ফ্রানৎস কাফকা বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক। এ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ী ১০৯ জন লেখকের মধ্যে ৩২ জনই তাঁদের লেখায় কাফকার সরাসরি প্রভাব আছে বলে স্বীকার করেছেন। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পরে আর কোনো লেখককে নিয়ে এতটা লেখালেখি বা গবেষণা হয়নি, যা হয়েছে কাফকাকে নিয়ে।
বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক ফ্রানৎত কাফকা। শেকসপিয়ারের পরে আর কোনো লেখককে নিয়ে এতটা গবেষণা হয়নি, যা হয়েছে কাফকাকে নিয়ে। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগের আগেই তাঁকে নিয়ে লেখা হয়ে গেছে ১০ হাজার বই। আর ১৯৯৬ থেকে ২০১০ পর্য
ন্ত সময়ে প্রতি ১০ দিনে তাঁর ওপর বের হয়েছে একটি করে নতুন বই। মাত্র নয়টি পূর্ণাঙ্গ গল্প, তিনটি অসমাপ্ত উপন্যাস, সামান্য কয়টি অসমাপ্ত বড় গল্প, কিচু গদ্য-স্কেচ, ডায়েরি ও চিঠি রেখে যাওয়া এই লেখকের - যিনি বন্ধুকে আদেশ দিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সব লেখা পুড়িয়ে ফেলতে - ক্ষুদ্রায়তন পাণ্ডুলিপির মূল্য ধরা হয়েছিল ১০ কোটি পাউন্ড, কিন্তু অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয় তা বেচেনি। এ পর্যন্ত সাহিত্য নোবেলবিজয়ী ১০৯ জন লেখকের মধ্যে ৩২ জনই নিজেদের ওপরে কাফকার প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন।
ভূমিকা, অনুবাদ, পাঠ-পর্যালোচনা: মাসরুর আরেফিন
জন্ম : অক্টোবর, ১৯৬৯। শিক্ষা: বরিশাল ক্যাডেট কলেজ; আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্ন। পাঠ, অনুবাদ ও ব্যক্তিগত কাফকা-গবেষণার শুরু : ১৯৯০।
একমাত্র প্রকাশিত বই: কাব্যগ্রন্থ ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প (২০০১), যা প্রথম আলোর সে বছরের নির্বাচিত বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। বর্তমানে ব্যস্ত এই গল্পসমগ্রর দ্বিতীয় খণ্ড (মৃত্যুর পরে প্রকাশিত গল্প ও প্রবচনসমূহের পূর্ণাঙ্গ সংকলন) ও কাফকার প্রধান উপন্যাস দুর্গ (The Castle)-এর বাংলা অনুবাদের কাজে এবং সেইসঙ্গে নিজের প্রথম মৌলিক গল্প-সংকলনের নির্মাণ নিয়ে।
মাসরুর আরেফিন
মাসরুর আরেফিন
জন্ম: অক্টোবর, ১৯৬৯, বরিশালে। পড়াশোনা বরিশাল ক্যাডেট কলেজ; ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্নে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প (২০০১) প্রথম আলোর সে বছরের নির্বাচিত বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তাঁর অনুবাদে ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র (২০১৩) ব্র্যাক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি-চিত্তরঞ্জন সাহা সেরা প্রকাশনা পুরস্কার লাভ করে। ২০১৫ সালে বের হয় তাঁর হোমারের ইলিয়াড এবং সমাদৃত হয় পাঠকমহলে। পরে ২০১৯ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস আগস্ট আবছায়া বাংলা ভাষার পাঠক-সমালোচক সবাইকে দেয় এক নতুন ধরনের উপন্যাস পাঠের স্বাদ। তিনি নোবেল বিজয়ী কবি স্যাঁ-ঝন পের্সের মহাকাব্য আনাবাজ (২০২০)-এরও অনুবাদক। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস আলথুসার-এর খণ্ডাংশ ২০১৯ সালে প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় বের হলে পাঠক ও বোদ্ধামহলে বিপুল প্রশংসিত হয়। পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস হিসেবে আলথুসার প্রকাশিত হয় ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি বইমেলায়। পৃথিবী এলেমেলো সকালবেলায় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
গত শতকের মধ্য-নব্বইয়ের আগেই, মৃত্যুর সত্তর বছরের মধ্যে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়ে গেছে ১০ হাজার বই, আর ১৯৯৬ থেকে ২০১০-এর ভেতরে প্রতি ১০ দিনে তাঁর ওপর বের হয়েছে একটি করে নতুন গবেষণা-গ্রন্থ। অনুবাদকের দীর্ঘ বাইশ বছরের ব্যক্তিগত কাফকা-গবেষণার পরে দুই খণ্ডে ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র বাংলায় বেরোনোর পাশাপাশি আলাদাভাবে বের হলো কাফকার জীবদ্দশায় প্রকাশিত বইগুলো একই রকম ভূমিকা, টীকা ও দীর্ঘ পাঠ-পর্যালোচনাসহ কাফকা-সাহিত্যের ‘নিয়তি বা সম্ভবত এই লেখাগুলোর মহত্ত¡ এটাই যে এগুলো তুলে ধরে সবকিছুই, কিন্তু নিশ্চিত করে না কিছুই।’ আলব্যের কাম্যু ‘এ বইয়ের কোন বিষয়টি যে আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে, তা আমি বলতে পারব না কাল্পনিক এক পৃথিবীর খুব স্বাভাবিক এক উপস্থাপনা (যা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হয়েছে নানা চিত্রকল্পের সূক্ষতম ও নির্ভুল চিত্রণের মাধ্যমে), নাকি রহস্যময়তার দিকে এর বেপরোয়া এক যাত্রা? – আঁদ্রে জিদ
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “ফ্রানৎস কাফকা: এক গ্রাম্য ডাক্তার” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.