জীবন কী খণ্ডিত নাকি অখণ্ড?
কে জানে আসলে সে কেমন?
‘তাহারা’ আসলে কারা?
আমি তুমি সে নাকি অন্য কেউ?
খণ্ড-অখণ্ড জীবনের সঙ্গেই-বা ‘তাহাদের’ কী যোগ?
মূর্ত-বিমূর্তবোধের ঠিক মধ্যখানে কিংবা বলা যায়,
পিরামিডের স্পর্শবিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর
মৌলিক ভাবনার জমাটবদ্ধ নিঃশ্বাসের বোধোদয়ের আকাট আখ্যান,
ঔপন্যাসিক নিলুফা আক্তারের দ্বিতীয় উপন্যাস
‘খণ্ডিত জীবন এবং তাহাদের কথা’
এই আখ্যান লেখকের অনিবার্য স্বতঃস্ফূর্ত অন্বেষণ
আর ব্যক্তির অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনের এক মুখোমুখি কথোপকথন।
জীবনের অতল সাধ. অপরিমেয় আস্বাদ, সৃষ্টির অপার আকাঙ্ক্ষার
অনিঃশেষ উপলব্ধিতে প্রগাঢ় এই উপন্যাস পাঠে
পাঠকচিত্ত যেমন ঋদ্ধ হবেন; ঠিক তেমনি জীবন ভাবনায় হবেন সিদ্ধ।
এক অবদমিত জীবন তৃষ্ণা আর অপ্রতিরোধ্য মৃত্যু-ভয়ের ঠিক মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর উপন্যাসের মানুষগুলো। জন্ম, মৃত্যু আর যাপিত জীবন-এই ত্রিলোকের ঘর-মন-জানালার সত্য উদ্ঘাটনে নিমগ্ন লেখক ‘নিলুফা আক্তার’-এর জন্ম ১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া এই ত্রিনদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত ‘চাঁদপুর’ শহরে। বাবা মরহুম আবদুল হাকিম পেশায় আইনজীবী ছিলেন। মা মনোয়ারা বেগম প্রাক্তন স্কুল শিক্ষয়িত্রী। পড়াশোনার শুরু চাঁদপুর মিশন স্কুলে। ১৯৮৬ সালে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৮৮ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সিলেট সরকারি এমসি কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স পাস করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ওই একই বিষয়ে এমএ, ২০০৫ সালে ওই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌরেন বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে ‘বনফুল’-এর উপন্যাস নিয়ে এমফিল ও ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
স্কুলজীবনেই তাঁর লেখালেখির ‘হাতেখড়ি’। সমকালে চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘নির্ঝর’, ‘নির্ভীক’ পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কবিতা লিখতেন। সিলেটের সুপ্রাচীন পত্রিকা ‘দৈনিক যুগভেরী’-এর শিশুবিষয়ক পাতা ‘আঁকা ও লেখা’-এর বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ’৯০-এর দশক থেকে তিনি ‘সিলেট লেখিকা সংঘ’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৯৯ সালে সিলেট লেখিকা সংঘ থেকে প্রকাশিত ‘শুচি’ গল্পগ্রন্থে, ত্রয়ী গল্প নিয়ে গল্পকার হিসেবে তাঁর আবির্ভাব। লেখকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি শুধু’ ২০০৯ সালে পলল প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী মো. তারেক আবু তাহের সিলেটের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং দুই ছেলে, এক মেয়ে নিজ নিজ জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
জীবন কী খণ্ডিত নাকি অখণ্ড?
কে জানে আসলে সে কেমন?
‘তাহারা’ আসলে কারা?
আমি তুমি সে নাকি অন্য কেউ?
খণ্ড-অখণ্ড জীবনের সঙ্গেই-বা ‘তাহাদের’ কী যোগ?
মূর্ত-বিমূর্তবোধের ঠিক মধ্যখানে কিংবা বলা যায়,
পিরামিডের স্পর্শবিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর
মৌলিক ভাবনার জমাটবদ্ধ নিঃশ্বাসের বোধোদয়ের আকাট আখ্যান,
ঔপন্যাসিক নিলুফা আক্তারের দ্বিতীয় উপন্যাস
‘খণ্ডিত জীবন এবং তাহাদের কথা’
এই আখ্যান লেখকের অনিবার্য স্বতঃস্ফূর্ত অন্বেষণ
আর ব্যক্তির অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনের এক মুখোমুখি কথোপকথন।
জীবনের অতল সাধ. অপরিমেয় আস্বাদ, সৃষ্টির অপার আকাঙ্ক্ষার
অনিঃশেষ উপলব্ধিতে প্রগাঢ় এই উপন্যাস পাঠে
পাঠকচিত্ত যেমন ঋদ্ধ হবেন; ঠিক তেমনি জীবন ভাবনায় হবেন সিদ্ধ।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “খণ্ডিত জীবন এবং তাহাদের কথা” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.