মাহবুব আজীজের গল্পে একদিকে সমাজকে দেখার একটা আয়োজন আছে; সমাজের স্খলন, বিচলন এবং পরিবর্তনকে জানার একটা প্রয়াস আছে, অন্যদিকে ব্যক্তির জীবন, তার মনোজগতের উত্থান-পতন, সম্পর্কের ভাঙা-গড়া আর নিকটজনদের সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণগুলো জানার চেষ্টা আছে। গ্রাম তিনি ঘনিষ্ঠভাবে চেনেন, শহরটাকেও; তার কোনো গল্পেই তাই বাস্তবটা কল্পিত নয়, তবে বাস্তবের রূপায়ণে মাঝে মাঝে পরাবাস্তবের একটা মাত্রা থেকে যায়। মাহবুব আজীজের গল্প পড়তে বসা আর নিজের চারপাশ একটা চক্কর দিয়ে আসার মতোই, সবই চেনা, সবই জানা, কিন্তু তার গল্পের রসায়ন যখন এই চেনা-জানার মূল ধরে টান দেয়, ভেতরমাত্রার দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে, পাঠকের জন্য বিস্ময় জমা হতে থাকে। –সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
দেশ সমাজ পরিপার্শ্ব আর বাস্তবতার কাছে সমর্পিত মানুষের মন আর মনস্তত্ত্বের গল্প লেখেন মাহবুব আজীজ-তিনি লেখেন মানুষের সামূহিক উত্তরণের আকাক্সক্ষার গল্প। তার গল্প আখ্যানে বাক্সময় হয় জীবনকে তিল-তিল করে উপভোগ আর উপলব্ধির বাসনা। তার গল্পের মানুষেরা কখনো দুর্মর স্বপ্ন আর সংগ্রামে হয় আন্দোলিত, কখনো ডুব দেয় তারা অতল নৈঃসঙ্গ্য-অর্ণবে…
সমকালের নানামাত্রিক আলোড়ন-আন্দোলন মাহবুব আজীজের আখ্যানে নিপুণ বিন্যাসে হয়ে ওঠে চিরকালীন সম্পদ-এখানেই ছোটগল্পকার হিসেবে তার সার্থকতা। শৈল্পিক নিরাসক্তিতে মাহবুব আজীজ অনায়াসে প্রবেশ করেন বিশেষ কোনো চরিত্রের মনোলোকে এবং সেখান থেকে তুলে আনেন মানুষের অকহনীয় যন্ত্রণাপাথর। এই নৈর্ব্যক্তিকতাই তার গল্পকে এনে দেয় কালোত্তীর্ণ মহিমা। –বিশ্বজিৎ ঘোষ
Reviews
There are no reviews yet.