পরমার্থ-সঙ্গীতরত্নাকর

সংগীতচর্চা শাস্ত্রে সিদ্ধ কী অসিদ্ধ, এ-নিয়ে মুসলমান সমাজে পক্ষে-বিপক্ষে দীর্ঘকাল ধরে তর্ক-বিতর্ক চলেছে। এর কোনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু এই বিরূপ পরিবেশেও সংগীতের চর্চা ও অনুরাগ-প্রকাশ একেবারে বন্ধ হয়নি। কালিক নিয়মে সংগীত সম্পর্কে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। বিত্তবান ও সম্ভ্রান্ত-শিক্ষিত মুসলমানের গৃহে প্রবেশ করে কলের গান, সেই উনিশ শতকেই। মীর মশাররফ হোসেন এ-বিষয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ক্রমে গান-লেখা, গান-গাওয়ার পর্ব শুরু হয়। উনিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের সংগীতচর্চা ও গীতরচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন মুন্সী বেলাএৎ হোসেন বিরচিত পরমার্থ-সঙ্গীতরত্নাকর (১৩০০)। এই গীতগ্রন্থ সম্পর্কে বলা হয় : ‘ইহা জীবের ভবসাগর উত্তীর্ণ উপযোগী বিশুদ্ধ পরমার্থবিষয়ক সুভাবযুক্ত নানাপ্রকার সঙ্গীতে পূর্ণ। জীবের বিরহ, প্রেম, বৈরাগ্য, ভক্তি প্রভৃতি নানাধর্ম্মপন্থার বিশুদ্ধতা ইহাতে প্রকৃষ্টরূপে সন্নিবেশিত হইয়াছে’। ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী-সংগৃহীত ১২৫ বছরের পুরোনো দুষ্প্রাপ্য এই গীতগ্রন্থটি প্রকাশিত হতে পারলো তাঁরই উদ্যোগে- তাঁরই সম্পাদনায়, দীর্ঘ ভূমিকাসহ।

৳ 495.00 ৳ 396.00

In stock

Book Details

Weight .40 kg
Dimensions .5 × 4.5 × 7 in
Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Price

BDT 495

Height

8.3

Width

5.4

Weight

About The Author

আবুল আহসান চৌধুরী

আবুল আহসান চৌধুরী মূলত প্রাবন্ধিক ও গবেষক। সমাজমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। তাঁর চর্চা ও গবেষণার বিষয় ফোকলোর, উনিশ শতকের সমাজ ও সাহিত্য, সাময়িকপত্র, আধুনিক সাহিত্য, সংগীত-সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক ইতিহাস। তাঁর লালন সাঁই, কাঙাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হোসেন-বিষয়ক গবেষণা-কাজ দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। জন্ম কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরে, ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৩। সাহিত্যচর্চার পেছনে আছে পারিবারিক আবহ ও আনুকূল্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি। প্রায় সাঁইত্রিশ বছর অধ্যাপনা-পেশায় যুক্ত। বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালনমেলা সমিতির লালন পুরস্কার (২০০০), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৮) এবং গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (ঢাকা, ২০০৯)।

সংগীতচর্চা শাস্ত্রে সিদ্ধ কী অসিদ্ধ, এ-নিয়ে মুসলমান সমাজে পক্ষে-বিপক্ষে দীর্ঘকাল ধরে তর্ক-বিতর্ক চলেছে। এর কোনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু এই বিরূপ পরিবেশেও সংগীতের চর্চা ও অনুরাগ-প্রকাশ একেবারে বন্ধ হয়নি। কালিক নিয়মে সংগীত সম্পর্কে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। বিত্তবান ও সম্ভ্রান্ত-শিক্ষিত মুসলমানের গৃহে প্রবেশ করে কলের গান, সেই উনিশ শতকেই। মীর মশাররফ হোসেন এ-বিষয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ক্রমে গান-লেখা, গান-গাওয়ার পর্ব শুরু হয়। উনিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের সংগীতচর্চা ও গীতরচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন মুন্সী বেলাএৎ হোসেন বিরচিত পরমার্থ-সঙ্গীতরত্নাকর (১৩০০)। এই গীতগ্রন্থ সম্পর্কে বলা হয় : ‘ইহা জীবের ভবসাগর উত্তীর্ণ উপযোগী বিশুদ্ধ পরমার্থবিষয়ক সুভাবযুক্ত নানাপ্রকার সঙ্গীতে পূর্ণ। জীবের বিরহ, প্রেম, বৈরাগ্য, ভক্তি প্রভৃতি নানাধর্ম্মপন্থার বিশুদ্ধতা ইহাতে প্রকৃষ্টরূপে সন্নিবেশিত হইয়াছে’। ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী-সংগৃহীত ১২৫ বছরের পুরোনো দুষ্প্রাপ্য এই গীতগ্রন্থটি প্রকাশিত হতে পারলো তাঁরই উদ্যোগে- তাঁরই সম্পাদনায়, দীর্ঘ ভূমিকাসহ।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “পরমার্থ-সঙ্গীতরত্নাকর”

Your email address will not be published. Required fields are marked *