ভেতরের ক্যান্সার বাইরের পাউডারে ঢাকা অসম্ভব। আর কবি যেহেতু ‘উঁচা উঁচা পাবতে’ বসবাসকারী শবর-বালিকা-বালক নয়, অতএব তাকেও সহ্য করতে হয় তীব্র মনোদৈহিক বেদনার ভয়াবহ চাপ। মন্থনের যাবতীয় গরলের প্রত্যক্ষ গলাধকরণকারীর আবেগী সংবেদনা তাকে তীব্র নীল করে আর সেই গরলানল হু হু করে বেরিয়ে আসে তার সৃজনপ্রবাহে। সেসবের সৃষ্টমূল্য কানাকড়ি না হলেও তাতে কবির কিছুই যায় আসেনা। সময়-ভাষ্যের দায় প্রত্যেক সৃজন-প্রতিভার।
আমাদের যে নষ্ট-গলা দুঃসময় পার করতে হচ্ছে নানা তীব্র অসামঞ্জস্যতার ভেতর দিয়ে, যার ভেতর রয়েছে অনৈতিকতার সার্বিক দুরাচার; পুরোপুরি পরিকল্পিত দূরদৃষ্টিহীন কুচেতনাবহনকারী সমাজনাট্যরংগ; সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অপরাধী কুশীলব; কৃতঘ্ন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বাসঘাতক, সামষ্টিকভাবে বিনষ্ট দুর্বৃত্তদের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া আমাদের বহুকালের যৎসামান্য সর্ঞ্চিত মূল্যবোধ ও জ্ঞানভাণ্ডারের মৌচাককে মধুশূন্য করে, লুটেপুটে চেটেখানেওয়ালাদের বিরুদ্ধেই আমার বাক্যাবলি। কৃষ্ণার্থভারাতুর দুঃসময়ের চেহারাটা মোটা দাগে টেনে এক বীভৎসতার উৎসরূপ ফোটানোর দায় কতটা মিটলো, জানিনা।
Reviews
There are no reviews yet.