চিরদূরের কাছে প্রার্থনা

কবিতাকে ছুটি দিয়ে কবিতা লেখেন দ্বিত্ব শুভ্রা। ‘পদ-লালিত্য-ঝংকার’, অন্তর্মিলের পরিবর্তে ছেড়ে দে রে তারে খোলা হাওয়ায়, উড়ে যাক সে যেদিক পারে–কবিতার উল্লাসকে ছড়িয়ে দিয়েছেন যে-কবিতা কবির সাথে যেভাবে মন খুলতে চেয়েছে। তাঁর কবিতার চিত্রকল্পে, শব্দ চয়নে এক বিমূর্ত শিল্পীসত্তার ছাপ লক্ষ করা যায়। এই যে জীবন, তার সকাল-সন্ধ্যা-রাত, আলোআঁধারি আর চড়াই-উতরাই থেকে কবিতার মনস্তাত্বিক রসদ সংগ্রহ করেন দ্বিত্ব শুভ্রা।
দ্বিত্ব শুভ্রা’র কবিতার অনুসঙ্গে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অনুপুঙ্খ বিবরণ এবং মানব মনের আনাচে-কানাচে, দুর্গম, বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় কবির যুগপৎ বিচরণের সাক্ষ্য পাওয়া যায়। আবার কখনো-বা কবিতার ঝুলন্ত ট্রাপিজের এক শঙ্কাকুল দোদুল্যমানতায় হাত ধরে তুলে নিয়ে উদ্দিষ্টের কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় পৌঁছে তিনি পাঠকের হাত ছেড়ে দেন। অতঃপর নিজের দুই হাত জড়ো করেন চিরদূরের কাছে প্রার্থনায়।

৳ 395.00 ৳ 316.00

In stock

Book Details

Weight .339 kg
Dimensions 6.7 × 8 × .6 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

About The Author

দ্বিত্ব শুভ্রা

জন্ম, গেল শতাব্দির সত্তর দশকের শেষভাগে, ঢাকায়। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব-কৈশোর কেটেছে বরিশালে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর রসায়নে। পরে মানব-সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পেশাদার পিজিডিএইচআরএম। ঢাকার একটি স্বনামধন্য স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে মানুষের জরা-উপশম, জন্ম-মৃত্যু, কান্নাহাসি নিয়ে কাটে তার কর্মব্যস্ত দিন।
মানবজীবনের অন্তর্নিহিত বিপন্নতা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তাই ঘুমের মাঝেও আতংকগ্রস্থ হয়ে ছোটেন। মথে খাওয়া সমাজের মস্তিষ্ক, জিহ্বা ও হৃদয়ের সাথে নিজের মিল না দেখে আত্মদ্বন্দ্বে ভোগেন আর তাড়িত হন এক শুভ্রা হতে আরেক শুভ্রায়--বাস্তবতার শুভ্রার সাথে আবেগী শুভ্রা, যুক্তির শুভ্রার সাথে ফানাফিল্লাহর শুভ্রা। এরপরেই লুপ্ত হন দ্বিত্ব, শুভ্রতায় অথবা দ্বিত্বতায়। দারুণ প্রকৃতিপ্রেমিক তিনি। বৃক্ষ আর পাহাড় তার প্রাণ।
২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘চৌ পাহারার গেহ’ প্রথম এবং ২০১৬ সালে ‘রক্তমাদল’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এ বছর প্রকাশিত তাঁর দুটি ভিন্ন স্বাদের কাব্যগ্রন্থ, ‘চির দূরের কাছে প্রার্থনা’ এবং ‘নখরে চিনেছি স্পর্শ’।

কবিতাকে ছুটি দিয়ে কবিতা লেখেন দ্বিত্ব শুভ্রা। ‘পদ-লালিত্য-ঝংকার’, অন্তর্মিলের পরিবর্তে ছেড়ে দে রে তারে খোলা হাওয়ায়, উড়ে যাক সে যেদিক পারে–কবিতার উল্লাসকে ছড়িয়ে দিয়েছেন যে-কবিতা কবির সাথে যেভাবে মন খুলতে চেয়েছে। তাঁর কবিতার চিত্রকল্পে, শব্দ চয়নে এক বিমূর্ত শিল্পীসত্তার ছাপ লক্ষ করা যায়। এই যে জীবন, তার সকাল-সন্ধ্যা-রাত, আলোআঁধারি আর চড়াই-উতরাই থেকে কবিতার মনস্তাত্বিক রসদ সংগ্রহ করেন দ্বিত্ব শুভ্রা।
দ্বিত্ব শুভ্রা’র কবিতার অনুসঙ্গে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অনুপুঙ্খ বিবরণ এবং মানব মনের আনাচে-কানাচে, দুর্গম, বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় কবির যুগপৎ বিচরণের সাক্ষ্য পাওয়া যায়। আবার কখনো-বা কবিতার ঝুলন্ত ট্রাপিজের এক শঙ্কাকুল দোদুল্যমানতায় হাত ধরে তুলে নিয়ে উদ্দিষ্টের কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় পৌঁছে তিনি পাঠকের হাত ছেড়ে দেন। অতঃপর নিজের দুই হাত জড়ো করেন চিরদূরের কাছে প্রার্থনায়।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “চিরদূরের কাছে প্রার্থনা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *