প্লেটো ফিদ্রাস : প্রেম, বাগ্মিতা ও দর্শন সম্পর্কিত একটি সংলাপ
ফিদ্রাস (ইংরেজিতে ফিড্রাস; গ্রিকে ফাইদ্রস) প্লেটোর উচ্চপ্রশংসিত একটি সাহিত্যিক ‘মাস্টারপিস’। যে-দুটি বিষয় নিয়ে এখানে সক্রেটিস ও তাঁর যুবক-বন্ধু ফিদ্রাস আলোচনায় নিরত হন তা হলো বাগ্মিতার সামগ্রী ও প্রকৃতি এবং পুরুষ ও তার বালকবন্ধুর মধ্যকার যৌনপ্রেম এবং তার মধ্যে দিয়ে বিমূর্ত প্রেমের প্রকৃতি ও মূল্যনিরূপণ। সংলাপটির গোড়ায় সক্রেটিস একমক পোষণ করেন যে, প্রেম হলো যুক্তিহীন বাসনা এবং ফলে ক্ষতিকর, কিন্তু ভাবনাচিন্তা করে পরিশেষে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, উন্মাদনা কখনো ঐশী প্রকৃতিধারী হয় এবং প্রেম হচ্ছে ঐশী উন্মাদনা। সংলাপটি শুরু হয় লাইসিয়াস নামক এক বক্তৃতা-রচয়িতার প্রেম সম্পর্কিত বক্তৃতাপাঠ ও তার সমালোচনার মধ্য দিয়ে। সেইসূত্রেই বাগ্মিতার মান নিয়ে আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত করা হয় যে, উত্তম বাগ্মিতা গড়ে ওঠে সত্যিকার জ্ঞানের ভিত্তিতে এবং সফিস্টদের আপাতদৃষ্টি জ্ঞান, যা দক্ষতার নামান্তর, তা এক্ষেত্রে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। এই সংলাপটি প্লেটোর আরেক ‘মাস্টারপিস’ সিম্পোজিয়াম-এর সাথে মিলিয়ে পাঠ করলে প্রেম নিয়ে প্লেটোর ধারণার বিকাশ ও পরিবর্তন অধিকার বোধগম্য হয়। এই সংলাপে প্লেটো এক অভিনব দক্ষতায় দুটি আপাতদৃষ্টি ভিন্ন বিষয়-বাগ্মিতা ও আবেগময় যৌনপ্রেমকে এক মোড়কে উপস্থাপন করেন।
প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।
আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
ফিদ্রাস (ইংরেজিতে ফিড্রাস; গ্রিকে ফাইদ্রস) প্লেটোর উচ্চপ্রশংসিত একটি সাহিত্যিক ‘মাস্টারপিস’। যে-দুটি বিষয় নিয়ে এখানে সক্রেটিস ও তাঁর যুবক-বন্ধু ফিদ্রাস আলোচনায় নিরত হন তা হলো বাগ্মিতার সামগ্রী ও প্রকৃতি এবং পুরুষ ও তার বালকবন্ধুর মধ্যকার যৌনপ্রেম এবং তার মধ্যে দিয়ে বিমূর্ত প্রেমের প্রকৃতি ও মূল্যনিরূপণ। সংলাপটির গোড়ায় সক্রেটিস একমক পোষণ করেন যে, প্রেম হলো যুক্তিহীন বাসনা এবং ফলে ক্ষতিকর, কিন্তু ভাবনাচিন্তা করে পরিশেষে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, উন্মাদনা কখনো ঐশী প্রকৃতিধারী হয় এবং প্রেম হচ্ছে ঐশী উন্মাদনা। সংলাপটি শুরু হয় লাইসিয়াস নামক এক বক্তৃতা-রচয়িতার প্রেম সম্পর্কিত বক্তৃতাপাঠ ও তার সমালোচনার মধ্য দিয়ে। সেইসূত্রেই বাগ্মিতার মান নিয়ে আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত করা হয় যে, উত্তম বাগ্মিতা গড়ে ওঠে সত্যিকার জ্ঞানের ভিত্তিতে এবং সফিস্টদের আপাতদৃষ্টি জ্ঞান, যা দক্ষতার নামান্তর, তা এক্ষেত্রে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। এই সংলাপটি প্লেটোর আরেক ‘মাস্টারপিস’ সিম্পোজিয়াম-এর সাথে মিলিয়ে পাঠ করলে প্রেম নিয়ে প্লেটোর ধারণার বিকাশ ও পরিবর্তন অধিকার বোধগম্য হয়। এই সংলাপে প্লেটো এক অভিনব দক্ষতায় দুটি আপাতদৃষ্টি ভিন্ন বিষয়-বাগ্মিতা ও আবেগময় যৌনপ্রেমকে এক মোড়কে উপস্থাপন করেন।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “প্লেটো ফিদ্রাস : প্রেম, বাগ্মিতা ও দর্শন সম্পর্কিত একটি সংলাপ” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.