১০০ বছর আগে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে সারা বিশ্বে কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ গবেষণা বলছে, ১৯১৮ সালের শরৎকালে রোগটি দ্বিতীয় ধাপে ছড়িয়ে পড়লে প্রথম ধাপের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ঠিক ১০০ বছর পর কোভিড-১৯ সংক্রমণে অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঐতিহাসিক মুহূর্ত পার করছে পুরো বিশ্ব। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণের উৎপত্তি হয়ে সেই ঢেউ কীভাবে বিশে^র দেশে দেশে ছড়িয়েছে, তার স্বরূপ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের করোনাকাল : সাংবাদিকের চোখে’ বইতে।
অচেনা এক ভাইরাস ‘নভেল করোনা’ ‘কোভিড-১৯’ নামে বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশ্বের দেশে দেশে চলেছে ‘লকডাউন’ নামে ঘরবন্দি শ্বাসরুদ্ধকর এক জীবন! যা ক্রমেই মানুষের মনোদৈহিক স্থবিরতা ছাপিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে উন্নত রাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি। বৈশ্বিক মহামারিতে দীর্ঘ সময় উড়ান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এদেশের বিত্তশালীরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই প্রথম গরিবের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। করোনাকালে জীবন-মৃত্যুর দূরত্ব যখন এক সুতোরও কম, তখনো মানুষের লোভ-ক্ষমতা আর দুর্নীতির দাপট দেখেছেন দেশবাসী। সংক্রমণ ঠেকাতে যে পিপিই-মাস্ক-গ্লাভস বা সুরক্ষা পোশাক বাঁচাতে পারত একেকজন চিকিৎসকের প্রাণ, জোগান দিতে গিয়েও নকল ও নিম্নমানের পণ্য দিয়ে উল্টো চিকিৎসকদের প্রাণ সংহারের কারণ হয়েছে! তারও ইঙ্গিত আছে এই বইতে।
করোনাকালের সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় ঘরবন্দি মানুষেরা জুম, স্টিমইয়ার্ড, হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জারের মতো প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থেকেছেন। তরুণ-প্রবীণ সাংবাদিকরাও কীভাবে দ্রুত খাপখাইয়ে ভিন্ন পরিস্থিতিতেও ভূমিকা রেখেছেন, সেই ইতিবাচক ঘটনাও এসেছে বইটিতে। সর্বোপরি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ঘিরে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব : বৈশ্বিক রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কৌশলগত স্বার্র্থ কিংবা প্রকৃতির বিরূপ প্রতিশোধ কি না, তা-ও বিশ্লেষণের চেষ্টা আছে বইটিতে।
Reviews
There are no reviews yet.