নবোপলীয় বিপ্লবের দুই মূল উপাদান কৃষি ও শিল্পের জন্ম এবং বিকাশের আদিভূমি আমাদের বাংলাদেশ। বাংলা শুধু কৃষি নয় শিল্পেরও আদি প্রসূতি। বেঙ্গল বেসিন এর উত্তরে হিমালয় ও মেঘালয় মালভূমি, পশ্চিমে ছোটনাগপুরের মালভূমি আর পূর্বে চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা-নাগা পার্বত্য অঞ্চল এবং মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ উপসাগর- পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। যার উপরে পলি সঞ্চিত হয়ে মানব সভ্যতা শুরুর কোটি বছর আগেই তৈরি ছিল এই অতি উর্বর ভূমি। প্রাকৃতিক ভাবেই এখানকার মানুষের জীবনধারণ ছিল সহজ ও সাবলীল। অবসরে জ্ঞানবিজ্ঞান-ধর্ম-দর্শন-সাহিত্য ও মননশীলতা সমৃদ্ধ সভ্যতার বিকাশ ঘটে এই অঞ্চলে। বয়াংসি চরকায় লাঙল কাব্য বাঙালির বিস্মৃত ইতিহাসকে তুলে আনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। সৃষ্টির শুরু থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত বাংলার লোকায়ত ও রাজনৈতিক ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা বীজধান। বাংলা ভাষার উৎপত্তি যদি চর্যাপদের সময়কাল থেকে ধরা হয় তো সেই সময়ের শব্দগুচ্ছ, ভাবপ্রকাশের ধরণকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা ছাড়াও কিছু দালিলিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়েছে চর্যাপদের কিছু পঙক্তি, কিছু সংস্কৃত অনুশাসন এবং পূর্ববর্তী কবিদের পদপঙক্তি-বাক্য। যুগের সাথে সাথে ভাষার বিবর্তনকেও রূপায়িত করার প্রচেষ্টায় গঠনগত উত্থান পতন রয়েছে। ছন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়ার আশংকা থেকে মাঝে মাঝে তৈরি হয়েছে ছন্দহীনতার বাঁধা। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর ঐতিহাসিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এরা অঙ্গীভূত হয়েছে। কবিতার অধিকাংশ শব্দের রয়েছে নিজস্ব প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট। বাংলার গন্ধ বহন করা শব্দের বিচরণ এখানে অবাধ, স্বতঃস্ফুর্ত এবং কালান্তরের বর্ণবিভায় বৈচিত্রময়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এম.এফ.এ করেছেন অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাঙালির দর্শন ও উত্তরাধুনিকতা’ বিষয়ে পিএইচ.ডি করেছেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক। লিটল ম্যাগাজিন অর্বাক-এর সম্পাদক।
প্রকাশিত গ্রন্থ: বয়াংসি চরকায় লাঙল কাব্য (২০১১), কদাচিৎ কুত্রাপি (২০১৫), বিকস্বর কুত্রাপি (২০১৭), ফ্রয়েডিয় লিবিডো তত্ত্ব এবং তান্ত্রিক দেহাত্মবাদ : সমীক্ষণ ও তুলনামূলক বিচার (২০২৪)
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ: বঙ্গীয় শিল্পকলা; দেহতাত্ত্বিক দর্শনের উত্তরাধিকার (২০২৪)
সম্মাননা: ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার (২০১২), লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ পুরস্কার (২০১৩)।
নবোপলীয় বিপ্লবের দুই মূল উপাদান কৃষি ও শিল্পের জন্ম এবং বিকাশের আদিভূমি আমাদের বাংলাদেশ। বাংলা শুধু কৃষি নয় শিল্পেরও আদি প্রসূতি। বেঙ্গল বেসিন এর উত্তরে হিমালয় ও মেঘালয় মালভূমি, পশ্চিমে ছোটনাগপুরের মালভূমি আর পূর্বে চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা-নাগা পার্বত্য অঞ্চল এবং মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ উপসাগর- পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। যার উপরে পলি সঞ্চিত হয়ে মানব সভ্যতা শুরুর কোটি বছর আগেই তৈরি ছিল এই অতি উর্বর ভূমি। প্রাকৃতিক ভাবেই এখানকার মানুষের জীবনধারণ ছিল সহজ ও সাবলীল। অবসরে জ্ঞানবিজ্ঞান-ধর্ম-দর্শন-সাহিত্য ও মননশীলতা সমৃদ্ধ সভ্যতার বিকাশ ঘটে এই অঞ্চলে। বয়াংসি চরকায় লাঙল কাব্য বাঙালির বিস্মৃত ইতিহাসকে তুলে আনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। সৃষ্টির শুরু থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত বাংলার লোকায়ত ও রাজনৈতিক ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা বীজধান। বাংলা ভাষার উৎপত্তি যদি চর্যাপদের সময়কাল থেকে ধরা হয় তো সেই সময়ের শব্দগুচ্ছ, ভাবপ্রকাশের ধরণকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা ছাড়াও কিছু দালিলিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়েছে চর্যাপদের কিছু পঙক্তি, কিছু সংস্কৃত অনুশাসন এবং পূর্ববর্তী কবিদের পদপঙক্তি-বাক্য। যুগের সাথে সাথে ভাষার বিবর্তনকেও রূপায়িত করার প্রচেষ্টায় গঠনগত উত্থান পতন রয়েছে। ছন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়ার আশংকা থেকে মাঝে মাঝে তৈরি হয়েছে ছন্দহীনতার বাঁধা। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর ঐতিহাসিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এরা অঙ্গীভূত হয়েছে। কবিতার অধিকাংশ শব্দের রয়েছে নিজস্ব প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট। বাংলার গন্ধ বহন করা শব্দের বিচরণ এখানে অবাধ, স্বতঃস্ফুর্ত এবং কালান্তরের বর্ণবিভায় বৈচিত্রময়।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “বয়াংসি চরকায় লাঙল কাব্য” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.