ধর্মে বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ এক জিনিস আর তাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করা আরেক ব্যাপার। ধর্মের মূলনীতিগুলোর আবেদন শাশ্বত, সর্বজনীন। কিন্তু তার অনুশাসন, বিধিবিধানগুলো দেশকালের আওতাধীন। ধর্মবিশ্বাসী মানুষের জন্য ধর্মের যুগোপযোগী ব্যাখ্যার প্রয়োজন তাই সব কালেই থাকে। যুক্তি ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে ধর্মের ব্যাখ্যা এর আগেও আমাদের দেশে কোনো-কোনো লেখক-চিন্তাবিদ করেছেন। মোরশেদ শফিউল হাসানের এ বইটি সে ধারায় এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অন্যান্য প্রতিবন্ধকের মধ্যে একটি বড় বাধা বা হুমকি হলো মৌলবাদী শক্তির পুনরুত্থান ও ক্রমবর্ধমান তৎপরতা। এই পটভূমিতে গবেষণাধর্মী এ পুস্তকটি মৌলবাদী ধ্যানধারণার মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদেরই শুধু সাহায্য করবে না। সকল স্তরের পাঠকের মধ্যে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার বিকাশেও সহায়ক হবে।
লেখক বলেছেন, “মৌলবাদ বা ধর্মীয় পুনরুজ্জীবনবাদ আসলে একটি প্রতিক্রিয়াশীল প্রবণতা। এর চোখ ও পা দুই-ই হলো ইতিহাসের উল্টোদিকে।” সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিন্তু অব্যর্থ যুক্তি, তথ্য ও উদ্ধৃতির সাহায্যে লেখক এ বক্তব্যটিকেই বইয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মোরশেদ শফিউল হাসান : প্রাবন্ধিক, গবেষক, সমালোচক ও কবি। জন্ম ১৯৫৩ সালের ২১ মার্চ (৭ চৈত্র ১৩৬০)। লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ.ডি। দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। দীর্ঘ সময় শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক কাজেও নিয়োজিত ছিলেন। ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণের পর বর্তমানে দেশের একটি বৃহৎ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবে যুক্ত আছেন। কর্মজীবনের শুরুতে বেশ কিছুকাল বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। এখনও মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকায় কলাম লেখেন। স্বনামে ও বেনামে এ যাবৎ প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ, গবেষণা, কবিতা, উপন্যাস, অনুবাদ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, জীবনী, জনপ্রিয় বিজ্ঞান, সাময়িক প্রসঙ্গধর্মী বা সামাজিক-রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক রচনা ইত্যাদি। এছাড়া সম্পাদনাও করেছেন বেশকিছু বই। দলীয় ও গোষ্ঠী আনুগত্যের বাইরে স্বাধীন চিন্তার জন্য পরিচিত। প্রবন্ধ ও গবেষণার জন্য বাংলা একাডেমি ও আহমদ ছফা সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।
ইসলাম ও মৌলবাদ : ধর্ম ও ধর্মের রাজনীতি বইয়ে লেখক ধর্মতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ, তার নানা স্ববিরোধ ও সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে মৌলবাদীদের প্রচারণা ও তথাকথিত যুক্তিকেও ইতিহাসের তথ্য এবং কোরআন ও হাদিসের বক্তব্যের আলোকে যাচাই করে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে।
ধর্মে বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ এক জিনিস আর তাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করা আরেক ব্যাপার। ধর্মের মূলনীতিগুলোর আবেদন শাশ্বত, সর্বজনীন। কিন্তু তার অনুশাসন, বিধিবিধানগুলো দেশকালের আওতাধীন। ধর্মবিশ্বাসী মানুষের জন্য ধর্মের যুগোপযোগী ব্যাখ্যার প্রয়োজন তাই সব কালেই থাকে। যুক্তি ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে ধর্মের ব্যাখ্যা এর আগেও আমাদের দেশে কোনো-কোনো লেখক-চিন্তাবিদ করেছেন। মোরশেদ শফিউল হাসানের এ বইটি সে ধারায় এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অন্যান্য প্রতিবন্ধকের মধ্যে একটি বড় বাধা বা হুমকি হলো মৌলবাদী শক্তির পুনরুত্থান ও ক্রমবর্ধমান তৎপরতা। এই পটভূমিতে গবেষণাধর্মী এ পুস্তকটি মৌলবাদী ধ্যানধারণার মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদেরই শুধু সাহায্য করবে না। সকল স্তরের পাঠকের মধ্যে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার বিকাশেও সহায়ক হবে।
লেখক বলেছেন, “মৌলবাদ বা ধর্মীয় পুনরুজ্জীবনবাদ আসলে একটি প্রতিক্রিয়াশীল প্রবণতা। এর চোখ ও পা দুই-ই হলো ইতিহাসের উল্টোদিকে।” সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিন্তু অব্যর্থ যুক্তি, তথ্য ও উদ্ধৃতির সাহায্যে লেখক এ বক্তব্যটিকেই বইয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “ইসলাম ও মৌলবাদ” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.