রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষমতা-স্বপ্ন খুদ-কুঁড়া প্রাপ্তির দলিলাদি

ভেতরের ক্যান্সার বাইরের পাউডারে ঢাকা অসম্ভব। আর কবি যেহেতু ‘উঁচা উঁচা পাবতে’ বসবাসকারী শবর-বালিকা-বালক নয়, অতএব তাকেও সহ্য করতে হয় তীব্র মনোদৈহিক বেদনার ভয়াবহ চাপ। মন্থনের যাবতীয় গরলের প্রত্যক্ষ গলাধকরণকারীর আবেগী সংবেদনা তাকে তীব্র নীল করে আর সেই গরলানল হু হু করে বেরিয়ে আসে তার সৃজনপ্রবাহে। সেসবের সৃষ্টমূল্য কানাকড়ি না হলেও তাতে কবির কিছুই যায় আসেনা। সময়-ভাষ্যের দায় প্রত্যেক সৃজন-প্রতিভার।

আমাদের যে নষ্ট-গলা দুঃসময় পার করতে হচ্ছে নানা তীব্র অসামঞ্জস্যতার ভেতর দিয়ে, যার ভেতর রয়েছে অনৈতিকতার সার্বিক দুরাচার; পুরোপুরি পরিকল্পিত দূরদৃষ্টিহীন কুচেতনাবহনকারী সমাজনাট্যরংগ; সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অপরাধী কুশীলব; কৃতঘ্ন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বাসঘাতক, সামষ্টিকভাবে বিনষ্ট দুর্বৃত্তদের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া আমাদের বহুকালের যৎসামান্য সর্ঞ্চিত মূল্যবোধ ও জ্ঞানভাণ্ডারের মৌচাককে মধুশূন্য করে, লুটেপুটে চেটেখানেওয়ালাদের বিরুদ্ধেই আমার বাক্যাবলি। কৃষ্ণার্থভারাতুর দুঃসময়ের চেহারাটা মোটা দাগে টেনে এক বীভৎসতার উৎসরূপ ফোটানোর দায় কতটা মিটলো, জানিনা।

৳ 295.00 ৳ 236.00

In stock

SKU: 9789849549550 Categories: , Tag:

Book Details

Weight .380 kg
Dimensions 6.5 × 9.2 × 1.5 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

About The Author

তুষার দাশ

নিজেকে এভাবে চেনাতে চান। কবি-প্রাবন্ধিক-সমালোচক। গ্রামের বাড়ী সূর্য সেনের চট্টগ্রামের পটিয়ার আবদুল করিম সাহিত্য-বিশারদ আর আহমদ শরীফের কারণে বিখ্যাত সুচক্রদণ্ডী। জন্ম ওখানেই, ১৯৫৭ সালে। ১৩ নভেম্বর।

লিখছেন অনেকদিন ধরে। কখনো সক্রিয়, কখনো একেবারেই মাঠের বাইরে। আলস্যের মহান বরপুত্র। আড্ডায় অতি আগ্রহের কারণে নিগ্রহও কম জোটেনি জীবনে। তবুও আড্ডাপ্রবণ। নানা ধরনের কাজ করেছেন। কখনো পাঠাগারের বইয়ের তালিকাকারী, কখনো প্রুফ রীডার, কখনো পত্রিকার সম্পাদনা সহকারী। গৃহশিক্ষকতার পাশাপাশি নানা কলেজ, কোচিং সেন্টারে পড়ানো, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত গবেষক থেকে হঠাৎ পরিপূর্ণ বেকার, বন্ধুর উৎসাহে বিজ্ঞাপনী সংস্থার নিয়মিত চাকরি। এরপর নিজের বিজ্ঞাপনী সংস্থা। সবই কমবেশি হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা দশ। সাতটি কবিতার। দুটি প্রবন্ধের। একটি জীবনী। উল্লেখযোগ্য যে, একটাও বাজারে পাওয়া যায় না। সামনে হয়তো গাদা করা অবস্থায় পাওয়া যাবে।
গান শুনে আর ভবঘুরের মতো ঘুরে ঘুরে জীবন কাটিয়ে এখন পূর্ণ বেকার। গোটা দশেক দেশ দেখার সুযোগ হয়েছে। একাদশে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনায় আছেন। মানুষ আর প্রকৃতিই এখানে প্রধান আনন্দ-আকর্ষণ !!

ভেতরের ক্যান্সার বাইরের পাউডারে ঢাকা অসম্ভব। আর কবি যেহেতু ‘উঁচা উঁচা পাবতে’ বসবাসকারী শবর-বালিকা-বালক নয়, অতএব তাকেও সহ্য করতে হয় তীব্র মনোদৈহিক বেদনার ভয়াবহ চাপ। মন্থনের যাবতীয় গরলের প্রত্যক্ষ গলাধকরণকারীর আবেগী সংবেদনা তাকে তীব্র নীল করে আর সেই গরলানল হু হু করে বেরিয়ে আসে তার সৃজনপ্রবাহে। সেসবের সৃষ্টমূল্য কানাকড়ি না হলেও তাতে কবির কিছুই যায় আসেনা। সময়-ভাষ্যের দায় প্রত্যেক সৃজন-প্রতিভার।

আমাদের যে নষ্ট-গলা দুঃসময় পার করতে হচ্ছে নানা তীব্র অসামঞ্জস্যতার ভেতর দিয়ে, যার ভেতর রয়েছে অনৈতিকতার সার্বিক দুরাচার; পুরোপুরি পরিকল্পিত দূরদৃষ্টিহীন কুচেতনাবহনকারী সমাজনাট্যরংগ; সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অপরাধী কুশীলব; কৃতঘ্ন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বাসঘাতক, সামষ্টিকভাবে বিনষ্ট দুর্বৃত্তদের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া আমাদের বহুকালের যৎসামান্য সর্ঞ্চিত মূল্যবোধ ও জ্ঞানভাণ্ডারের মৌচাককে মধুশূন্য করে, লুটেপুটে চেটেখানেওয়ালাদের বিরুদ্ধেই আমার বাক্যাবলি। কৃষ্ণার্থভারাতুর দুঃসময়ের চেহারাটা মোটা দাগে টেনে এক বীভৎসতার উৎসরূপ ফোটানোর দায় কতটা মিটলো, জানিনা।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষমতা-স্বপ্ন খুদ-কুঁড়া প্রাপ্তির দলিলাদি”

Your email address will not be published. Required fields are marked *