Sale!

আধুনিক শিল্পকলা

১৯ শতকে ঘটে যাওয়া ইম্প্রেশনিস্ট আন্দোলনটি শিল্পকলার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এই শিল্প আন্দোলনটিকে ‘বাস্তববাদের মৃত্যু’ বা ইংরেজিতে Dead End of Realism নামে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পকলার প্রকাশ ও আঙ্গিকের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও ব্যত্যয় ঘটে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্যামেরার আবিষ্কার, যা চিত্রকলার অন্যতম প্রয়োজনীয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসল। শিল্পীরা প্রতিকৃতি ও প্রকৃতি চিত্রণের পূর্বতন প্রয়োজনীয়তাকে অনেকটাই সীমিত করলেন। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির হুবহু অনুকরণের দিকে না গিয়ে শিল্পের অন্যান্য অনুষঙ্গ ও উপাদানের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া শুরু করলেন তাঁরা। যেমন অনুভ‚তি, সময়, গতি, ব্যক্তির চরিত্র ইত্যাদি। ফলে শিল্পকলা এক অন্য উচ্চতায় সমাসীন হয়। আর এই কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে এই গ্রন্থ।

এ ছাড়া এর পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্ট, নিও-ইম্প্রেশনিস্ট, পয়েন্টিলিজম, সিনথেসিজম, ফভিজম ও সিম্বলিজম নিয়ে আলোচনা আছে এই গ্রন্থে। তাই পাঠক আধুনিক শিল্পকলার সূচনার এক ধারাবাহিক ইতিহাসকে এই গ্রন্থে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
বর্তমান গ্রন্থকার শিল্পকলা বিষয়ের অনেকগুলো গ্রন্থের প্রণেতা ও শিল্পকলার ইতিহাসের অধ্যাপক। বিশিষ্ট শিল্প-সমালোচক, চিত্রশিল্পী ও কলা ঐতিহাসিক। ফলে শিল্পকলা সম্বন্ধে তাঁর মূল্যায়ন ও ব্যাখ্যা বিশিষ্টতার দাবি রাখে।

৳ 395.00 ৳ 316.00

Out of stock

Book Details

Weight .800 kg
Dimensions 5.7 × 8.7 × .7 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

About The Author

ড. মো. রফিকুল আলম

লেখকের শিক্ষাজীবন শুরু কুষ্টিয়ার চার্চ অফ বাংলাদেশ স্কুলে, ১৯৫৬ সালে। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এস.এস. সি. পাশ করেন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭০ সালে ঢাকার কলেজ অফ আর্টস এ্যান্ড ক্রাফট্স থেকে শিল্পকলার ইতিহাসে ‘ক্রেডিট মার্ক’ সহ ড্রইং ও পেইন্টিং-এ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন। এম.এ. ইন্ ফাইন আর্টস সম্পন্ন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১৯৭৪ সালে (১৯৭২এর পরীক্ষার্থী)। ১৯৮৩ সালে ভারতের কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ফাইন আর্টস—হিস্ট্রি অফ আর্টস’-এ পি.এইচ.ডি. ডিগ্রী (বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ডক্টরেট ডিগ্রী) লাভ, এবং ১৯৯০ সালে টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন আর্টস এ্যান্ড মিউজিকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা। বিষয়: উকি-ওয়ে ছাপাইচিত্র। ১৯৭৫ সালে খুলনা শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলার প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। ১৮৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত খুলনা আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৮৮ সালে চারুকলা ইন্সটিটিউটে শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান। বর্তমানে এই বিভাগে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। তিনি এই বিভাগের ভূতপূর্ব সভাপতি। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত। বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক, গবেষক ও শিল্পকলার ইতিহাসবিদ। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হচ্ছে : ১. উপমহাদেশের শিল্পকলা, ২. পাশ্চাত্য শিল্পের ইতিহাস, ৩. বিশ্ব সভ্যতা ও শিল্পকলা, ৪. কিউবিজম ও অনুষঙ্গ, ৫. Folk Painting in Bangladesh, ৬. সুরিয়ালিজম ৭. বিশ্বের মৃৎশিল্প, ৮. ইসলামী সভ্যতা ও শিল্পকলা।

১৯ শতকে ঘটে যাওয়া ইম্প্রেশনিস্ট আন্দোলনটি শিল্পকলার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এই শিল্প আন্দোলনটিকে ‘বাস্তববাদের মৃত্যু’ বা ইংরেজিতে Dead End of Realism নামে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পকলার প্রকাশ ও আঙ্গিকের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও ব্যত্যয় ঘটে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্যামেরার আবিষ্কার, যা চিত্রকলার অন্যতম প্রয়োজনীয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসল। শিল্পীরা প্রতিকৃতি ও প্রকৃতি চিত্রণের পূর্বতন প্রয়োজনীয়তাকে অনেকটাই সীমিত করলেন। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির হুবহু অনুকরণের দিকে না গিয়ে শিল্পের অন্যান্য অনুষঙ্গ ও উপাদানের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া শুরু করলেন তাঁরা। যেমন অনুভ‚তি, সময়, গতি, ব্যক্তির চরিত্র ইত্যাদি। ফলে শিল্পকলা এক অন্য উচ্চতায় সমাসীন হয়। আর এই কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে এই গ্রন্থ।

এ ছাড়া এর পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্ট, নিও-ইম্প্রেশনিস্ট, পয়েন্টিলিজম, সিনথেসিজম, ফভিজম ও সিম্বলিজম নিয়ে আলোচনা আছে এই গ্রন্থে। তাই পাঠক আধুনিক শিল্পকলার সূচনার এক ধারাবাহিক ইতিহাসকে এই গ্রন্থে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
বর্তমান গ্রন্থকার শিল্পকলা বিষয়ের অনেকগুলো গ্রন্থের প্রণেতা ও শিল্পকলার ইতিহাসের অধ্যাপক। বিশিষ্ট শিল্প-সমালোচক, চিত্রশিল্পী ও কলা ঐতিহাসিক। ফলে শিল্পকলা সম্বন্ধে তাঁর মূল্যায়ন ও ব্যাখ্যা বিশিষ্টতার দাবি রাখে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আধুনিক শিল্পকলা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *