মওলানা ভাসানী লন্ডন থেকে এসে ১৯৫৫-তে প্রায় চার মাস ভারতে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাঁকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। সেই সময় তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে এমন সব ঘটনা ঘটে যার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পাকিস্তান আর কোনোদিনই মুক্ত হতে পারেনি। তখনকার প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের পরিণতি হয়েছিল পাকিস্তানে গণতন্ত্রের পরিবর্তে সামরিকতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। তখন পূর্ববাংলার স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়েছে গভীর চক্রান্ত। সেই চক্রান্তে কেন্দ্রীয় শাসকচক্রের সঙ্গে ক্ষমতার লোভে সহযোগিতা করেছেন বাঙালি নেতারাও। ভারতে ভাসানীর প্রবাসজীবন শুধু তাঁর জীবনের নয়, পাকিস্তানের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই অনালোচিত অধ্যায়টি এই প্রথম উঠে এলো দুর্লভ কাগজপত্রের ভিত্তিতে রচিত সৈয়দ আবুল মকসুদের এই বইতে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ (জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯৪৬, মানিকগঞ্জ) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক, কবি, গবেষক, চিন্তাবিদ, পরিবেশ বাদী ও সামাজিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় কলাম লেখক। কর্মজীবনে ছিলেন সাংবাদিক। প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময় সরকারি নীতির প্রতিবাদে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) থেকে পদত্যাগ করেন। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এর ছিলেন সম্পাদক।
সৈয়দ আবুল মকসুদ মহাত্মা গান্ধী, মওলানা ভাসানী এবং সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ গবেষণার পথিকৃৎ। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা বহু। কবিতার বই বিকেলবেলা; গবেষণা-প্রবন্ধ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, স্মৃতিতে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, কাগমারী সম্মেলন, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ঢাকার বুদ্ধদেব বসু, গোবিন্দ চন্দ্র দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা (প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারপ্রাপ্ত), গান্ধী মিশন ডায়েরি, Gandhi, Nehru and Noakhali, Gandhi Camp, Pyarelal's Unpublished Correspondence: The Noakhali Peace Mission of Mahatma Gandhi. তিনি মহাত্মা গান্ধী স্মারকসদন, বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বহু পুরস্কারে ভূষিত। তার মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মওলানা ভাসানী জাতীয় পুরস্কার, ঋষিজ পুরস্কার এবং মহাত্মা গান্ধী স্মারক পুরস্কার (ভারত সরকারের গান্ধী স্মারক সংগ্রাহালয়, বারাকপুর প্রদত্ত)।
মওলানা ভাসানী লন্ডন থেকে এসে ১৯৫৫-তে প্রায় চার মাস ভারতে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাঁকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। সেই সময় তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে এমন সব ঘটনা ঘটে যার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পাকিস্তান আর কোনোদিনই মুক্ত হতে পারেনি। তখনকার প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের পরিণতি হয়েছিল পাকিস্তানে গণতন্ত্রের পরিবর্তে সামরিকতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। তখন পূর্ববাংলার স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়েছে গভীর চক্রান্ত। সেই চক্রান্তে কেন্দ্রীয় শাসকচক্রের সঙ্গে ক্ষমতার লোভে সহযোগিতা করেছেন বাঙালি নেতারাও। ভারতে ভাসানীর প্রবাসজীবন শুধু তাঁর জীবনের নয়, পাকিস্তানের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই অনালোচিত অধ্যায়টি এই প্রথম উঠে এলো দুর্লভ কাগজপত্রের ভিত্তিতে রচিত সৈয়দ আবুল মকসুদের এই বইতে।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “ভাসানীর ভারত প্রবাস” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.