গালেয়ানো বলেছেন, “আমার বইগুলো, বিশেষ করে ‘মিররস’ লিখেছি এটা দেখানোর জন্য যে, বিশ্বের কোনো জায়গাই অন্য জায়গার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোনো মানুষই অন্য মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে না। বিশ্বকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আমাদের যৌথ স্মৃতিকে ছিন্ন করেছে, আমাদের বাস্তবতাকেও ছিন্ন করে চলেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোকে শিখতে হবে, কীভাবে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটা ‘বন্ধুত্ব’ দিয়ে বদলে ফেলা যায়।”
নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এটি বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই গুরুগম্ভীর, রীতিমতো গবেষণামূলক দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়। গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে, যদিও তা কেতাবি মহলের বাইরে কেউ পড়ত না, পড়লেও মনে রাখত না। বদলে, তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে, এর প্রতিটি গল্পকে মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন; যদি চান, সেখানেই লেখকের সার্থকতা।
জীবন ও সাহিত্য, উভয় পরিসরেই সীমান্তকে এদুয়ার্দো গালিয়ানো তুচ্ছ জ্ঞান করেন। ১৯৭৩ সালে নিজের দেশ উরুগুয়েতে সামরিক অভ্যুত্থান হলে তিনি দেশ ছাড়েন। ১৯৮৫ সালে তিনি ফিরে আসেন মন্টিভিডিওতে, আর তারপর শুরু করেন জীবন ও লেখালেখি। ইতিহাস, কবিতা, স্মৃতিকথা, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও সাংস্কৃতিক নৃবিদ্যা- এসবের মধ্যেকার পার্থক্যকে গালিনোর বই উল্টিয়ে ফেলে। বুননের অসম্ভব মাধুর্যওয়ালা এই লেখক ব্যবহার করেন সেই সব শব্দ শুধুমাত্র যাদের যোগ্যতা রয়েছে সেখানে থাকার। তাঁর লেখা তাই তুলে ধরে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর মানবিক নৈতিকতার পরিপ্রেক্ষিত। তাঁর লেখা দৈনন্দিন জীবনের পাঁচালিকেই তুলে ধরে তবে গণমাধ্যম থেকে সেসব আলাদা। গণমাধ্যমতো সচেতনতাকে ব্যবহার করে, আড়াল করে তার বাস্তবতাকে, আর কন্ঠরোধ করে সৃজনশীল কল্পনার- উদ্দেশ্য থাকে জীবন ও ভোগের কায়দা বাতলানো। দৈবাৎ শোনা যায় এমন কন্ঠকে গালিয়ানো আমাদেরকে শুনিয়ে খন্ডন করেন ইতিহাস সম্পর্কীত দাপ্তরিক মিথ্যসমূহকে। তাঁর লেখা আমাদের সামনে হাজির করে সামাজিক বিচারের অলংকারপূর্ণ সাহিত্যিক প্রতিমূর্তি।
গালেয়ানো বলেছেন, “আমার বইগুলো, বিশেষ করে ‘মিররস’ লিখেছি এটা দেখানোর জন্য যে, বিশ্বের কোনো জায়গাই অন্য জায়গার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোনো মানুষই অন্য মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে না। বিশ্বকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আমাদের যৌথ স্মৃতিকে ছিন্ন করেছে, আমাদের বাস্তবতাকেও ছিন্ন করে চলেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোকে শিখতে হবে, কীভাবে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটা ‘বন্ধুত্ব’ দিয়ে বদলে ফেলা যায়।”
নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এটি বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই গুরুগম্ভীর, রীতিমতো গবেষণামূলক দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়। গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে, যদিও তা কেতাবি মহলের বাইরে কেউ পড়ত না, পড়লেও মনে রাখত না। বদলে, তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে, এর প্রতিটি গল্পকে মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন; যদি চান, সেখানেই লেখকের সার্থকতা।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “আয়না -প্রথম অংশ” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.