এই গ্রন্থ প্রকাশ আমাদের সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে আমি মনে করি। যারা জীবনানন্দ দাশের কবিতা ভালোবাসেন তাঁদের তো বটেই, যারা কাব্যচর্চায় উৎসাহী তাঁদেরও এই বই অবশ্যপাঠ্য। এবং যারা ভবিষ্যতে জীবনানন্দ দাশ বিষয়ক গ্রন্থ রচনায় উদ্যোগী হবেন, তাঁরাও হাতের কাছে রাখতে চাইবেন শুদ্ধতম কবি নামক গ্রন্থটি। আবদুল মান্নান সৈয়দকে অভিনন্দন জানাই—একটিমাত্র বই লিখেই তিনি আমাদের সমালোচনা-সাহিত্যে তাঁর। আসনটি পাকা করে নিলেন।
শামসুর রাহমান দৈনিক বাংলা, ২২ অক্টোবর ১৯৭২
জীবনানন্দ দাশের কবিতা ও কবিমানস-সম্পর্কিত। আলোচনায় এর আগে এমন ব্যাপকভাবে অন্য কেউ কবিতার বহিরাঙ্গিক ও আভ্যন্তরীণ রূপৈশ্বর্যের পরিচয়। এমন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর পর্যায়ে, এমন নৈপুণ্যের সাথে। উদ্ঘাটন করেন নি। তাঁর রূপসন্ধানী দৃষ্টি এবং সৃষ্টিধর্মী আলোচনা জীবনানন্দ দাশের বহুলপঠিত এবং নানাভাবে আলোচিত কবিতাকেও পাঠকের সামনে নতুন। তাৎপর্যে উপস্থাপিত করে, নতুন রসাস্বাদ জোগায়।
| মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ নজরুল একাডেমী পত্রিকা, ১৩৮০
এই বইয়ের প্রায় সর্বত্রই ভাষার গুরুগাম্ভীর্য সত্ত্বেও তাঁর। বিশ্লেষণ প্রকৃত কবিরই মতন, একটুও অধ্যাপকসুলভ নয়। প্রথাসম্মত সমালোচকরা এই প্রকৃতিতে আগে কখনো কবিতার আলোচনা করতেন না। আবদুল। মান্নান সৈয়দ একটি নতুন পন্থা দেখিয়েছেন এবং তিনি নিশ্চিত কবিতাপাঠকদের ধন্যবাদ ভাজন হবেন।।
| সনাতন পাঠক | দেশ, ৫ শ্রাবণ ১৩৮০
জীবনানন্দ বিষয়ে, ইতিপূর্বে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কিছু প্রবন্ধাদি লেখা হয়েছে, যার গুরুত্ব অনস্বীকার্য এবং একখানি সম্পূর্ণ গ্রন্থ; এতৎসত্ত্বেও আলোচ্য গ্রন্থটি বিশিষ্ট হিসেবেই বিবেচিত হবে।
নির্মল ঘোষ ‘চতুরঙ্গ, বৈশাখ-শ্রাবণ, ১৩৮০
Reviews
There are no reviews yet.