ব্রাত্য মানুষদের নিয়ে যতগুলো ছোটগল্প আছে হরিশংকর জলদাসের, তাদের সবটা নিয়েই এই গল্পসংকলন- ‘প্রান্তজনের গল্প’।
প্রান্তজন কারা?
সমাজের একেবারে প্রান্তে যারা বাস করে, তারাই প্রান্তজন। এটা অভিধানের কথা।
ভদ্র-শিক্ষিত সমাজমানুষের দেওয়া অভিধাটা কী?
ছোটলোক, ছোটজাত, নীচ বংশ, পতিত, সংস্কারহীন, আচারভ্রষ্টা- এসব।
বর্ণগরিমায় বিভোর সনাতনধর্ম তো গত হাজার হাজার বছর ধরে বলেই আসছে- ব্রাহ্মণরা নরোত্তম, শূদ্ররা নরাধম! ‘মনুসংহিতা’য় বলা হয়েছে- শূদ্রাধমও আছে। এরা নমঃশূদ্র। ডোম, মেথর, ব্যাধ, জেলে, ধোপা, মুচি, গণিকা- এরা শূদ্রাধম। তাই ওরা নরাধমও। এদের নিয়েই হরিশংকরের লেখালেখি। তিনি নিজেও এরকম একটা ইতর (!) জাতে জন্মেছেন। তাই লিখতে বসলেন যখন, নিষাদ-কৈবর্ত-কোটনা-বেশ্যা-ভিক্ষুক-মেথর-চর্মকার তাঁর কলমে এসে ভর করল।
সমাজে এরাই কি শুধু প্রান্তজন? নির্যাতিত গৃহবধূ, লাঞ্ছিত গৃহকর্মী, ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী, সহায়হীন ভিক্ষুক- এরা কি প্রান্তজন নয়!
হ্যাঁ, ওরাও একধরনের প্রান্তজন। প্রান্তজনই শুধু অচ্ছুত আর অপাঙ্ক্তেয় নয়, উঁচুজাতের ভদ্র-শিক্ষিত পরিবারেও এই প্রান্তমানুষদের দেখা মিলে। ‘ক্ষরণ’ গল্পের দেবর্ষি, ‘চিঠির দরিদ্রকৃষকের কালাকোলা মেয়েটি, ‘রতন’-এর রতন, ‘ভিখারি’র ভিক্ষুকটি, ‘তিতাসপাড়ের উপাখ্যানে’র অদ্বৈত মল্লবর্মণ, ‘একটি হাত, ডান হাত’-এর একলব্য- এদের প্রতিপ্রত্যেকে প্রান্তজন।
‘একজন জলদাসীর গল্প’, ‘কুন্তীর বস্ত্রহরণ’, ‘হুড়কো’, ‘মোহনা’, ‘খিদে’- এসবগল্প পাঠককে এক একটি জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
বাঙালিজীবনের দ্ব›দ্ব-বিদ্বেষ, প্রীতি-প্রতিবাদ হরিশংকরের গল্পের বিষয়-আশয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে মানবিক মূল্যবোধই তাঁর গল্পে তীব্র হয়ে উঠে। ‘প্রান্তজনের গল্প’গুলো পাঠ করতে করতে পাঠক তা অনুভব করবেন।
প্রান্তজনের গল্প
ব্রাত্য মানুষদের নিয়ে যতগুলো ছোটগল্প আছে হরিশংকর জলদাসের, তাদের সবটা নিয়েই এই গল্পসংকলনÑ ‘প্রান্তজনের গল্প’।
প্রান্তজন কারা?
সমাজের একেবারে প্রান্তে যারা বাস করে, তারাই প্রান্তজন। এটা অভিধানের কথা।
ভদ্র-শিক্ষিত সমাজমানুষের দেওয়া অভিধাটা কী?
ছোটলোক, ছোটজাত, নীচ বংশ, পতিত, সংস্কারহীন, আচারভ্রষ্টাÑ এসব।
বর্ণগরিমায় বিভোর সনাতনধর্ম তো গত হাজার হাজার বছর ধরে বলেই আসছেÑ ব্রাহ্মণরা নরোত্তম, শূদ্ররা নরাধম! ‘মনুসংহিতা’য় বলা হয়েছেÑ শূদ্রাধমও আছে। এরা নমঃশূদ্র। ডোম, মেথর, ব্যাধ, জেলে, ধোপা, মুচি, গণিকাÑ এরা শূদ্রাধম। তাই ওরা নরাধমও। এদের নিয়েই হরিশংকরের লেখালেখি। তিনি নিজেও এরকম একটা ইতর (!) জাতে জন্মেছেন। তাই লিখতে বসলেন যখন, নিষাদ-কৈবর্ত-কোটনা-বেশ্যা-ভিক্ষুক-মেথর-চর্মকার তাঁর কলমে এসে ভর করল।
সমাজে এরাই কি শুধু প্রান্তজন? নির্যাতিত গৃহবধূ, লাঞ্ছিত গৃহকর্মী, ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী, সহায়হীন ভিক্ষুকÑ এরা কি প্রান্তজন নয়!
হ্যাঁ, ওরাও একধরনের প্রান্তজন। প্রান্তজনই শুধু অচ্ছুত আর অপাঙ্ক্তেয় নয়, উঁচুজাতের ভদ্র-শিক্ষিত পরিবারেও এই প্রান্তমানুষদের দেখা মিলে। ‘ক্ষরণ’ গল্পের দেবর্ষি, ‘চিঠির দরিদ্রকৃষকের কালাকোলা মেয়েটি, ‘রতন’-এর রতন, ‘ভিখারি’র ভিক্ষুকটি, ‘তিতাসপাড়ের উপাখ্যানে’র অদ্বৈত মল্লবর্মণ, ‘একটি হাত, ডান হাত’-এর একলব্যÑ এদের প্রতিপ্রত্যেকে প্রান্তজন।
‘একজন জলদাসীর গল্প’, ‘কুন্তীর বস্ত্রহরণ’, ‘হুড়কো’, ‘মোহনা’, ‘খিদে’Ñ এসবগল্প পাঠককে এক একটি জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
বাঙালিজীবনের দ্ব›দ্ব-বিদ্বেষ, প্রীতি-প্রতিবাদ হরিশংকরের গল্পের বিষয়-আশয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে মানবিক মূল্যবোধই তাঁর গল্পে তীব্র হয়ে উঠে। ‘প্রান্তজনের গল্প’গুলো পাঠ করতে করতে পাঠক তা অনুভব করবেন।
৳ 695.00 ৳ 556.00
In stock
Book Details
Weight | 590 kg |
---|---|
Dimensions | 5.7 × 1 × 8.6 in |
Language | |
Binding Type | |
ISBN | |
Publishers | |
Release date | |
Pages | |
Height | 8.5 |
Width | 5.7 |
Reviews
There are no reviews yet.