কবিদের হস্তাক্ষরে পত্রাবলির সংকলন এই-ই প্রথম প্রকাশিত হলো। পত্রগুচ্ছের এই পান্ডুলিপি-সংস্করণ-সংকলন-সম্পাদনা করেছেন ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী। পুরোনো চিঠিপত্র সংগ্রহ ও প্রকাশে ডক্টর চৌধুরীর অনুরাগ ও সিদ্ধির পরিচয় মিলবে ইতোপূর্বে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ও কাজী আবদুল ওদুদের পত্র-সংকলনে। কবির অন্তরমহল : তিরিশের কবিদের পত্রাবলি-তে সংকলিত চিঠিপত্রে একটি বিশেষ কালের আধুনিক কবিদের অন্তর্জগতের বোধ বিশ্বাস, প্রকৃতি-প্রবণতা, চিন্তা-চেতনার অন্তরঙ্গ পরিচয় প্রতিফলিত।
তিরিশের প্রতিনিধিস্থানীয় এই ১১ জন কবির ১১৩টি চিঠি এখানে সংকলিত হলো। তিরিশের কবিদের সংখ্যায় এত বেশি চিঠি একসঙ্গে এর আগে বোধকরি পত্রপত্রিকায় কিংবা স্বতন্ত্র কোনো বইয়ে ছাপা হয়নি। সংকলিত চিঠিগুলো নানা প্রসঙ্গে লেখা- এখানে যেমন সাহিত্যের বিষয় স্থান পেয়েছে, আছে ব্যক্তিজীবন কিংবা নিজস্ব ভাবনা-উপলব্ধির কথা, পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুরোধ বা কুশলকামনা- ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মতো সৌজন্য প্রকাশের অবলম্বনও হয়েছে এই পত্রগুচ্ছ।
কবিতার এই মৌলিক রূপান্তর ছিল প্রসঙ্গ ও প্রকরণ উভয় দিক থেকেই। তিরিশের প্রধান কবি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০), অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৭), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) ও বিষ্ণু দে (১৯০৯-১৯৮২)। অবশ্য সতীর্থ-সহযাত্রী হিসেবে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত (১৯০৩-১৯৭৬), প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮), অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২), হুমায়ুন কবির (১৯০৬-১৯৬৯), অজিত দত্ত (১৯০৭-১৯৭৯), সঞ্চয় ভট্টাচার্য্য (১৯০৯-১৯৬৯) এবং আরো কারো কারো নামও অনিবার্যভাবেই এসে যায়। এঁরা রবীন্দ্রপ্রভাববলয় ও পুরোনো কাব্যচিন্তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।
Reviews
There are no reviews yet.