ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো

‘চোখ ধাঁধানো… অবাক করা এক সৃষ্টি… রহমান তাঁর উপন্যাসকে ব্যবহার করেছেন কঠিন ও বিশদ এক চিন্তার কাজে, যার কেন্দ্রে রয়েছে শ্রেণিচেতনা, জ্ঞান এবং মানুষের ঠিকানা—এই তিনের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টা…প্রতিটা পৃষ্ঠা ঠাসা ভাবনা ও উসকানিতে…গভীর ও তীক্ষ্মধী এক গল্পকথক’ — জেমস উড, নিউ ইয়র্ক বুক রিভিউ
‘অস্বস্তিকর ও নিগূঢ়…এ-বইয়ের গভীরতা প্রচণ্ড মন্ত্রমুগ্ধকর, এর কাহিনি মনে ছাপ ফেলার মতো বাস্তব, আবার বিভ্রমজাগানো…তুমুল হৃদয়গ্রাহী — গার্ডিয়ান
‘কথাসাহিত্যের এক অনন্য কাজ…বলার অযোগ্য এমন অনেক কিছুর সাক্ষ্য দিচ্ছে এ-গ্রন্থ’ — জয়েস ক্যারল ওটস্, নিউ ইয়র্ক রিভিউ অব বুকস
‘[লেখকের] এক বিস্ময়কর প্রথম-আত্মপ্রকাশ…বুদ্ধিবৃত্তির এক মহাভোজ — দ্য ইকোনমিস্ট
‘বিস্তার ও গভীরতার দিক থেকে এটা বিশ্বকোষসুলভ, পাণ্ডিত্যের বিচারে হতবিহবলকর — অবজারভার
‘[এটা পড়া] এক সুখানুভূতি …মানুষের সংকীর্ণতা ও আত্মপ্রসাদের বিরুদ্ধে এ লেখা এক সুন্দর কিন্তু ব্যথাতুর দীর্ঘ তিরস্কার’ — টাইমস্ লিটারারি সাপ্লিমেন্ট

৳ 1,495.00 ৳ 1,196.00

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Pages

Price

HB: 1495 PB: 995

Size

: 8.7" x 6"

About The Author

জিয়া হায়দার রহমান

জিয়া হায়দার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। শিশু থাকতে তিনি পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে, বেড়ে ওঠেন হতদরিদ্র এক ভাঙা দালানে, পরে সরকারের দেওয়া কাউন্সিল এস্টেটের ছোট চার দেওয়ালের মাঝে তার বাস-কন্ডাক্টর বাবা ও সেলাইয়ের কাজ করা মায়ের সঙ্গে। এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যালিওল কলেজ থেকে ফার্স্ট ক্লাস অনার্স ডিগ্রি নিয়ে তিনি উচ্চতর পড়াশোনা শেষ করেন ক্যামব্রিজ, মিউনিখ ও ইয়েলে। কর্মজীবনে তিনি ওয়াল স্ট্রিটে গোল্ডম্যান স্যাকস্-এর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ছিলেন, পরে কাজ করেছেন কর্পোরেট আইনজীবী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজ্ঞ, এবং ঢাকার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে দুর্নীতি দমন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবেও। ২০১৪ সালে প্রকাশিত এ-উপন্যাস তাঁর প্রথম লেখা, যা তাকে সরাসরি জায়গা করে দেয় বিশ্বাসাহিত্যের মূল মঞ্চে। ২০১৫-র আগস্টে উপন্যাসটি বৃটেনের প্রাচীনতম সাহিত্য পুরস্কার ‘জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল প্রাইজ ২০১৪’ লাভ করে। এছাড়া এটি মনোনয়ন পায় গোল্ডস্মিথ প্রাইজ, স্পেকসেভারস্ ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ডস এবং দি গার্ডিয়ান ফার্স্ট বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্যও। আবার ২০১৬-তে এসে এ-উপন্যাসের ব্যতিক্রমী শক্তির জন্য রহমান লাভ করেন প্রথম ‘ইন্টারন্যাশনাল রানাল্ড ম্যাকডোনাল্ড’ পুরস্কার। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাডক্লিফ ফেলো এবং বিবিসি রেডিও ফোর-এর ‘এ পয়েন্ট অব ভিউ’ অনুষ্ঠানের নিয়মিত কণ্ঠ। হার্ভার্ডের র‌্যাডক্লিফ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট মতে রহমান এখন ব্যস্ত তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাসের কাজ নিয়ে, যার প্রাথমিক নাম ‘ক্রিয়েশন’।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরের এক সকালে-ঠিক যে মাসে পতন ঘটল বিশাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক লেহম্যান ব্রাদার্সের আর পুরো পৃথিবী যখন রুদ্ধশ্বাসে দেখছে গ্লোবাল ফিনান্শিয়াল ক্রাইসিস’ নামের নাটকের আতঙ্কছড়ানো শেষ অঙ্ক-উদ্বিগ্ন চেহারা নিয়ে এক যুবক বিনা নোটিশে হাজির হলো লন্ডনে তার পুরোনো বন্ধুর বাড়ির দরজায়। আগন্তুককে চিনতে কিছুটা সময় লাগল বন্ধুর, কারণ এ-লোক, বাংলাদেশি ব্রিটিশ, নাম জাফর, হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিল কয়েক বছর আগে। জাফর তার আমেরিকায় জন্ম নেওয়া সম্ভ্রান্ত পাকিস্তানি বন্ধুকে শুরু করল তার উধাও-পর্বের, তার টালমাটাল পুরো জীবনের গল্প বলা। লন্ডনের সেই বাড়ির নির্জনতা ভেঙে দেওয়া এই বিস্ফোরক গল্প যতটা বন্ধুত্ব, প্রেম, লজ্জা, পাপবোধ, বিশ্বাসঘাতকতা ও স্নায়ুবিকারের, ততোটাই তা এই পৃথিবীর মূল চেহারার, আমাদের এই শতাব্দীর অস্থিরমতিত্বের।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো”

Your email address will not be published. Required fields are marked *