ঢোঁড়াই চরিত মানস

বিহারের জিরানিয়া শহর, তার থেকে কিছুটা দূরে তাৎমাটুলি, তার পাশে ধাঙড়টুলি—এ উপন্যাসের ভৌগোলিক পটভূমি। ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ তাৎমাটুলি-ধাঙড়টুলির গরিব মানুষের জীবন আখ্যান; সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের সঙ্গে তাদের লড়াই ও নিত্যদিনের গল্প, দৈবশক্তিতে তাদের ভরসার গল্প। সে সময়ের সেখানকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে এ উপন্যাসে।

অনাথ বালক ঢোঁড়াই এ উপন্যাসের নায়ক। বড় হতে হতে সে তার গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা ‘পাক্কী’ থেকে শুরু করে বদলে যেতে দেখে সবকিছু। সে প্রত্যক্ষ করে সময়ে অসময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিবাদ, সত্যাগ্রহ আন্দোলন, বিহারের ভূমিকম্প ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দৈবশক্তিতে তার অটুট বিশ্বাস। প্রধান নারীচরিত্র রামিয়ার সাথে জীবন শুরু করে ঠিকই; কিন্তু সে জীবনের কতটুকুই বা যাপন করে সে? এ এক জিজ্ঞাসা ছাড়া আর কিছু নয় বৈকি। ইতিহাসকে অনুসরণ করে চলতে থাকে সে ভবিষ্যতের দিকে। পেছনে রয়ে যায় রামিয়া, বাওয়া, দুখিয়ার মা ও তার গ্রামের পাশের রাস্তা ‘পাক্কী’’।

৳ 450.00 ৳ 360.00

In stock

Book Details

Binding Type

Language

ISBN

Pages

Release date

Size

7.7 X 5

About The Author

সতীনাথ ভাদুড়ী

সতীনাথ ভাদুড়ীর জন্ম ১৯০৬ সালে বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। পিতা ইন্দুভূষণ ভাদুড়ী এবং মাতা রাজবালা দেবী।

১৯২৪ সালে পূর্ণিয়া জেলা স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৩০ সালে অর্থনীতিতে এম.এ. এবং ১৯৩১ সালে আইন পাস করেন। পেশা ওকালতি। রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ভাগলপুর জেলে আটক থাকাকালে রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে তিনি রচনা করেন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘জাগরী’। উপন্যাসটির জন্য ১৯৫০ সালে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর রচিত ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ উপন্যাসের জন্য তিনি পাঠকমহলে বিশেষভাবে সমাদৃত। উপন্যাসটি দুটি চরণে বিভক্ত। ১৯৪৯ সালে প্রথম ও ১৯৫১ সালে দ্বিতীয় চরণ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে: ‘পত্রলেখার বাবা’, ‘অচিন রাগিণী’, ‘আলোক দৃষ্টি’, ‘অপরিচিতা’, ‘গণনায়ক’, ‘চিত্রগুপ্তের ফাইল’, ‘সংকট’, ‘দিগভ্রান্ত’ ইত্যাদি।

১৯৬৫ সালে প্রখ্যাত এ কথাসাহিত্যিক মৃত্যুবরণ করেন।

বিহারের জিরানিয়া শহর, তার থেকে কিছুটা দূরে তাৎমাটুলি, তার পাশে ধাঙড়টুলি—এ উপন্যাসের ভৌগোলিক পটভূমি। ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ তাৎমাটুলি-ধাঙড়টুলির গরিব মানুষের জীবন আখ্যান; সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের সঙ্গে তাদের লড়াই ও নিত্যদিনের গল্প, দৈবশক্তিতে তাদের ভরসার গল্প। সে সময়ের সেখানকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে এ উপন্যাসে।

অনাথ বালক ঢোঁড়াই এ উপন্যাসের নায়ক। বড় হতে হতে সে তার গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা ‘পাক্কী’ থেকে শুরু করে বদলে যেতে দেখে সবকিছু। সে প্রত্যক্ষ করে সময়ে অসময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিবাদ, সত্যাগ্রহ আন্দোলন, বিহারের ভূমিকম্প ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দৈবশক্তিতে তার অটুট বিশ্বাস। প্রধান নারীচরিত্র রামিয়ার সাথে জীবন শুরু করে ঠিকই; কিন্তু সে জীবনের কতটুকুই বা যাপন করে সে? এ এক জিজ্ঞাসা ছাড়া আর কিছু নয় বৈকি। ইতিহাসকে অনুসরণ করে চলতে থাকে সে ভবিষ্যতের দিকে। পেছনে রয়ে যায় রামিয়া, বাওয়া, দুখিয়ার মা ও তার গ্রামের পাশের রাস্তা ‘পাক্কী’’।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ঢোঁড়াই চরিত মানস”

Your email address will not be published. Required fields are marked *