প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা

ন্যায়নৈতিকতা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ‘ট্রিটিজ’ হিসেবে গত আড়াই হাজার বছর ধরে প্লেটোর রিপাবলিক বিশ্বমানসকে আলোড়িত ও পরিপুষ্ট করেছে, নির্মাণ করেছে; এখনো সেই নির্মাণকাজ অব্যাহত আছে। যদিও ন্যায়নৈতিকতাই এই সংলাপটির মূল উপজীব্য তবু প্লেটোর দর্শনের একটি সার্বিক পরিচয় মেলে এতে। ব্যক্তির নৈতিকতা এবং রাষ্ট্র ও সমাজজীবনের ন্যায়ের আলোচনা ছাড়াও জ্ঞানতত্ত্ব, শিক্ষাদর্শন, অধিবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, মনস্তত্ত্ব, নারীবাদ, সাহিত্যতত্ত্ব, পরকালীন কিংবদন্তি ইত্যাদি বিষয়ও স্থানলাভ করেছে এই সংলাপটিতে।

৳ 995.00 ৳ 796.00

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Size

8.6" x 5.8"

Pages

About The Author

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া

প্লেটোসমগ্র, তথা, প্লেটোর আটাশটি সংলাপ বাংলায় ভাষান্তর করে বিশিষ্ট অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া আমাদের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি আরও কিছু দার্শনিক, যেমন, কার্ল পপার, ডেভিড হিউম, বার্ট্রান্ড রাসেল, ফ্রাঞ্জ ফাঁনো, পাওলো ফ্রেইরি এবং মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেলের কিছু সংখ্যক বই অনুবাদ করেছেন। ‘রবীন্দ্রনাথ: দর্শনভাবনা’, ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা’, ‘প্লেটো প্রবেশিকা’, ‘প্লেটোর সংলাপের সংক্ষিপ্ত পাঠ’, ‘সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রকৃষ্ট চিন্তা’, ‘সক্রেটিস প্লেটো প্রবচন’ শীর্ষক পুস্তকাদি রচনা ও সংকলন করে তিনি বাঙালি পাঠককে দর্শনপাঠে, বিশেষত ধ্রুপদী গ্রিকদর্শন পাঠে অধিকতর আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম ভুইয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

প্লেটো যেসব বিষয় নিয়ে তাঁর দার্শনিক সংলাপ রচনা করেছিলেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বিষয়, বলা চলে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও প্রায় সকল বিষয়, স্থান পেয়েছে রিপাবলিক-এ। আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড লিখেছেন, “ইউরোপীয় দার্শনিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে নিরাপদ সাধারণীকরণ হচ্ছে এটি গঠিত হয়েছে প্লেটোর পাদটীকার সিরিজ নিয়ে।” যদি তা মেনে নেওয়া হয়, তবে তাতে যে প্লেটোর রিপাবলিক প্রধান ভ‚মিকা পালন করেছে, তা-ও বোধহয় নিরাপদেই বলা যায়। এহেন ধ্রুপদী পুস্তকের একটি প্রাথমিক আলোচনা হিসেবে রচিত হয়েছে ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা।’
ভ‚মিকাটিতে এই সংলাপটির বিপুল বিষয়ভাণ্ডার থেকে কয়েকটি বিষয়কে আলোচনার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্যতম হলো : রিপাবলিক রচনার পটভূমি-প্লেটোর যুগের গ্রিক এবং বিশেষত অ্যাথেনীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বাস্তবতা; আদর্শ রাষ্ট্র ও কল্পরাজ্যের ধারণা; ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্র, এবং আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণ মানুষের ধারণা; প্লেটোর জ্ঞানতত্ত্ব; প্লেটোর শিক্ষাদর্শন; প্লেটোর অধিবিদ্যা; দার্শনিক রাজার প্রত্যয়; প্লেটোর নারীবাদ; সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনযাপনের মূল লক্ষ্য; ন্যায়নৈতিকতার সাথে সুখের, অধিকতর গভীরে উত্তমত্বের সম্পর্ক; সর্বোত্তমের শাসন করার অধিকার; গণতন্ত্রবিরোধিতা; আদর্শ রাষ্ট্র হতে কবি ও কবিতার নির্বাসন; আত্মার অবিনশ্বরতা, নৈতিক জীবনযাপনের পুরস্কার এবং পুনর্জন্ম-প্রক্রিয়ার কিংবদন্তি ইত্যাদি। ইহলৌকিক উত্তম ও সুখী জীবনের লক্ষ্যে মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে যেসব সমস্যা দেখা দেয় এবং প্লেটো তার যে বর্ণনা দিয়েছেন ও সমাধান উপস্থাপন করেছেন, তা যে সম্পূর্ণরূপে আধুনিক জীবনে প্রাসঙ্গিক, তা হয়তো বলা যায় না, কিন্তু মানবজীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্মাণে এবং তার সমাধানে এত গভীর, মানবিক ও বস্তববাদী সমাধানও বোধহয় এতদ্পর্যন্ত কোনো দার্শনিক দিতে সক্ষম হননি। রিপাবলিক পাঠে পাঠককুলকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যেই ভূমিকা রচনার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *