বাংলার ত্রস্ত নীলিমা

ভূমেন্দ্র গুহ লিখেছেন, “১৯৩৪’র মার্চ মাসে কবি জীবনানন্দ দাশ যখন একরকম বাধ্যতামূলকভাবে নানাভাবে নানা দিকে বিড়ম্বিত বোধ করছিলেন, এবং অনন্যোপায়ের মতো স্মৃতিসত্তা সান্ত্বনার মতো এক প্রকৃতির সন্নিধানে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন, তখন ‘একটি বিশেষ ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়ে’ ‘আবহমান বাংলা ও বাঙালী’র প্রেক্ষিতে কতকগুলি ‘সনেট-জাতীয়’ কবিতা দু’-তিন দিনের ভিতরে লিখে ফেলেছিলেন; লেখাগুলি খুব সহজেই হয়ে উঠেছিল নিজের, লিখবার তাড়া ও তাদের অবয়ব প্রায় পূর্ণ দৃষ্টিলোকী হয়ে উঠেছিল।”

জীবনানন্দ এ কবিতাগুলো ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ নামে প্রকাশ করার কথা ভেবেছিলেন। অনেক ভাবনার মতো এ ভাবনাটিও জীবনানন্দ বাস্তবায়ন করেননি। ১৯৫৪-এ জীবনানন্দ’র মৃত্যুর প্রায় ৬৬ বছর পর সাহিত্যসমালোচক অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী’র উদ্যোগে ২০২১-এ ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হলো।

৳ 695.00 ৳ 556.00

In stock

Book Details

Weight .300 kg
Dimensions 6.5 × .7 × 8.6 in
Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Height

9.1

Width

6.5

About The Author

ফয়জুল লতিফ চৌধুরী

ফয়জুল লতিফ চৌধুরী (১৯৫৯- ) সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয় রয়েছেন। সাহিত্য গবেষণা তাঁর প্রিয় ক্ষেত্র। তিনি জীবনানন্দ দাশের কবিতা ও অন্যান্য রচনা নিয়ে প্রায় তিন দশক যাবৎ গবেষণা করে চলেছেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা অগ্রণী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়, মনাশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স-এ অধ্যয়ন করেছেন। সাহিত্য ছাড়াও তিনি অর্থনীতি এবং ব্যবসায় প্রশাসন নিয়ে গবেষণা ও অধ্যাপনা করেন। তাঁর অন্যতম গ্রন্থ “করাপট্ ব্যুরোক্র্যাসি অ্যান্ড প্রাইভেটাইজেশন অব ট্যাক্স এনফোর্সমেন্ট” দুর্নীতির অর্থনৈতিক ব্যাখা সম্বলিত বহুল পঠিত গবেষণা গ্রন্থ। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও আংকটাডের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪-এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রতিবেদন “চটি সাহিত্যের পূর্ব পশ্চিম”। বর্তমানে তিনি বাংলা অভিধানে অসংকলিত বাংলা শব্দ নিয়ে গবেষণা করছেন।

ভূমেন্দ্র গুহ লিখেছেন, “১৯৩৪’র মার্চ মাসে কবি জীবনানন্দ দাশ যখন একরকম বাধ্যতামূলকভাবে নানাভাবে নানা দিকে বিড়ম্বিত বোধ করছিলেন, এবং অনন্যোপায়ের মতো স্মৃতিসত্তা সান্ত্বনার মতো এক প্রকৃতির সন্নিধানে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন, তখন ‘একটি বিশেষ ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়ে’ ‘আবহমান বাংলা ও বাঙালী’র প্রেক্ষিতে কতকগুলি ‘সনেট-জাতীয়’ কবিতা দু’-তিন দিনের ভিতরে লিখে ফেলেছিলেন; লেখাগুলি খুব সহজেই হয়ে উঠেছিল নিজের, লিখবার তাড়া ও তাদের অবয়ব প্রায় পূর্ণ দৃষ্টিলোকী হয়ে উঠেছিল।”

জীবনানন্দ এ কবিতাগুলো ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ নামে প্রকাশ করার কথা ভেবেছিলেন। অনেক ভাবনার মতো এ ভাবনাটিও জীবনানন্দ বাস্তবায়ন করেননি। ১৯৫৪-এ জীবনানন্দ’র মৃত্যুর প্রায় ৬৬ বছর পর সাহিত্যসমালোচক অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী’র উদ্যোগে ২০২১-এ ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হলো।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বাংলার ত্রস্ত নীলিমা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *