প্লেটো জীবন ও দর্শন

এমারসন যখন বলেন, ‘প্লেটো হলো দর্শন আর দর্শন প্লেটো’ তখন আমাদেরকে এমন ভাবনায় পেয়ে বসে যে, এটি হয়ত একটি ভক্তিপূর্ণ আদিখ্যেতা; কিন্তু যখন আরও আধুনিককালে এসে অন্য অনেক দার্শনিককেই তাঁর দর্শনকে উচ্চমূল্যে মূল্যায়ন করতে দেখি, আমাদেরকে তাঁরা তাঁর ‘রাজনৈতিক তত্ত্ব, অধিবিদ্যা, জ্ঞানতত্ত্ব, নীতিবিদ্যা, ভাষা, শিল্প, প্রেম, গণিত, বিজ্ঞান ও ধমর্’-এর দর্শন সম্পর্কে অবহিত করেন, আমরা তাঁর মূল লেখাজোখা এবং ব্যাখ্যাকারদের ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ পাঠ করি, অন্যান্য দার্শনিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, চিন্তাবিদদের ওপর তাঁর দর্শনের প্রভাব লক্ষ করি, তখন আমাদেরকে উক্ত ভাবনার পথেই এগিয়ে যেতে হয়। যেমন, বিখ্যাত দার্শনিক হোয়াইটহেড্ যখন বলেন যে, ইউরোপীয় দার্শনিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে নিরাপদ সাধারণীকরণ হলো এই যে, এটি প্লেটোর পাদটীকার একটি সিরিজ নিয়ে গঠিত, অথবা বার্ট্রান্ড রাসেল বলেন যে, ‘কোনো কোনো দার্শনিক হয়ত তাঁর মতো পরিসরে ও গভীরত্বে উপনীত হয়েছেন, কিন্তু কেউই তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি; প্লেটোর কট্টর সমালোচক কার্ল পপার বলেন যে, প্লেটোর কাজের প্রভাব (ভালো বা মন্দ যা-ই হোক না কেন) অপরিমেয়; এমন বলা যায় যে, পাশ্চাত্য চিন্তা হয় প্লেটোনীয়, না হয় প্লেটোবিরোধী, কিন্তু কদাচিৎ তা অ-প্লেটোনীয়’―তখন আমাদেরকে এমারসনের কথার যৌক্তিকতা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হয়।
বিগত আড়াই হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পর্যায়ে প্লেটোর দর্শন নিয়ে ব্যাপক চর্চা তো হয়েছেই আধুনিককালেও পাশ্চাত্যে (অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষাভাষী দেশ এবং অঞ্চলেও) প্লেটোকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছে এবং হচ্ছে। হাল পুস্তকটি সেইসব চর্চা ও লেখাজোখাকে ভিত্তি করে বাংলা ভাষায় প্লেটোর জীবন, দর্শন এবং তার ঐতিহাসিক বিকাশ নিয়ে রচনার একটি বিনীত প্রয়াস।

৳ 995.00 ৳ 796.00

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Size

: 8.7" x 6"

About The Author

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া

প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

এমারসন যখন বলেন, ‘প্লেটো হলো দর্শন আর দর্শন প্লেটো’ তখন আমাদেরকে এমন ভাবনায় পেয়ে বসে যে, এটি হয়ত একটি ভক্তিপূর্ণ আদিখ্যেতা; কিন্তু যখন আরও আধুনিককালে এসে অন্য অনেক দার্শনিককেই তাঁর দর্শনকে উচ্চমূল্যে মূল্যায়ন করতে দেখি, আমাদেরকে তাঁরা তাঁর ‘রাজনৈতিক তত্ত্ব, অধিবিদ্যা, জ্ঞানতত্ত্ব, নীতিবিদ্যা, ভাষা, শিল্প, প্রেম, গণিত, বিজ্ঞান ও ধমর্’-এর দর্শন সম্পর্কে অবহিত করেন, আমরা তাঁর মূল লেখাজোখা এবং ব্যাখ্যাকারদের ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ পাঠ করি, অন্যান্য দার্শনিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, চিন্তাবিদদের ওপর তাঁর দর্শনের প্রভাব লক্ষ করি, তখন আমাদেরকে উক্ত ভাবনার পথেই এগিয়ে যেতে হয়। যেমন, বিখ্যাত দার্শনিক হোয়াইটহেড্ যখন বলেন যে, ইউরোপীয় দার্শনিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে নিরাপদ সাধারণীকরণ হলো এই যে, এটি প্লেটোর পাদটীকার একটি সিরিজ নিয়ে গঠিত, অথবা বার্ট্রান্ড রাসেল বলেন যে, ‘কোনো কোনো দার্শনিক হয়ত তাঁর মতো পরিসরে ও গভীরত্বে উপনীত হয়েছেন, কিন্তু কেউই তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি; প্লেটোর কট্টর সমালোচক কার্ল পপার বলেন যে, প্লেটোর কাজের প্রভাব (ভালো বা মন্দ যা-ই হোক না কেন) অপরিমেয়; এমন বলা যায় যে, পাশ্চাত্য চিন্তা হয় প্লেটোনীয়, না হয় প্লেটোবিরোধী, কিন্তু কদাচিৎ তা অ-প্লেটোনীয়’―তখন আমাদেরকে এমারসনের কথার যৌক্তিকতা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হয়।
বিগত আড়াই হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পর্যায়ে প্লেটোর দর্শন নিয়ে ব্যাপক চর্চা তো হয়েছেই আধুনিককালেও পাশ্চাত্যে (অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষাভাষী দেশ এবং অঞ্চলেও) প্লেটোকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছে এবং হচ্ছে। হাল পুস্তকটি সেইসব চর্চা ও লেখাজোখাকে ভিত্তি করে বাংলা ভাষায় প্লেটোর জীবন, দর্শন এবং তার ঐতিহাসিক বিকাশ নিয়ে রচনার একটি বিনীত প্রয়াস।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “প্লেটো জীবন ও দর্শন”

Your email address will not be published. Required fields are marked *