বাংলাদেশের সাহিত্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

সৈয়দ আকরম হোসেন আশ্চর্য বরাভয় নিয়ে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশের সাহিত্যের পথরেখা। আমাদের অনুসরণীয় সৃষ্টিমনীষা-রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্; অন্যদিকে বাংলাদেশের কবিতা ও কথাসাহিত্যের রূপাবয়ব চিহ্নসঞ্চারী করেছেন তিনি। নজরুলের মিথ-মনীষার [‘নজরুলের নটরাজ : বিশ্বছন্দের প্রত্নপ্রতিমা’] বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধের প্রথম রচয়িতা তিনিই। তাছাড়া, বাংলাদেশের কবিতা-বিষয়ক তাঁর প্রবন্ধটিও খুলে দিয়েছিল প্রাসঙ্গিক অজস্র রচনার রুদ্ধ উৎসমুখ। ফলে ক্ষীণকায় হলেও এই বই আমাদের মননের বিকাশ এবং নির্জন সৃষ্টিশীলতার অনন্ত আকাশ করে তুলেছিল দ্যুতিময়। কেননা, বইটি কেবল বিষয় এবং সেসবের স্তরবহুল পর্যবেক্ষণই নয়, স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের নিজস্ব গদ্যরীতির নতুন নন্দনে স্পন্দিত করেছিল আমাদের স্নায়ু ও রক্ত।
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এই বই, বাংলা একাডেমি থেকে। এ বইয়ে অন্তর্ভূত প্রবন্ধগুলি ১৯৬৬-১৯৮২ কালপরিসরে রচিত।
শব্দ হতে পারে এত ভাস্কর্যময়, এত কৌতূহলদীপ্ত, এত চিত্রকল্পমথিত! সে শব্দপুঞ্জ খুলে দিতে পারে পাঠকের চৈতন্যের বন্ধ দুয়ার। আমরা সেই সংহত অথচ বহুকৌণিক বাক্যরাশির উন্মীলীয়মান অসম্ভব এক স্থাপত্যের সামনে দাঁড়িয়ে। যেটির নতুন পাঠক সমাবেশ সংস্করণ আমাদের শিথিল-মন্থর চেতন-অবচেতনে জ্বেলে দেবে জোনাকদীপ।

৳ 395.00 ৳ 316.00

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Size

8.5 X 5.5

About The Author

সৈয়দ আকরম হোসেন

সৈয়দ আকরম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। জন্ম ৮ ডিসেম্বর ১৯৪৪, যশোরে। রবীন্দ্র-গবেষক হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছেন। তাঁর সম্পাদিত ত্রিশ খণ্ডের রবীন্দ্র-রচনাবলি উভয় বাংলায় অনন্য দৃষ্টান্ত রূপে গৃহীত হয়েছে। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার [১৯৮৯], বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র-পুরস্কার [২০১৬], একুশে পদক [২০১৭], কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইন্সটিটিউট কর্তৃক রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য [২০১৮], এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ সোসাইটি আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা ২০২৩-সহ ভূষিত হয়েছেন অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননায়।
গবেষণাগ্রন্থ ও প্রবন্ধ সংকলন : রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস: দেশকাল ও শিল্পরূপ [১৯৬৯]; মুনীর চৌধুরী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী আনোয়ারা পাশা [১৯৭২]; রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস : চেতনালোক ও শিল্পরূপ [২৫ বৈশাখ, ১৩৮৮]; বাংলাদেশের সাহিত্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ [১৯৮৫]; এস. ওয়াজেদ আলি [১৯৮৭]; সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ [১৯৮৮]; আবদুর রাজ্জাক [১৯৯০]; প্রসঙ্গ: বাংলা কাথাসাহিত্য [১৯৯৭]
সম্পাদিত গ্রন্থ : এস. ওয়াজেদ আলি রচনাবলী দুই খণ্ড [ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫, নভেম্বর ১৯৮৫]; সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচনাবলী দুই খণ্ড [১৯৮৬, ১৯৮৭]; আহৃতি [প্রবন্ধ-সংকলন, নরেশ সেনগুপ্ত, ২০১০]; অগ্নি-সংস্কার [উপন্যাস, নরেশ সেনগুপ্ত, ২০১১]।

সৈয়দ আকরম হোসেন আশ্চর্য বরাভয় নিয়ে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশের সাহিত্যের পথরেখা। আমাদের অনুসরণীয় সৃষ্টিমনীষা-রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্; অন্যদিকে বাংলাদেশের কবিতা ও কথাসাহিত্যের রূপাবয়ব চিহ্নসঞ্চারী করেছেন তিনি। নজরুলের মিথ-মনীষার [‘নজরুলের নটরাজ : বিশ্বছন্দের প্রত্নপ্রতিমা’] বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধের প্রথম রচয়িতা তিনিই। তাছাড়া, বাংলাদেশের কবিতা-বিষয়ক তাঁর প্রবন্ধটিও খুলে দিয়েছিল প্রাসঙ্গিক অজস্র রচনার রুদ্ধ উৎসমুখ। ফলে ক্ষীণকায় হলেও এই বই আমাদের মননের বিকাশ এবং নির্জন সৃষ্টিশীলতার অনন্ত আকাশ করে তুলেছিল দ্যুতিময়। কেননা, বইটি কেবল বিষয় এবং সেসবের স্তরবহুল পর্যবেক্ষণই নয়, স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের নিজস্ব গদ্যরীতির নতুন নন্দনে স্পন্দিত করেছিল আমাদের স্নায়ু ও রক্ত।
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এই বই, বাংলা একাডেমি থেকে। এ বইয়ে অন্তর্ভূত প্রবন্ধগুলি ১৯৬৬-১৯৮২ কালপরিসরে রচিত।
শব্দ হতে পারে এত ভাস্কর্যময়, এত কৌতূহলদীপ্ত, এত চিত্রকল্পমথিত! সে শব্দপুঞ্জ খুলে দিতে পারে পাঠকের চৈতন্যের বন্ধ দুয়ার। আমরা সেই সংহত অথচ বহুকৌণিক বাক্যরাশির উন্মীলীয়মান অসম্ভব এক স্থাপত্যের সামনে দাঁড়িয়ে। যেটির নতুন পাঠক সমাবেশ সংস্করণ আমাদের শিথিল-মন্থর চেতন-অবচেতনে জ্বেলে দেবে জোনাকদীপ।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বাংলাদেশের সাহিত্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *