Sale!

আলবার্ট আইনস্টাইন : নির্বাচিত বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ক রচনা এবং উদ্ধৃতি

বলা যায়, পৃথিবীতে এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি দেবতার মন ও প্রজ্ঞা নিয়ে মনুষ্যরূপে পৃথিবীর বুকে বিচরণ করেছিলেন; তিনি হলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন কীভাবে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল; তিনি ব্রহ্মাণ্ডের সকল সূত্রের একীভূত সূত্রও আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতা ও বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্র, মহাকর্ষ, বস্তু ও আলোর প্রকৃতি, শক্তি ও ভরের সমীকরণ E=mc2, ত্রিমাত্রিক স্পেস ও কালের একীভবনের সূত্র আবিষ্কার ও প্রণয়ন করেছিলেন। তাঁর তত্ত্ব বিপুল শক্তিসম্পন্ন পরমাণুর অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছিল, কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূচনা করেছিল, পরম স্পেস ও কালের নিউটনীয় প্রত্যয় ধ্বংস করে স্পেস-কালের সমরূপ ও অব্যাহততার তত্ত্বের সৃষ্টি করেছিল। আলো যে কোয়ান্টা-প্যাকেট নিয়ে গঠিত এবং সুনির্দিষ্ট শক্তিসম্পন্ন, তার তত্ত্বও আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। ১৯১৫ সালে প্রণীত সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, যা আইনস্টাইনের মহাকর্ষ তত্ত্ব নামে পরিচিত, তা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে আলো বেঁকে যায়; ১৯১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এক পূর্ণ সূর্যগ্রহণকালে তা প্রমাণিত হয়েছিল। ১৯০৫ সালে প্রণীত তাঁর তত্ত্ব E=mc2, পরমাণুতে আবদ্ধ থাকা বিপুল শক্তির দিশা দিয়েছিল, যা পারমাণবিক বোমা ও আণবিক শক্তি কেন্দ্রের শক্তি উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের সমর্থ করেছিল। আইনস্টাইন যদিও আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাত ছিলেন, তবুও ১৯২১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন “তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর অবদান এবং বিশেষত তাঁর ‘ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট’-এর সূত্র আবিষ্কারের জন্য”। তিনি বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে সারাজীবন সক্রিয়ভাবে নিবেদিত ছিলেন।
এই পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধাবলিতে আইনস্টাইন কারিগরি ভাষাকে কিছুটা হ্রাস করে অনেকটা সরলভাবে বাস্তবতা, জগৎ ও জীবন সম্পর্কিত তাঁর ধারণারাজি উপস্থাপন করেছেন। এই রচনাগুলো কেবল বিজ্ঞানের পরিমণ্ডলেই নয় দর্শনের পরিমণ্ডলেও সমভাবে প্রাসঙ্গিক। একথা বলতে কেউ দ্বিধা করেন না যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে, ভৌত বাস্তবতা সম্পর্কে আইনস্টাইনের যে আবিষ্কার, তা পুরোপুরি মৌলিক এবং বিশ্বদৃষ্টি নির্মাণের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক।

Original price was: ৳ 595.00.Current price is: ৳ 446.25.

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Size

8.5 X 5.5

বলা যায়, পৃথিবীতে এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি দেবতার মন ও প্রজ্ঞা নিয়ে মনুষ্যরূপে পৃথিবীর বুকে বিচরণ করেছিলেন; তিনি হলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন কীভাবে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল; তিনি ব্রহ্মাণ্ডের সকল সূত্রের একীভূত সূত্রও আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতা ও বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্র, মহাকর্ষ, বস্তু ও আলোর প্রকৃতি, শক্তি ও ভরের সমীকরণ E=mc2, ত্রিমাত্রিক স্পেস ও কালের একীভবনের সূত্র আবিষ্কার ও প্রণয়ন করেছিলেন। তাঁর তত্ত্ব বিপুল শক্তিসম্পন্ন পরমাণুর অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছিল, কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূচনা করেছিল, পরম স্পেস ও কালের নিউটনীয় প্রত্যয় ধ্বংস করে স্পেস-কালের সমরূপ ও অব্যাহততার তত্ত্বের সৃষ্টি করেছিল। আলো যে কোয়ান্টা-প্যাকেট নিয়ে গঠিত এবং সুনির্দিষ্ট শক্তিসম্পন্ন, তার তত্ত্বও আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। ১৯১৫ সালে প্রণীত সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, যা আইনস্টাইনের মহাকর্ষ তত্ত্ব নামে পরিচিত, তা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে আলো বেঁকে যায়; ১৯১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এক পূর্ণ সূর্যগ্রহণকালে তা প্রমাণিত হয়েছিল। ১৯০৫ সালে প্রণীত তাঁর তত্ত্ব E=mc2, পরমাণুতে আবদ্ধ থাকা বিপুল শক্তির দিশা দিয়েছিল, যা পারমাণবিক বোমা ও আণবিক শক্তি কেন্দ্রের শক্তি উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের সমর্থ করেছিল। আইনস্টাইন যদিও আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাত ছিলেন, তবুও ১৯২১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন “তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর অবদান এবং বিশেষত তাঁর ‘ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট’-এর সূত্র আবিষ্কারের জন্য”। তিনি বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে সারাজীবন সক্রিয়ভাবে নিবেদিত ছিলেন।
এই পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধাবলিতে আইনস্টাইন কারিগরি ভাষাকে কিছুটা হ্রাস করে অনেকটা সরলভাবে বাস্তবতা, জগৎ ও জীবন সম্পর্কিত তাঁর ধারণারাজি উপস্থাপন করেছেন। এই রচনাগুলো কেবল বিজ্ঞানের পরিমণ্ডলেই নয় দর্শনের পরিমণ্ডলেও সমভাবে প্রাসঙ্গিক। একথা বলতে কেউ দ্বিধা করেন না যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে, ভৌত বাস্তবতা সম্পর্কে আইনস্টাইনের যে আবিষ্কার, তা পুরোপুরি মৌলিক এবং বিশ্বদৃষ্টি নির্মাণের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আলবার্ট আইনস্টাইন : নির্বাচিত বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ক রচনা এবং উদ্ধৃতি”

Your email address will not be published. Required fields are marked *