সন্তান প্রতিপালনের কোনো সর্বজন-অনুসরণীয় সূত্র নেই। প্রয়োজন নিজের মানসিক জগতকে জানা এবং সন্তানের সাথে একটি মানসিক যোগাযোগ স্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করা। সন্তান বড় হয়ে ওঠে মা-বাবার মনোজগত দ্বারা সৃষ্ট ধারণা ও আচরণ দিয়ে। মা-বাবা নিজের মানসিক জগতকে কতটা আবিষ্কার করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করে তিনি সন্তানের সাথে কতটা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। উৎকৃষ্ট যোগাযোগের মাধ্যমেই সন্তান তার জগৎ ও জীবনকে স্পষ্টভাবে দেখতে ও বুঝতে শেখে। মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে সাধারণ কিছু জ্ঞান এ যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
একইভাবে নির্ভুল বা উৎকৃষ্ট পেরেন্টিং বলেও কিছু নেই। সন্তানকে ‘জাজমেন্টাল’ না হয়ে পিতামাতার জগতকে বুঝতে হয়। এতে সে তার প্রতিপালিত হবার বিভ্রাটগুলো নিজেই সংশোধন করে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। মা-বাবা এবং সন্তানের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ স্থাপনের জন্য শৈশবই শেষ কথা নয়। যে-কোনো সময় মানুষ ভুল সংশোধন করে সঠিক আচরণটি শুরু করতে পারে। কেননা, মানুুষ পৃথিবীতে সবচেয়ে অভিযোজনশীল প্রাণী।
মনোবিজ্ঞানী হুরে জান্নাত শিখা সন্তান প্রতিপালনের বহুমাত্রিক দিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাঞ্জল ভাষায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন এ গ্রন্থে। প্রত্যেক মা-বাবার জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ গ্রন্থটি পাঠক সমাবেশ প্রকাশিত তাঁর আগেকার বেস্ট সেলার বই ‘আমার হারানো আমি’র মতো বিপুল সংখ্যক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
হুরে জান্নাত কবি, প্রাবন্ধিক, মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক ও কাউন্সেলর। তাঁর জন্ম ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ ঢাকার মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। বর্তমানে কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া কাজ করছেন কলেজের শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক উপদেষ্টা হিসেবেও।
মানুষের মনস্তাত্ত্বিক জীবনের গভীরতা ও সৌন্দর্যময়তার ভেতর বিচরণ এবং সত্য অন্বেষণ তাঁর পছন্দের বিষয়। দর্শন, মনস্তত্ত্ব, সমাজ, ইত্যাদি বিষয়ে তিনি লিখছেন নিয়মিত।
তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কবিতাগুলো শিরোনামহীন (২০১৭)।
সন্তান প্রতিপালনের কোনো সর্বজন-অনুসরণীয় সূত্র নেই। প্রয়োজন নিজের মানসিক জগতকে জানা এবং সন্তানের সাথে একটি মানসিক যোগাযোগ স্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করা। সন্তান বড় হয়ে ওঠে মা-বাবার মনোজগত দ্বারা সৃষ্ট ধারণা ও আচরণ দিয়ে। মা-বাবা নিজের মানসিক জগতকে কতটা আবিষ্কার করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করে তিনি সন্তানের সাথে কতটা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। উৎকৃষ্ট যোগাযোগের মাধ্যমেই সন্তান তার জগৎ ও জীবনকে স্পষ্টভাবে দেখতে ও বুঝতে শেখে। মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে সাধারণ কিছু জ্ঞান এ যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
একইভাবে নির্ভুল বা উৎকৃষ্ট পেরেন্টিং বলেও কিছু নেই। সন্তানকে ‘জাজমেন্টাল’ না হয়ে পিতামাতার জগতকে বুঝতে হয়। এতে সে তার প্রতিপালিত হবার বিভ্রাটগুলো নিজেই সংশোধন করে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। মা-বাবা এবং সন্তানের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ স্থাপনের জন্য শৈশবই শেষ কথা নয়। যে-কোনো সময় মানুষ ভুল সংশোধন করে সঠিক আচরণটি শুরু করতে পারে। কেননা, মানুুষ পৃথিবীতে সবচেয়ে অভিযোজনশীল প্রাণী।
মনোবিজ্ঞানী হুরে জান্নাত শিখা সন্তান প্রতিপালনের বহুমাত্রিক দিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাঞ্জল ভাষায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন এ গ্রন্থে। প্রত্যেক মা-বাবার জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ গ্রন্থটি পাঠক সমাবেশ প্রকাশিত তাঁর আগেকার বেস্ট সেলার বই ‘আমার হারানো আমি’র মতো বিপুল সংখ্যক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “সন্তানের আয়নায় মা-বাবার মুখ” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.