব দখলে তাদের বেপরোয়া মনোভাবের। এখন পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিলিস্তিনিদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। তাই প্রয়োজন একে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা। প্রথম মহাযুদ্ধের শেষে মধ্যপ্রাচ্য লোভনীয় অঞ্চলে পরিণত হয়েছে তেল ও ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকার জন্য। মধ্যযুগব্যাপী ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কাল সময় পর্যন্ত ইউরোপ ইহুদি নিধনের ঘটনাবলি একটি করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। ইউরোপের স্থানে অধিষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে আমেরিকা।
আবু মোহাম্মদ মজহারুল ইসলাম জন্ম : ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি বগুড়া জেলার ক্ষেতলাল থানাধীন শমশিরা গ্রামে মাতুলালয়ে। শিক্ষা : ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিক পাস। ১৯৫৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস (আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া) রাজবন্দী হিসেবে কারারুদ্ধ অবস্থায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথম শ্রেণীতে। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস। কর্মজীবন : ১৯৬১ সালে বগুড়া জেলা আদালতে আইন ব্যবসা শুরু। বর্তমানে স্ত্রী আবরু বেগম রানী ও দুই কন্যা এক পুত্র সবাইকে নিয়ে কানাডা নিবাসী।
ইরাক আগ্রাসনের পর প্রকাশ হয়েছে রোডম্যাপ। সব সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মহা চক্রান্ত। এই রোডম্যাপ নামক তীরটির মাথায় বসানো হয়েছে এ্যারিয়েল শ্যারনকে। বুশের হরিহর আত্মা বন্ধু। বুশের যুদ্ধাস্ত্রের সহযোগিতায় বৃহত্তর ইসরাইল গড়ার আর্কিটেক্ট। শান্তি মীমাংসার হাওয়া বইলেই শুরু হয় টেরোরিস্ট আখ্যায়িতদের টার্গেট কিলিং। আজ কিন্তু সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিশ্ব জনমত অনেক সজাগ ও সরব। তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। ইরাক আগ্রাসন পরবর্তী বিশ্বব্যাপী আগ্রাসনবিরোধী ও শান্তির সপক্ষে কোটি মানুষের ঢলকে বলা হয়েছে দ্বিতীয় সুপার পাওয়ার। স্বাধীনতার অর্থ তো শুধু শাসনের ক্ষেত্রে বিদেশি আধিপত্য অপসারণ করে নিজ দেশের লোককে শাসনের গদিতে বসানো নয়। স্বাধীনতার অর্থ অর্থনৈতিক মুক্তিও। নতুন চেহারায় আসা সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক চেহারা আজ তার নিজের দেশবাসীও চিনে ফেলছে। যার প্রমাণ মেলে ১৯৯৯ সালে সিয়াটলে। তারই প্রমাণ আজ মিলছে সারা বিশ্বে। তাই প্রশ্নটা সাম্রাজ্যবাদ পরাজিত হবে কি না, সেখানে নয়। প্রশ্নটা হচ্ছে বিশ্ব জনতার ঐক্যবদ্ধতা কোন পথে অর্জিত হবে। মুসলিম বিশ্ব বলে পরিচিত অংশের জনতা কি এ সংগ্রামে শামিল হবে না? তারই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এ গ্রন্থের মাধ্যমে।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “সন্ত্রাসী নয় ওরা মুক্তিযোদ্ধা: মধ্যপ্রাচ্য ইসরাইল আমেরিকা ও রোডম্যাপ” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.