Sale!

প্লেটো: রাষ্ট্রনায়ক

রাষ্ট্রনায়ক (ইংরেজিতে স্টেটস্ম্যান; গ্রিকে পলিতিকস)। এই সংলাপটিকে সফিস্ট-এর উত্তরখন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমরূপী ও বিষমরূপী বিভিন্ন বস্তু ও প্রত্যয়ের বিভাজন ও সংজ্ঞায়নের মধ্য দিয়ে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পাবার উদ্যোগ হিসেবে রাষ্ট্রনায়ক সংলাপটিকে দেখা যেতে পারে। সফিস্ট-এ যেমন দার্শনিকের বিপরীতে সফিস্টের প্রকৃতি ও কৃত্য নিরূপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই দার্শনিকের বিপরীতে রাষ্ট্রশাসনকারী তথা, রাষ্ট্রনায়কের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এই সংলাপটিতে। সফিস্টদের বিপরীতে রাষ্ট্রনায়ক সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রশাসনে পারদর্শী, তিনি সত্তাসারে শাসনকার্য অনুধাবন করেন; তাই তাঁর শাসন হয়ে ওঠে আইনের সীমাবদ্ধতামুক্ত—তা হয়ে ওঠে প্রজ্ঞার শাসন। রাষ্ট্র শুধু আইন দিয়ে শাসন করা যায় না; রঙের মিশ্রণ জানার মধ্য দিয়ে যেমন উত্তম চিত্র অঙ্কন করা যায় না, তেমনই একমাত্র আইনই সুশাসনের হাতিয়ার নয়। রাষ্ট্রনায়কের প্রজ্ঞাই উত্তম শাসনের চাবিকাঠি; তিনিই কেবল রাষ্ট্রের বিভিন্ন মত ও চরিত্রের মানুষকে একত্রে বুনন করে তাতে ঐক্য সৃষ্টি করতে পারেন। অপরদিকে আইনের শাসন কেবল সুশাসন নয়, দুঃশাসনেরও অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তবে আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের সন্ধান না মিললে আইনের শাসনই দ্বিতীয়োত্তম পদ্ধতি বলে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। এই সংলাপটিতেই আমরা সরকারের উত্তম ও নিকৃষ্ট বিভিন্ন আদল—একব্যক্তির শাসন হিসেবে রাজতন্ত্র ও একনায়কত্ব, অনেকের শাসন হিসেবে অভিজাততন্ত্র ও ধনিক-গোষ্ঠীতান্ত্রিক শাসন, এবং বহুর শাসন হিসেবে গণতন্ত্রের শ্রেণিকরণের সন্ধান পাই। এই শ্রেণিকরণ এখনো রাষ্ট্রশাসন পদ্ধতির শ্রেণিকরণ হিসেবে বিদ্যমান আছে।

৳ 495.00 ৳ 396.00

In stock

Book Details

Weight 1.28 kg
Dimensions 6.5 × 9.2 × 1.5 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

About The Author

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া

প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

রাষ্ট্রনায়ক (ইংরেজিতে স্টেটস্ম্যান; গ্রিকে পলিতিকস)। এই সংলাপটিকে সফিস্ট-এর উত্তরখন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমরূপী ও বিষমরূপী বিভিন্ন বস্তু ও প্রত্যয়ের বিভাজন ও সংজ্ঞায়নের মধ্য দিয়ে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পাবার উদ্যোগ হিসেবে রাষ্ট্রনায়ক সংলাপটিকে দেখা যেতে পারে। সফিস্ট-এ যেমন দার্শনিকের বিপরীতে সফিস্টের প্রকৃতি ও কৃত্য নিরূপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই দার্শনিকের বিপরীতে রাষ্ট্রশাসনকারী তথা, রাষ্ট্রনায়কের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এই সংলাপটিতে। সফিস্টদের বিপরীতে রাষ্ট্রনায়ক সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রশাসনে পারদর্শী, তিনি সত্তাসারে শাসনকার্য অনুধাবন করেন; তাই তাঁর শাসন হয়ে ওঠে আইনের সীমাবদ্ধতামুক্ত—তা হয়ে ওঠে প্রজ্ঞার শাসন। রাষ্ট্র শুধু আইন দিয়ে শাসন করা যায় না; রঙের মিশ্রণ জানার মধ্য দিয়ে যেমন উত্তম চিত্র অঙ্কন করা যায় না, তেমনই একমাত্র আইনই সুশাসনের হাতিয়ার নয়। রাষ্ট্রনায়কের প্রজ্ঞাই উত্তম শাসনের চাবিকাঠি; তিনিই কেবল রাষ্ট্রের বিভিন্ন মত ও চরিত্রের মানুষকে একত্রে বুনন করে তাতে ঐক্য সৃষ্টি করতে পারেন। অপরদিকে আইনের শাসন কেবল সুশাসন নয়, দুঃশাসনেরও অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তবে আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের সন্ধান না মিললে আইনের শাসনই দ্বিতীয়োত্তম পদ্ধতি বলে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। এই সংলাপটিতেই আমরা সরকারের উত্তম ও নিকৃষ্ট বিভিন্ন আদল—একব্যক্তির শাসন হিসেবে রাজতন্ত্র ও একনায়কত্ব, অনেকের শাসন হিসেবে অভিজাততন্ত্র ও ধনিক-গোষ্ঠীতান্ত্রিক শাসন, এবং বহুর শাসন হিসেবে গণতন্ত্রের শ্রেণিকরণের সন্ধান পাই। এই শ্রেণিকরণ এখনো রাষ্ট্রশাসন পদ্ধতির শ্রেণিকরণ হিসেবে বিদ্যমান আছে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “প্লেটো: রাষ্ট্রনায়ক”

Your email address will not be published. Required fields are marked *