Sale!

প্রটোকল ব্যবস্থাপনা ও আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং আমার একান্ত সচিব জনাব মোঃ নজিবুর রহমান “প্রটোকল ব্যবস্থাপনা ও আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার” শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা। করেছেন দেখে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত হয়েছি । গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট যে সুবিশাল তা গ্রন্থের সূচির দিকে তাকালেই ধরা পড়ে। গ্রন্থটিতে নিখুঁতভাবে প্রটোকলের বিভিন্ন দিক, প্রটোকল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কনভেনশনসমূহ, মানক্রমপত্র, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। এছাড়াও গ্রন্থটিতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনুসৃত প্রটোকলের রূপরেখা, ধরণ ও বিন্যাস সম্পর্কে অনবদ্য আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে । বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং অপরাপর প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং প্রতিনিধিদল বিনিময়ের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রটোকল ও শিষ্টাচার সম্পর্কে ধারণা লাভ করা খুবই জরুরি হয়েছে। গুণী শিল্পীরা যেমন তাঁদের তুলির সাহায্যে অতি নিপুণভাবে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করতে পারেন তেমনি প্রটোকলের জ্ঞান সমৃদ্ধ একজন ব্যক্তি বা কর্মকর্তা এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আকর্ষনীয় ও ভাবগম্ভীর করে তুলতে পারেন। পক্ষান্তরে প্রটোকলের ব্যাপারে উদাসীনতা যে কোন রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানের পরিবেশকে উপভোগ্য না করে বরং পুরো অনুষ্ঠানটির সৌন্দর্যহানি ঘটাতে পারে । দুর্ভাগ্যবশত প্রটোকল ও শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি এখনো আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে গুরুত্ব পায়নি। জনাব নজিবুর রহমান যে ব্যাপক পরিসরে গ্রন্থটি রচনা করেছেন তা একদিকে পাঠক সমাজে যেমন সমাদৃত হবে অন্যদিকে তেমনি প্রটোকলের মত একটি সংবেদনশীল বিষয়ে খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ মেটাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । লেখক মাঠ প্রশাসন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জাতীয় সংসদে কাজ করার সুযােগ পেয়েছেন বলে তাঁর পক্ষে এ ধরণের একটি সময়োপযোগী এবং মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব হয়েছে । এ গ্রন্থে তাঁর লব্ধ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে। বাংলা ভাষায় এ ধরণের একটি জটিল বিষয়ে গ্রন্থ রচনা দুরূহ কাজ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবুও লেখকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা তাঁকে এ কঠিন কাজে সফল করেছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ বইটির ব্যাপক ব্যবহার প্রটোকল ও শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করি।

ডিসেম্বর ১৯৯৭
(হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী)
স্পীকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

৳ 1,045.00 ৳ 836.00

Out of stock

Book Details

Weight .800 kg
Dimensions 6.5 × 9.2 × 1.5 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

About The Author

মোঃ নজিবুর রহমান

মোঃ নজিবুর রহমান, জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬০ সালে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএসএস (সম্মান) এবং এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (CSFP) নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ANU) থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে তিনি ইন্টার্ণশিপ সম্পন্ন করেন। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের এ কর্মকর্তার সততা, দক্ষতা, আন্তরিকতা ও সাহসিকতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দান করেছেন। ১লা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (IRD) ও চেয়ারম্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) এর দায়িত্ব পালনকালে তাঁর নেতৃত্বে 'সুশাসন ও উন্নততর আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রবর্তন করে পরপর তিন অর্থবছরে (২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭) রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এনবিআর। রাষ্ট্রের সর্ব ক্ষেত্রে রাজস্ব বান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় তার অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিশেষ করে রাজস্ব সংলাপ, রজস্ব হালখাতা, কর শিক্ষণ ফোরাম, ভ্যাট শিক্ষণ ফোরাম এবং ট্যাক্স আইডি কার্ড ব্যাপকভাবে প্রশংসা পেয়েছে সর্বমহলে। তিনি সচিব হিসেবে কাজ করেছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে এবং মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরে। তিনি কাজ করেছেন জাতিসংঘে। বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইকোনমিক মিনিস্টার, অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদে লিড ডেলিগেট এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস’র নির্বাহী বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশে ইউএনডিপির সহকারি আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (GCF) এর বিকল্প সদস্য এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন নেগোসিয়েশন রাউন্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠ প্রশাসন, রাজউক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ERD), স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজ করা এ কর্মকর্তা সপ্তম জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার, বিশ্ববরেণ্য কুটনীতিবিদ মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর সফল একান্ত সচিব ছিলেন। তার অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্পীকার ও ন্যায়পালং নৈতিকতা ও সুশাসন', ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বাংলাদেশে ন্যায়পাল-সুশাসনের পথে আরেক পদক্ষেপ', ‘স্পীকারের স্বাধীনতা ইত্যাদি। MDG, SDG ‘পল্লী উন্নয়ন’ ‘রাজনৈতিক ইতিহাস এবং সাহায্য সমন্বয় বিষয় সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মূল্যবান নিবন্ধ ইতোমধ্যে বিভিন্ন জার্নাল ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও “শিল্প ব্যবস্থাপনা শ্রম কল্যাণ এবং পৌর প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর একক এবং যৌথ রিসার্চ মনোগ্রাফ রয়েছে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং আমার একান্ত সচিব জনাব মোঃ নজিবুর রহমান “প্রটোকল ব্যবস্থাপনা ও আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার” শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা। করেছেন দেখে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত হয়েছি । গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট যে সুবিশাল তা গ্রন্থের সূচির দিকে তাকালেই ধরা পড়ে। গ্রন্থটিতে নিখুঁতভাবে প্রটোকলের বিভিন্ন দিক, প্রটোকল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কনভেনশনসমূহ, মানক্রমপত্র, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। এছাড়াও গ্রন্থটিতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনুসৃত প্রটোকলের রূপরেখা, ধরণ ও বিন্যাস সম্পর্কে অনবদ্য আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে । বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং অপরাপর প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং প্রতিনিধিদল বিনিময়ের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রটোকল ও শিষ্টাচার সম্পর্কে ধারণা লাভ করা খুবই জরুরি হয়েছে। গুণী শিল্পীরা যেমন তাঁদের তুলির সাহায্যে অতি নিপুণভাবে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করতে পারেন তেমনি প্রটোকলের জ্ঞান সমৃদ্ধ একজন ব্যক্তি বা কর্মকর্তা এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আকর্ষনীয় ও ভাবগম্ভীর করে তুলতে পারেন। পক্ষান্তরে প্রটোকলের ব্যাপারে উদাসীনতা যে কোন রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানের পরিবেশকে উপভোগ্য না করে বরং পুরো অনুষ্ঠানটির সৌন্দর্যহানি ঘটাতে পারে । দুর্ভাগ্যবশত প্রটোকল ও শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি এখনো আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে গুরুত্ব পায়নি। জনাব নজিবুর রহমান যে ব্যাপক পরিসরে গ্রন্থটি রচনা করেছেন তা একদিকে পাঠক সমাজে যেমন সমাদৃত হবে অন্যদিকে তেমনি প্রটোকলের মত একটি সংবেদনশীল বিষয়ে খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ মেটাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । লেখক মাঠ প্রশাসন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জাতীয় সংসদে কাজ করার সুযােগ পেয়েছেন বলে তাঁর পক্ষে এ ধরণের একটি সময়োপযোগী এবং মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব হয়েছে । এ গ্রন্থে তাঁর লব্ধ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে। বাংলা ভাষায় এ ধরণের একটি জটিল বিষয়ে গ্রন্থ রচনা দুরূহ কাজ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবুও লেখকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা তাঁকে এ কঠিন কাজে সফল করেছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ বইটির ব্যাপক ব্যবহার প্রটোকল ও শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করি।

ডিসেম্বর ১৯৯৭
(হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী)
স্পীকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “প্রটোকল ব্যবস্থাপনা ও আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার”

Your email address will not be published. Required fields are marked *