রোকেয়া প্রয়াণলেখ : সাময়িকপত্রের সাক্ষ্য ও অন্যান্য
রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) স্মরণীয় বাঙালি নারী-ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবনের পরিধি ছিল বায়ান্নো বছর। এই পাঁচ দশকের জীবনে তাঁর অর্জন অসামান্য : শিক্ষাপ্রসার, সাহিত্যসাধনা ও সমাজ-সংস্কারে সে-জীবন ছিল সর্বাংশে নিবেদিত। বাঙালি নারীর— মূলত মুসলিম নারীর উত্থান ও জাগরণের অগ্রদূতী হিসেবে তিনি স্বীকৃত ও সম্মানিত। শিক্ষা-সাহিত্য-সমাজ— এই তিন ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ভাবুক-কর্মী-স্রষ্টা। অগ্রসরচিন্তার এই সৃজনশীল মানবীর চিন্তা-মনন-কর্মের আবেদন তাই কালান্তরেও অনিঃশেষিত।
রোকেয়ার জীবন-কর্ম-সারস্বতসাধনার নিদর্শনের এক বড়ো অংশই আজ বিলুপ্ত বা নিশ্চিহ্ন— অনেক বিষয় এখনও অজ্ঞাত ও অনেক উপকরণ অনাবিষ্কৃত—নিরন্তর অনুসন্ধানের ফলে ক্রমশ তা উদ্্ঘাটিত হলে বেগম রোকেয়ার একটি সুবিন্যস্ত জীবন-কাঠামো পুনর্নির্মাণের সুযোগ তৈরি হবে।
বর্তমান প্রয়াসে বেগম রোকেয়ার প্রয়াণের পূর্বাপর ঘটনাবলির ও সেইসঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ের দুর্লভ-অগ্রন্থিত-অপ্রকাশিত তথ্যদলিল সংকলিত-বিন্যস্ত হয়েছে। রোকেয়ার প্রয়াণকালের প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, তাঁর শেষলেখা, সংবাদ-সাময়িকপত্রে প্রকাশিত প্রয়াণ-সংবাদ এবং ক্রোড়পত্র ও শোক-স্মরণ রচনা, অপ্রকাশিত চিঠি, উত্তরকালের স্মারক ডাকটিকিট ও স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের আমন্ত্রণপত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই বইতে। রোকেয়া-জীবনসম্পৃক্ত দুর্লভ-দুষ্প্রাপ্য-অজ্ঞাত এইসব উপকরণ নানা সূত্র থেকে সংগ্রহ ও গ্রন্থন করেছেন অনুসন্ধানী গবেষক ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী— তারই গ্রন্থরূপ রোকেয়া প্রয়াণলেখ : সাময়িকপত্রের সাক্ষ্য ও অন্যান্য— রোকেয়াচর্চায় নতুন সংযোজন।
আবুল আহসান চৌধুরী মূলত প্রাবন্ধিক ও গবেষক। সমাজমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। তাঁর চর্চা ও গবেষণার বিষয় ফোকলোর, উনিশ শতকের সমাজ ও সাহিত্য, সাময়িকপত্র, আধুনিক সাহিত্য, সংগীত-সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক ইতিহাস। তাঁর লালন সাঁই, কাঙাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হোসেন-বিষয়ক গবেষণা-কাজ দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। জন্ম কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরে, ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৩। সাহিত্যচর্চার পেছনে আছে পারিবারিক আবহ ও আনুকূল্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি। প্রায় সাঁইত্রিশ বছর অধ্যাপনা-পেশায় যুক্ত। বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালনমেলা সমিতির লালন পুরস্কার (২০০০), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৮) এবং গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (ঢাকা, ২০০৯)।
রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) স্মরণীয় বাঙালি নারী-ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবনের পরিধি ছিল বায়ান্নো বছর। এই পাঁচ দশকের জীবনে তাঁর অর্জন অসামান্য : শিক্ষাপ্রসার, সাহিত্যসাধনা ও সমাজ-সংস্কারে সে-জীবন ছিল সর্বাংশে নিবেদিত। বাঙালি নারীর— মূলত মুসলিম নারীর উত্থান ও জাগরণের অগ্রদূতী হিসেবে তিনি স্বীকৃত ও সম্মানিত। শিক্ষা-সাহিত্য-সমাজ— এই তিন ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ভাবুক-কর্মী-স্রষ্টা। অগ্রসরচিন্তার এই সৃজনশীল মানবীর চিন্তা-মনন-কর্মের আবেদন তাই কালান্তরেও অনিঃশেষিত।
রোকেয়ার জীবন-কর্ম-সারস্বতসাধনার নিদর্শনের এক বড়ো অংশই আজ বিলুপ্ত বা নিশ্চিহ্ন— অনেক বিষয় এখনও অজ্ঞাত ও অনেক উপকরণ অনাবিষ্কৃত—নিরন্তর অনুসন্ধানের ফলে ক্রমশ তা উদ্্ঘাটিত হলে বেগম রোকেয়ার একটি সুবিন্যস্ত জীবন-কাঠামো পুনর্নির্মাণের সুযোগ তৈরি হবে।
বর্তমান প্রয়াসে বেগম রোকেয়ার প্রয়াণের পূর্বাপর ঘটনাবলির ও সেইসঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ের দুর্লভ-অগ্রন্থিত-অপ্রকাশিত তথ্যদলিল সংকলিত-বিন্যস্ত হয়েছে। রোকেয়ার প্রয়াণকালের প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, তাঁর শেষলেখা, সংবাদ-সাময়িকপত্রে প্রকাশিত প্রয়াণ-সংবাদ এবং ক্রোড়পত্র ও শোক-স্মরণ রচনা, অপ্রকাশিত চিঠি, উত্তরকালের স্মারক ডাকটিকিট ও স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের আমন্ত্রণপত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই বইতে। রোকেয়া-জীবনসম্পৃক্ত দুর্লভ-দুষ্প্রাপ্য-অজ্ঞাত এইসব উপকরণ নানা সূত্র থেকে সংগ্রহ ও গ্রন্থন করেছেন অনুসন্ধানী গবেষক ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী— তারই গ্রন্থরূপ রোকেয়া প্রয়াণলেখ : সাময়িকপত্রের সাক্ষ্য ও অন্যান্য— রোকেয়াচর্চায় নতুন সংযোজন।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “রোকেয়া প্রয়াণলেখ : সাময়িকপত্রের সাক্ষ্য ও অন্যান্য” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.