১৮৭০ সাল থেকে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদগুলো কাজ করে আসছে। এত বছর পরও এটা দুর্বল রয়ে গেছে। এটাকে শক্তিশালী করা দরকার, এ কথা সবাই বলেছে। এটার অনেক ভূমিকা আছে, এটা টিকিয়ে রাখা দরকার ইত্যাদিও বলেছে। তারপরও শক্তিশালী হচ্ছে না এটা। তবে সংস্কার পদক্ষেপেরও অভাব নেই। পৃথিবীর যে কোন দেশে সংস্কার পদক্ষেপের একটা ধারাবাহিকতা থাকে। কিন্তু আমাদের এখানে সংস্কার পদক্ষেপগুলো চূড়ান্তভাবে একটা প্রধান ধারার সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে, সেমিনার হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার কমিশনও আছে। কিন্তু শেষ বিচারে বা কেউ যদি দিনের শেষে চূড়ান্ত হিসাব টানেন তখন দেখবেন ফলটা তেমন কিছুই নয়। সুতরাং পদক্ষেপগুলো এমন নয় যে স্থানীয় সরকার একটি বিরাট শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংস্কার পদক্ষেপ কেন যেন দানা বাঁধতে পারেনি। এর সামগ্রিক ফলাফল এখনো দুর্বল। অনেকে বলতে পারেন এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়- সেটাও হতে পারে। কিন্তু আমরা আপাতত যেটা দেখছি সেটা হলো, সংস্কারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ফলাফলের ঘাটতি। আমরা স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট জনশক্তির কথাও ভাবছি। আমাদের মনে হয়েছে স্থানীয় সরকারের বন্ধু হবে তারা, যারা স্থানীয় সরকারের কাজ বা উদ্দেশ্যকে সহায়তা করবে। তাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাববে এবং এটাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে। যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের তো উপায় নেই। তাদের ভাবতেই হবে। কিন্তু এর বাইরে সামগ্রিকভাবে চিন্তার দিক থেকে স্থানীয় সরকার সহায়ক একটা প্রতিষ্ঠানের কথা ভাবা দরকার। এদিকেও একটা দুর্বলতা আছে। এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ আছে বটে, কিন্তু সরকারই বলি আর রাজনীতিবিদদেরই বলি সবার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা রয়ে গেছে। এটাকে আমরা কিছুতেই ছাড়াব না, আমরা এটা এগিয়ে নিয়ে যাবো’- এ ধরনের মনোভাবের একটা ঘাটতি তাদের মধ্যে আছে। একটা পদক্ষেপ হলে সেখানে যদি তার সহায়ক শক্তি বা প্রতিষ্ঠান থাকে তবে তারা ওই পদক্ষেপ এক কদম আগানোর পর যাতে দু’কদম পিছিয়ে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক বা সজাগ থাকবে। এই সহায়ক শক্তি রাজনীতির দিক থেকে, প্রশাসনিক দিক থেকে, এমনকি এনজিওদের দিক থেকেও তেমন নেই। এ ধরনের সহায়ক শক্তির আবির্ভাব আশু প্রয়োজন।
নতুন শতাব্দীতে স্থানীয় সরকার
১৮৭০ সাল থেকে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদগুলো কাজ করে আসছে। এত বছর পরও এটা দুর্বল রয়ে গেছে। এটাকে শক্তিশালী করা দরকার, এ কথা সবাই বলেছে। এটার অনেক ভূমিকা আছে, এটা টিকিয়ে রাখা দরকার ইত্যাদিও বলেছে। তারপরও শক্তিশালী হচ্ছে না এটা। তবে সংস্কার পদক্ষেপেরও অভাব নেই। পৃথিবীর যে কোন দেশে সংস্কার পদক্ষেপের একটা ধারাবাহিকতা থাকে। কিন্তু আমাদের এখানে সংস্কার পদক্ষেপগুলো চূড়ান্তভাবে একটা প্রধান ধারার সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে, সেমিনার হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার কমিশনও আছে। কিন্তু শেষ বিচারে বা কেউ যদি দিনের শেষে চূড়ান্ত হিসাব টানেন তখন দেখবেন ফলটা তেমন কিছুই নয়। সুতরাং পদক্ষেপগুলো এমন নয় যে স্থানীয় সরকার একটি বিরাট শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংস্কার পদক্ষেপ কেন যেন দানা বাঁধতে পারেনি। এর সামগ্রিক ফলাফল এখনো দুর্বল। অনেকে বলতে পারেন এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়- সেটাও হতে পারে। কিন্তু আমরা আপাতত যেটা দেখছি সেটা হলো, সংস্কারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ফলাফলের ঘাটতি। আমরা স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট জনশক্তির কথাও ভাবছি। আমাদের মনে হয়েছে স্থানীয় সরকারের বন্ধু হবে তারা, যারা স্থানীয় সরকারের কাজ বা উদ্দেশ্যকে সহায়তা করবে। তাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাববে এবং এটাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে। যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের তো উপায় নেই। তাদের ভাবতেই হবে। কিন্তু এর বাইরে সামগ্রিকভাবে চিন্তার দিক থেকে স্থানীয় সরকার সহায়ক একটা প্রতিষ্ঠানের কথা ভাবা দরকার। এদিকেও একটা দুর্বলতা আছে। এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ আছে বটে, কিন্তু সরকারই বলি আর রাজনীতিবিদদেরই বলি সবার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা রয়ে গেছে। এটাকে আমরা কিছুতেই ছাড়াব না, আমরা এটা এগিয়ে নিয়ে যাবো’- এ ধরনের মনোভাবের একটা ঘাটতি তাদের মধ্যে আছে। একটা পদক্ষেপ হলে সেখানে যদি তার সহায়ক শক্তি বা প্রতিষ্ঠান থাকে তবে তারা ওই পদক্ষেপ এক কদম আগানোর পর যাতে দু’কদম পিছিয়ে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক বা সজাগ থাকবে। এই সহায়ক শক্তি রাজনীতির দিক থেকে, প্রশাসনিক দিক থেকে, এমনকি এনজিওদের দিক থেকেও তেমন নেই। এ ধরনের সহায়ক শক্তির আবির্ভাব আশু প্রয়োজন।
৳ 275.00 ৳ 220.00
Out of stock
Book Details
Weight | 1.28 kg |
---|---|
Dimensions | 6.5 × 9.2 × 1.5 in |
Binding Type | |
Language | |
ISBN | |
Publishers | |
Release date | |
Pages |
Reviews
There are no reviews yet.