গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি

গোঁসাই গোপাল সাধনতত্ত্বের অনেক গান রচনা করেন। একসময় সারা বাংলা জুড়েই তাঁর গানের প্রচার-প্রসার ও আদর-কদর ছিল। গোপালের গানে যোগ-তন্ত্র ও সহজিয়া ভাবের মিশ্রণ ঘটেছিল। সুফিমতও সেই গানকে ঋদ্ধ করে। এই বিষয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন মন্তব্য করেন : ‘তিনি [গোঁসাই গোপাল] হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের জনমনের রসের জোগান দিয়াছেন।’

একদা বিশিষ্ট ও বিখ্যাত মরমি সাধক গোঁসাই গোপাল আজ প্রায়-বিস্মৃত একটি নাম। উত্তরসাধকের অভাবে তাঁর গানও বিলুপ্তির পথে। গোঁসাই গোপালের দুই পুত্রের সংকলিত গোপাল গীতাবলী নামে স্বতন্ত্র দুটি গীত-সংকলনেরও হদিস মেলে না। সেই দুষ্প্রাপ্য পুস্তিকা দুটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়- গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি নামে।

৳ 295.00 ৳ 236.00

In stock

Book Details

Weight .400 kg
Dimensions 5.7 × 8.3 × .5 in
Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Height

8.3

Width

5.7

About The Author

আবুল আহসান চৌধুরী

আবুল আহসান চৌধুরী মূলত প্রাবন্ধিক ও গবেষক। সমাজমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। তাঁর চর্চা ও গবেষণার বিষয় ফোকলোর, উনিশ শতকের সমাজ ও সাহিত্য, সাময়িকপত্র, আধুনিক সাহিত্য, সংগীত-সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক ইতিহাস। তাঁর লালন সাঁই, কাঙাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হোসেন-বিষয়ক গবেষণা-কাজ দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। জন্ম কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরে, ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৩। সাহিত্যচর্চার পেছনে আছে পারিবারিক আবহ ও আনুকূল্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি। প্রায় সাঁইত্রিশ বছর অধ্যাপনা-পেশায় যুক্ত। বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালনমেলা সমিতির লালন পুরস্কার (২০০০), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৮) এবং গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (ঢাকা, ২০০৯)।

মরমি সাধনা ও সংগীতের সঙ্গে লোকায়ত বাংলা ও বাঙালির গভীর সম্পর্ক ও নিগূঢ় যোগ বহুকালের। এই সাধনায় অধ্যাত্ম-উপলব্ধির পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ ও সম্প্রদায়-সম্মিলনের ভাববাণীও উচ্চারিত হয়েছে। গোঁসাই গোপাল (১২৭৬-১৩১৯) ছিলেন এই ধারারই এক মহান সাধক।

বাউল-বৈষ্ণবদের পীঠস্থান শিলাইদহে গোপালের আবির্ভাব। জনক গোঁসাই রামলালও ছিলেন পরম সাধক ও মরমি পদকর্তা। পিতাই তাঁর সাধনা ও সংগীতের গুরু। বাউল-গবেষক ডক্টর উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন: ‘লালনের তিরোধানের পর কুষ্টিয়া অঞ্চলে বাউল-মতাবলম্বী একজন রসিক বৈষ্ণব সাধকের উদ্ভব হয়। ইনি শিলাইদহের গোঁসাই গোপাল।’

গোঁসাই গোপাল সাধনতত্ত্বের অনেক গান রচনা করেন। একসময় সারা বাংলা জুড়েই তাঁর গানের প্রচার-প্রসার ও আদর-কদর ছিল। গোপালের গানে যোগ-তন্ত্র ও সহজিয়া ভাবের মিশ্রণ ঘটেছিল। সুফিমতও সেই গানকে ঋদ্ধ করে। এই বিষয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন মন্তব্য করেন : ‘তিনি [গোঁসাই গোপাল] হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের জনমনের রসের জোগান দিয়াছেন।’

একদা বিশিষ্ট ও বিখ্যাত মরমি সাধক গোঁসাই গোপাল আজ প্রায়-বিস্মৃত একটি নাম। উত্তরসাধকের অভাবে তাঁর গানও বিলুপ্তির পথে। গোঁসাই গোপালের দুই পুত্রের সংকলিত গোপাল গীতাবলী নামে স্বতন্ত্র দুটি গীত-সংকলনেরও হদিস মেলে না। সেই দুষ্প্রাপ্য পুস্তিকা দুটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়- গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি নামে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “গোঁসাই গোপালের মরমি পদাবলি”

Your email address will not be published. Required fields are marked *