বঙ্গাব্দ : বাংলা সন ইতিহাস উৎপত্তি ও বিকাশ বইটি একটি গবেষণাগ্রন্থ। ইতিপূর্বে এই বিষয়ে এই ধরনের কোনো প্রামাণিক গ্রন্থ রচিত হয়নি। মলহনের পুত্র বল্লাল : কে এই কিংবদন্তির মহানায়ক এই বিষয়ের ওপর প্রচলিত জনশ্রুতি ও ঐতিহাসিক তথ্য আহরণ করতে গিয়ে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বহু বিতর্কিত বাংলা সনের প্রতি আকৃষ্ট হন। জনশ্রুতির সঙ্গে ঐতিহাসিক তথ্যের সামঞ্জস্য বিধান করে তিনি বর্তমান গবেষণাগ্রন্থটি রচনা করেন।
জয়নাল আবেদীন খান জন্ম: ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে। পৈত্রিক নিবাস : গ্রাম-বেশনাল, থানা - টঙ্গিবাড়ী, জেলা - মুন্সিগঞ্জ। পিতা: আব্দুল খালেক খান, মাতা: রবেদা বেগম। শিক্ষাজীবন: ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কর্মজীবন: ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত হন এবং সুদীর্ঘ ৩৬ বছর একই পেশায় নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন। অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বিক্রমপুর ও বাংলার ইতিহাসের একজন নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ গবেষক। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি নিরলসভাবে গবেষণাধর্মে নিয়োজিত আছেন। তার একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ বিক্রমপুরের নবাব বল্লাল সেন ও ঢাকেশ্বরী মন্দির, প্রকাশক : দেলোয়ারা বেগম, ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের আজীবন সদস্য। লেখকের যেসব পাণ্ডুলিপি গ্রন্থ আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় সেগুলো হলো: বিক্রমপুরের প্রাচীন পুকুর-দিঘি, বিক্রমপুরের বিখ্যাত রাজাবাড়ীর মঠ, বিক্রমপুরের বাবা আদমের মসজিদ ও বাবা আদমের মাজার, বঙ্গে দুর্গা ও চতুর্ভুজা কালী দেবীর পূজা, ঢাকা লালবাগ কেলা ও পরীবিবির মাজার, দিনাজপুরের কান্তজী মন্দির, সন বলালি ও নবাব বল্লাল, মাংতা (বেদে) সমতল বঙ্গে একটি পার্বত্য কৌমসমাজ। বইগুলো পাঠক সমাবেশ ধারাবাহিক প্রকাশ করবে।
বঙ্গাব্দ: বাংলা সন ইতিহাস উৎপত্তি ও বিকাশ বইটি একটি গবেষণাগ্রন্থ। ইতিপূর্বে এই বিষয়ে এই ধরনের কোনো প্রামাণিক গ্রন্থ রচিত হয়নি। মলহনের পুত্র বল্লাল : কে এই কিংবদন্তির মহানায়ক এই বিষয়ের ওপর প্রচলিত জনশ্রুতি ও ঐতিহাসিক তথ্য আহরণ করতে গিয়ে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বহু বিতর্কিত বাংলা সনের প্রতি আকৃষ্ট হন। জনশ্রুতির সঙ্গে ঐতিহাসিক তথ্যের সামঞ্জস্য বিধান করে তিনি বর্তমান গবেষণাগ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থে গবেষক সফলভাবেই দেখিয়েছেন যে বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত জনশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রে প্রামাণিক ইতিহাসের চেয়ে কোনো অংশেই কম বস্তুনিষ্ঠ ও কম নির্ভরযোগ্য নয়। গবেষক আরো দেখিয়েছেন যে স্বার্থবাদী মহল তাদের হীন স্বার্থে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর মলহনের পুত্র কীর্তিমান বল্লাল রাজাকে চালিয়ে দিয়েছে খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল রাজা হিসেবে। এই উদ্দেশ্যে তারা শত শত গ্রন্থ রচনা করেছে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রাচীনীকৃত করেছে। ফলে কীর্তিমান নবাব বল্লালের আসল ইতিহাস নকল ইতিহাসের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। গবেষক জয়নাল আবেদীন খান শ্রমসাধ্য গবেষণার মাধ্যমে সেই লুপ্তপ্রায় আসল ইতিহাসকে মিথ্যার বেড়াজাল থেকে উদ্ধার করে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন, যা বঙ্গদেশ ও বাঙালির প্রকৃত ইতিহাস পুনর্গঠনে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “বঙ্গাব্দ: বাংলা সন ইতিহাস, উৎপত্তি ও বিকাশ” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.