জলধর সেনের আত্মজীবনী

কুমারখালীর কাঙাল হরিনাথ মজুমদার-সম্পাদিত ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকা ও তাঁর ‘ফিকিরচাঁদ ফকিরের দল’-কে কেন্দ্র করে দূর-মফস্সলে গড়ে উঠেছিল এক সারস্বত-গোষ্ঠী। হরিনাথ-প্রাণিত এই দলকে ‘কাঙাল-মণ্ডলী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া যায়। জলধর সেন (১৮৬০-১৯৪৩) ছিলেন এই ‘কাঙাল-মণ্ডলী’রই এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক।

জলধর সেন ছিলেন উনিশ ও বিশ শতকের সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক সংযোগ সেতু। প্রায় আশি বছরের জীবন তিনি উৎসর্গ করেছিলেন সাহিত্যসাধনা ও সাময়িকপত্র-সম্পাদনা কর্মে। জলধরের কৃতিতে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংবর্ধনা উপলক্ষে লিখেছিলেন : ‘যিনি বাংলা সাহিত্য সমাজে আপন স্নিগ্ধ সহৃদয়তাগুণে বর্তমান সাহিত্যসাধকদের হৃদয় জয় করিয়াছেন সেই প্রবীণ সাহিত্যতীর্থপথিক শ্রীযুক্ত জলধর সেনের সম্মাননার উদ্দেশে উৎসৃষ্ট প্রশস্তিপুস্তকে এই কয়েক ছত্র অর্ঘ্যরূপে পাঠাইলাম।’

এই কৃতবিদ্য স্বারস্বত-সাধকের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচর্চা- ‘জলধর সেনের আত্মজীবন।’ এক অপস্রিয়মাণ কালের সমাজ, জীবন ও সংস্কৃতির অনবদ্য চালচিত্র এই বইটি। দীর্ঘ চৌষট্টি বছর পর জলধর সেনের এই দুষ্প্রাপ্য মহার্ঘ আত্মকথাটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়।

৳ 495.00 ৳ 396.00

In stock

Book Details

Weight .500 kg
Dimensions 5 × .65 × 8.5 in
Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Height

8.5

Width

5.5

Weight

About The Author

আবুল আহসান চৌধুরী

আবুল আহসান চৌধুরী মূলত প্রাবন্ধিক ও গবেষক। সমাজমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। তাঁর চর্চা ও গবেষণার বিষয় ফোকলোর, উনিশ শতকের সমাজ ও সাহিত্য, সাময়িকপত্র, আধুনিক সাহিত্য, সংগীত-সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক ইতিহাস। তাঁর লালন সাঁই, কাঙাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হোসেন-বিষয়ক গবেষণা-কাজ দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। জন্ম কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরে, ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৩। সাহিত্যচর্চার পেছনে আছে পারিবারিক আবহ ও আনুকূল্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি। প্রায় সাঁইত্রিশ বছর অধ্যাপনা-পেশায় যুক্ত। বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালনমেলা সমিতির লালন পুরস্কার (২০০০), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৮) এবং গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (ঢাকা, ২০০৯)।

কুমারখালীর কাঙাল হরিনাথ মজুমদার-সম্পাদিত ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকা ও তাঁর ‘ফিকিরচাঁদ ফকিরের দল’-কে কেন্দ্র করে দূর-মফস্সলে গড়ে উঠেছিল এক সারস্বত-গোষ্ঠী। হরিনাথ-প্রাণিত এই দলকে ‘কাঙাল-মণ্ডলী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া যায়। জলধর সেন (১৮৬০-১৯৪৩) ছিলেন এই ‘কাঙাল-মণ্ডলী’রই এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক।

জলধর সেন ছিলেন উনিশ ও বিশ শতকের সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক সংযোগ সেতু। প্রায় আশি বছরের জীবন তিনি উৎসর্গ করেছিলেন সাহিত্যসাধনা ও সাময়িকপত্র-সম্পাদনা কর্মে। জলধরের কৃতিতে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংবর্ধনা উপলক্ষে লিখেছিলেন : ‘যিনি বাংলা সাহিত্য সমাজে আপন স্নিগ্ধ সহৃদয়তাগুণে বর্তমান সাহিত্যসাধকদের হৃদয় জয় করিয়াছেন সেই প্রবীণ সাহিত্যতীর্থপথিক শ্রীযুক্ত জলধর সেনের সম্মাননার উদ্দেশে উৎসৃষ্ট প্রশস্তিপুস্তকে এই কয়েক ছত্র অর্ঘ্যরূপে পাঠাইলাম।’

এই কৃতবিদ্য স্বারস্বত-সাধকের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচর্চা- ‘জলধর সেনের আত্মজীবন।’ এক অপস্রিয়মাণ কালের সমাজ, জীবন ও সংস্কৃতির অনবদ্য চালচিত্র এই বইটি। দীর্ঘ চৌষট্টি বছর পর জলধর সেনের এই দুষ্প্রাপ্য মহার্ঘ আত্মকথাটির প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশিত হলো ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায়।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “জলধর সেনের আত্মজীবনী”

Your email address will not be published. Required fields are marked *