কুমারখালীর কাঙাল হরিনাথ মজুমদার-সম্পাদিত ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকা ও তাঁর ‘ফিকিরচাঁদ ফকিরের দল’-কে কেন্দ্র করে দূর-মফস্সলে গড়ে উঠেছিল এক সারস্বত-গোষ্ঠী। হরিনাথ-প্রাণিত এই দলকে ‘কাঙাল-মণ্ডলী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া যায়। জলধর সেন (১৮৬০-১৯৪৩) ছিলেন এই ‘কাঙাল-মণ্ডলী’রই এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক।
জলধর সেন ছিলেন উনিশ ও বিশ শতকের সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক সংযোগ সেতু। প্রায় আশি বছরের জীবন তিনি উৎসর্গ করেছিলেন সাহিত্যসাধনা ও সাময়িকপত্র-সম্পাদনা কর্মে। জলধরের কৃতিতে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংবর্ধনা উপলক্ষে লিখেছিলেন : ‘যিনি বাংলা সাহিত্য সমাজে আপন স্নিগ্ধ সহৃদয়তাগুণে বর্তমান সাহিত্যসাধকদের হৃদয় জয় করিয়াছেন সেই প্রবীণ সাহিত্যতীর্থপথিক শ্রীযুক্ত জলধর সেনের সম্মাননার উদ্দেশে উৎসৃষ্ট প্রশস্তিপুস্তকে এই কয়েক ছত্র অর্ঘ্যরূপে পাঠাইলাম।’
এই কৃতবিদ্য স্বারস্বত-সাধকের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচর্চা- ‘জলধর সেনের আত্মজীবন।’ এক অপস্রিয়মাণ কালের সমাজ, জীবন ও সংস্কৃতির অনবদ্য চালচিত্র এই বইটি। দীর্ঘ চৌষট্টি বছর পর জলধর সেনের এই দুষ্প্রাপ্য মহার্ঘ আত্মকথাটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়।
Reviews
There are no reviews yet.