ইতিহাসের শিক্ষা : উইল ও অ্যারিয়েল ডুরান্ট

উইল ও অ্যারিয়েল ডুরান্ট রচিত এগারো খণ্ডের ‘সভ্যতার কাহিনি’ ধ্রুপদী ইতিহাস-সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে। সভ্যতার ইতিহাস-পাঠকের জন্য এই বিপুল-আয়তনের পুস্তকরাজি পাঠ করা আবশ্যিক বিবেচিত হলেও তা হয়ত সম্ভব হয় না সময়াভাবে অথবা সকল কালের ইতিহাস সম্পর্কে সম-আগ্রহের অভাবের কারণে। তার একটি সমাধান দিয়েছেন লেখকদ্বয়। তাঁরা পুস্তকগুলোর সারৎসার তুলে ধরেছেন হাল-পুস্তক ‘ইতিহাসের শিক্ষা’য়। এটি ক্ষুদ্রায়তনিক একটি পুস্তক। এতে ইতিহাসকে কালপর্বে নয়, বিভিন্ন ঐতিহাসিক কার্য-কারণ সূত্রে এবং থিমে ভাগ করে বিন্যস্ত এবং উপস্থাপন করা হয়েছে-উদাগরণত, ‘জীববিজ্ঞান ও ইতিহাস’. ‘অর্থনীতি ও ইতিহাস’, ‘ধর্ম ও ইতিহাস’, ‘যুদ্ধ ও ইতিহাস’ ইত্যাদি, ইত্যাদি। তেরটি অধ্যায় বা বলা চলে, প্রবন্ধে লেখখকদ্বয় ইতিহাসের পেছনে যে বস্তুগত ও ধারণাগত শক্তি, প্রবণতা, গতিধারা ক্রিয়াশীল ছিল এবং এখনো আছে, তা তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিহাসের পেছনে একক কোনো ছন্দ বা প্যাটার্ন বা শক্তি, যেমন অর্থনৈতিক কারণ, বা রাজনৈতিক কারণ, বা কোনো ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্বের ভ‚মিকা কাজ করেনি, বরং তা যে বিভিন্ন প্রবণতা, বস্তুগত ও মানসিক শক্তির মিথস্ত্রিয়ায় অগ্রসর ও পরিবর্তিত হয়েছিল, তা-ই তুলে ধরেছেন ঐতিহাসিকদ্বয়। এই পুস্তকটি সাধারণ পাঠকের আগ্রহের কারণ ঘটাবে বলে আমাদের বিশ্বাস; সেইসঙ্গে যদি তা উইল ও অ্যারিয়েল ডুরান্টের মূল পুস্তকসমূহ পাঠ করার আগ্রহ জোগায় তবে আমাদের বিশ্ব-ইতিহাসের পাঠ নতুন মাত্রা পাবে বলে আমরা আনন্দলাভ করতে পারি।

৳ 395.00 ৳ 316.00

In stock

Book Details

Weight .700 kg
Dimensions 5.7 × 9.3 × 1 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

About The Author

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া

প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

উইল ও অ্যারিয়েল ডুরান্ট রচিত এগারো খণ্ডের ‘সভ্যতার কাহিনি’ ধ্রুপদী ইতিহাস-সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে। সভ্যতার ইতিহাস-পাঠকের জন্য এই বিপুল-আয়তনের পুস্তকরাজি পাঠ করা আবশ্যিক বিবেচিত হলেও তা হয়ত সম্ভব হয় না সময়াভাবে অথবা সকল কালের ইতিহাস সম্পর্কে সম-আগ্রহের অভাবের কারণে। তার একটি সমাধান দিয়েছেন লেখকদ্বয়। তাঁরা পুস্তকগুলোর সারৎসার তুলে ধরেছেন হাল-পুস্তক ‘ইতিহাসের শিক্ষা’য়। এটি ক্ষুদ্রায়তনিক একটি পুস্তক। এতে ইতিহাসকে কালপর্বে নয়, বিভিন্ন ঐতিহাসিক কার্য-কারণ সূত্রে এবং থিমে ভাগ করে বিন্যস্ত এবং উপস্থাপন করা হয়েছে-উদাগরণত, ‘জীববিজ্ঞান ও ইতিহাস’. ‘অর্থনীতি ও ইতিহাস’, ‘ধর্ম ও ইতিহাস’, ‘যুদ্ধ ও ইতিহাস’ ইত্যাদি, ইত্যাদি। তেরটি অধ্যায় বা বলা চলে, প্রবন্ধে লেখখকদ্বয় ইতিহাসের পেছনে যে বস্তুগত ও ধারণাগত শক্তি, প্রবণতা, গতিধারা ক্রিয়াশীল ছিল এবং এখনো আছে, তা তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিহাসের পেছনে একক কোনো ছন্দ বা প্যাটার্ন বা শক্তি, যেমন অর্থনৈতিক কারণ, বা রাজনৈতিক কারণ, বা কোনো ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্বের ভ‚মিকা কাজ করেনি, বরং তা যে বিভিন্ন প্রবণতা, বস্তুগত ও মানসিক শক্তির মিথস্ত্রিয়ায় অগ্রসর ও পরিবর্তিত হয়েছিল, তা-ই তুলে ধরেছেন ঐতিহাসিকদ্বয়। এই পুস্তকটি সাধারণ পাঠকের আগ্রহের কারণ ঘটাবে বলে আমাদের বিশ্বাস; সেইসঙ্গে যদি তা উইল ও অ্যারিয়েল ডুরান্টের মূল পুস্তকসমূহ পাঠ করার আগ্রহ জোগায় তবে আমাদের বিশ্ব-ইতিহাসের পাঠ নতুন মাত্রা পাবে বলে আমরা আনন্দলাভ করতে পারি।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ইতিহাসের শিক্ষা : উইল ও অ্যারিয়েল ডুরান্ট”

Your email address will not be published. Required fields are marked *