শঙ্কিত পদযাত্রা

“বাংলাদেশ টেলিভিশনে যারা দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন, বিশেষ করে সত্তরের দশকের শেষ ও আশির দশকের শুরু থেকে (এবং এর পরেও), তাঁদের পা ফেলতে হয়েছে মেপে মেপে। খ ম হারূনের আত্মকথনধর্মী এই বইটির শিরোনাম তিনি যদিও নিয়েছেন তাঁর প্রযোজিত ও পরিচালিত অনেক নন্দিত খণ্ড এবং সিরিয়াল নাটকের একটি থেকে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর পদযাত্রাও শঙ্কিতই ছিল। কেন, সেই কথাটিও তিনি এ বইতে লিখেছেন। সেই হিসেবে শিরোনামটি যথার্থ। দেশে গণতন্ত্র এলেও কোনো সৃষ্টিশীল, উদ্ভাবনপ্রিয় এবং স্বাধীনচিত্ত প্রযোজকের জন্য পথচলাটা শঙ্কাহীন নয়। নানা জনের মন জুগিয়ে চলতে গেলে মানটা ধরে রাখা যায় না। এজন্য নাটকসহ বাংলাদেশ টেলিভিশনের বা বিটিভির নানা অনুষ্ঠানে মানের ঘরে এত কমতি। হারূন যখন কাজ শুরু করেন প্রতিবন্ধকতাটা কম ছিল না, কিন্তু সেসব মেনে নিয়েও অসংখ্য ভালো কাজ করেছেন প্রযোজকগণ। কীভাবে প্রতিবন্ধকতার ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে, বেড়া গলিয়ে, গাতা-গর্ত টপকে এই মেধাবী প্রযোজকেরা কাজ করে গেছেন, হারূন তা এ বইতে লিখেছেন, নিজেও যেহেতু তিনি ওই দলে ছিলেন। …তিনি সত্যকে কোথাও আড়াল করেননি। যেসব দেখেছেন, যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, সব অকপটে তুলে ধরেছেন।

শঙ্কিত পদযাত্রা পড়া এবং বিটিভি, বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর সমাজ জীবনের একটা অন্তরঙ্গ ইতিহাস পড়া একই জিনিস। খ ম হারূনের ভাষাটি সুন্দর, বর্ণনা গতিশীল এবং পরিবেশনটাও মনোগ্রাহী। অনেক অজানা কাহিনি তিনি তুলে ধরেছেন, অপরিচিত নানা মানুষকেও পরিচিতের স্পর্শ দিয়েছেন।”

― সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

৳ 795.00 ৳ 636.00

In stock

Book Details

Language

Binding Type

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Size

8.5 X 5.5

About The Author

খ ম হারূন

মঞ্চ ও টেলিভিশনে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগ থেকে বিএ (সম্মান) ও এমএ সম্পন্ন করেন। ১৯৭১-এ পিরোজপুর-সুন্দরবন অঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে এমএ পরীক্ষার পর ভারত সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান এবং সেখানে তিন বছর অধ্যয়ন শেষে ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর (১৯৮০-২০১০) বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক, নির্বাহী প্রযোজক, অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ, পরিচালক ও উপমহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন।

খ ম হারূন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালক (মিডিয়া) এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র বিভাগে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৭ থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিভাগের অধ্যাপক ও পরে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যতিক্রমধর্মী টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসেবে যে ক’জন সুখ্যাতি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে খ ম হারূনের নাম প্রথমেই চলে আসে। একাধারে তিনি ছিলেন নাট্যনির্দেশক, রচয়িতা, পরিচালক ও প্রযোজক। টিভি পর্দায় কিছুদিন পর পর সৃজনশীল কিছু কাজ নিয়ে হাজির হতেন। সেখানে শিল্প ও সাহিত্যের ছোঁয়া থাকত। মানুষের কথা থাকত। তিনি পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম, অভিজ্ঞতা, সর্বোপরি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তৈরি করতেন সেইসব অনুষ্ঠান। ১৯৮০ থেকে ২০১০―বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মজীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন স্মৃতিময় কিছু অনুষ্ঠান, নাটক, ম্যাগাজিন, সংগীতানুষ্ঠান, প্রতিবেদনমূলক ও নিরীক্ষাধর্মী অনুষ্ঠান। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সবিনয়ে জানতে চাই (১৯৯৭)।

“বাংলাদেশ টেলিভিশনে যারা দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন, বিশেষ করে সত্তরের দশকের শেষ ও আশির দশকের শুরু থেকে (এবং এর পরেও), তাঁদের পা ফেলতে হয়েছে মেপে মেপে। খ ম হারূনের আত্মকথনধর্মী এই বইটির শিরোনাম তিনি যদিও নিয়েছেন তাঁর প্রযোজিত ও পরিচালিত অনেক নন্দিত খণ্ড এবং সিরিয়াল নাটকের একটি থেকে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর পদযাত্রাও শঙ্কিতই ছিল। কেন, সেই কথাটিও তিনি এ বইতে লিখেছেন। সেই হিসেবে শিরোনামটি যথার্থ। দেশে গণতন্ত্র এলেও কোনো সৃষ্টিশীল, উদ্ভাবনপ্রিয় এবং স্বাধীনচিত্ত প্রযোজকের জন্য পথচলাটা শঙ্কাহীন নয়। নানা জনের মন জুগিয়ে চলতে গেলে মানটা ধরে রাখা যায় না। এজন্য নাটকসহ বাংলাদেশ টেলিভিশনের বা বিটিভির নানা অনুষ্ঠানে মানের ঘরে এত কমতি। হারূন যখন কাজ শুরু করেন প্রতিবন্ধকতাটা কম ছিল না, কিন্তু সেসব মেনে নিয়েও অসংখ্য ভালো কাজ করেছেন প্রযোজকগণ। কীভাবে প্রতিবন্ধকতার ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে, বেড়া গলিয়ে, গাতা-গর্ত টপকে এই মেধাবী প্রযোজকেরা কাজ করে গেছেন, হারূন তা এ বইতে লিখেছেন, নিজেও যেহেতু তিনি ওই দলে ছিলেন। …তিনি সত্যকে কোথাও আড়াল করেননি। যেসব দেখেছেন, যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, সব অকপটে তুলে ধরেছেন।

শঙ্কিত পদযাত্রা পড়া এবং বিটিভি, বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর সমাজ জীবনের একটা অন্তরঙ্গ ইতিহাস পড়া একই জিনিস। খ ম হারূনের ভাষাটি সুন্দর, বর্ণনা গতিশীল এবং পরিবেশনটাও মনোগ্রাহী। অনেক অজানা কাহিনি তিনি তুলে ধরেছেন, অপরিচিত নানা মানুষকেও পরিচিতের স্পর্শ দিয়েছেন।”

― সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “শঙ্কিত পদযাত্রা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *