থিয়াইতিতাস (ইংরেজিতে থিয়াইটিটাস / থিয়িটিটাস; গ্রিকে থেয়াইতেতস)। যদিও প্লেটোর অন্য অনেক সংলাপে জ্ঞানতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে তবু “দর্শনের একটি শাখা—‘জ্ঞানতত্ত্ব’-এর ভিত্তি দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে থিয়াইতিতাস”। এই সংলাপটিতে সক্রেটিস তরুণ এক গণিতবিদ থিয়াইতিতাসের সাথে যে প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেন তা হলো—‘জ্ঞান কী?’ সক্রেটিসের যুগের বিদ্যমান প্রায় সকল জ্ঞানতত্ত্ব—প্রোতাগোরাসের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, সকল কিছু পরিবর্তশীলতার হেরাক্লিতীয় তত্ত্ব, সকল কিছুর একত্ব নিয়ে পারমেদিজের তত্ত্ব আলোচিত হয় এই সংলাপটিতে। আমরা দেখতে পাই, হালের পাশ্চাত্য জ্ঞানতত্ত্বের আলোচনা যে বাক্য দিয়ে শুরু হয় তা হচ্ছে ‘যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ সত্য বিশ্বাস হলো জ্ঞান’; এই প্রত্যয়টি যেমন সংলাপটিতে পরীক্ষা করা হয় তেমনই পরীক্ষা করা হয় আরও দুটি প্রতিষ্ঠিত প্রত্যয়—‘জ্ঞান হলো সত্য বিশ্বাস’ এবং ‘জ্ঞান হলো প্রত্যক্ষণ’। আলোচনায় এসবের কোনোটিই প্রতিষ্ঠা পায় না; জ্ঞান কী, তার চূড়ান্ত কথা না জানতে পারলেও আমরা জানতে পারি, জ্ঞান কী নয়। ‘আমেরিকান যুক্তিবিদ্যাবাদী ও দার্শনিক সি. এস. পিয়ার্স পারমিনিদিজ-সহ থিয়াইতিতাস-কে প্লেটোর সর্বশেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচনা করেছেন এবং আরও সা¤প্রতিককালে লুড্ভিক ভিট্গেনস্টাইন ও গিলবার্ট রাইলের মতো প্রখ্যাত দার্শনিকদের দৃষ্টিতে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।’
প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।
আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
থিয়াইতিতাস (ইংরেজিতে থিয়াইটিটাস / থিয়িটিটাস; গ্রিকে থেয়াইতেতস)। যদিও প্লেটোর অন্য অনেক সংলাপে জ্ঞানতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে তবু “দর্শনের একটি শাখা—‘জ্ঞানতত্ত্ব’-এর ভিত্তি দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে থিয়াইতিতাস”। এই সংলাপটিতে সক্রেটিস তরুণ এক গণিতবিদ থিয়াইতিতাসের সাথে যে প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেন তা হলো—‘জ্ঞান কী?’ সক্রেটিসের যুগের বিদ্যমান প্রায় সকল জ্ঞানতত্ত্ব—প্রোতাগোরাসের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, সকল কিছু পরিবর্তশীলতার হেরাক্লিতীয় তত্ত্ব, সকল কিছুর একত্ব নিয়ে পারমেদিজের তত্ত্ব আলোচিত হয় এই সংলাপটিতে। আমরা দেখতে পাই, হালের পাশ্চাত্য জ্ঞানতত্ত্বের আলোচনা যে বাক্য দিয়ে শুরু হয় তা হচ্ছে ‘যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ সত্য বিশ্বাস হলো জ্ঞান’; এই প্রত্যয়টি যেমন সংলাপটিতে পরীক্ষা করা হয় তেমনই পরীক্ষা করা হয় আরও দুটি প্রতিষ্ঠিত প্রত্যয়—‘জ্ঞান হলো সত্য বিশ্বাস’ এবং ‘জ্ঞান হলো প্রত্যক্ষণ’। আলোচনায় এসবের কোনোটিই প্রতিষ্ঠা পায় না; জ্ঞান কী, তার চূড়ান্ত কথা না জানতে পারলেও আমরা জানতে পারি, জ্ঞান কী নয়। ‘আমেরিকান যুক্তিবিদ্যাবাদী ও দার্শনিক সি. এস. পিয়ার্স পারমিনিদিজ-সহ থিয়াইতিতাস-কে প্লেটোর সর্বশেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচনা করেছেন এবং আরও সা¤প্রতিককালে লুড্ভিক ভিট্গেনস্টাইন ও গিলবার্ট রাইলের মতো প্রখ্যাত দার্শনিকদের দৃষ্টিতে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।’
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “প্লেটো: থিয়াইতিতাস” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.