উত্তরের এক জনপদ। মুদ্রা ও সম্পদাকাক্সক্ষী একটি পরিবারের কয়েক পুরুষ। যেখানে একাধারে মুদ্রা এবং আধ্যাত্মের উন্মেষ। সেই পরিবারের ধারা থেকেই জননী-ভক্ত সত্যব্রত বন্ধুয়া নামের এক যুবকের উত্থান। যে আলো কিনেছিল। প্রচুর আলো। বংশের কালিমা লেপনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাবৎ সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে যাবে গণজনে। রেখে গিয়েছিল একটা ঘর। অন্তর্গৃহ। যেখানে এক সত্যব্রত বন্ধুয়া ছাড়া প্রবেশাধিকার ছিল না কারও। একটা সময়ের আগ পর্যন্ত। গ্রামবাসীর বদ্ধমূল ধারণা ওই ঘরেই সংরক্ষিত যুবকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। কিন্তু না আছে সে ঘরের চাবি, না জানালা। কেবল একটি দরোজা। অন্যের কি অধিকার থাকে পরদ্বার ভঙ্গের, উদ্ঘাটনের? পাশাপাশি সমাজের বলশালীদের চিরায়ত খলো-ভাবনা, হস্তগত করতে হবে ওই সম্পদ। কিন্তু ওরা কি সফল হয়েছিল? উন্মোচন করা গিয়েছিল কি সেই রহস্যময় ঘরের দরোজা? কী ধারণ করেছিল সংসারের প্রধান পুরুষ বিভুরঞ্জন-পৌত্র, পরোদ্ধারে অন্তঃপ্রাণ সত্যব্রত বন্ধুয়ার সেই একান্ত গৃহ?
লেখক নগর মানুষ। জন্ম ১৯৬১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ঢাকায়। বাবা রহীম উদ্দিন সিদ্দিকী। মা জুলেখা সিদ্দিকী। দুজনই পরলোকে।
নিভৃতচারী এই লেখকের বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। পরিবারের মধ্যেই শিল্প-সাহিত্যের অনুরাগ দেখে বড় হয়েছেন। বাবাও ছিলেন সাহিত্যের মানুষ। বাংলা একাডেমির প্রকাশনায় তাঁর অনূদিত প্রাচ্যের রহস্য নগরী এবং আগামেমনন বিদগ্ধ মহলে অনুবাদ সাহিত্যের সফল কাজ হিসেবে বিবেচিত।
পুস্তক ও পত্রিকান্তরে প্রকাশিত-অপ্রকাশিত এই লেখকের অন্য উপন্যাসগুলো হচ্ছেÑআয়নাল হকের আত্মা ও সন্নিহিত সংসারসমূহ, নিশি নগরী, সাক্ষাৎ বাড়ি।
উত্তরাধুনিক উপন্যাসের কাহিনি বা গল্পের অনাবশ্যকতা থেকে এই লেখকের অবস্থান স্বতন্ত্র, সুস্পষ্ট। গল্প তাঁর কাছে আকস্মিক আবিষ্কার। যার সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন শিল্প-সমর্থিত তাঁর কষ্টার্জিত মনোযোগী ভাষা। ধারাবাহিকভাবে এ কাজটিই করার প্রয়াস পেয়ে আসছেন এই বাজারবিমুখ লেখক। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যমান কর্মকর্তা।
উত্তরের এক জনপদ। মুদ্রা ও সম্পদাকাক্সক্ষী একটি পরিবারের কয়েক পুরুষ। যেখানে একাধারে মুদ্রা এবং আধ্যাত্মের উন্মেষ। সেই পরিবারের ধারা থেকেই জননী-ভক্ত সত্যব্রত বন্ধুয়া নামের এক যুবকের উত্থান। যে আলো কিনেছিল। প্রচুর আলো। বংশের কালিমা লেপনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাবৎ সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে যাবে গণজনে। রেখে গিয়েছিল একটা ঘর। অন্তর্গৃহ। যেখানে এক সত্যব্রত বন্ধুয়া ছাড়া প্রবেশাধিকার ছিল না কারও। একটা সময়ের আগ পর্যন্ত। গ্রামবাসীর বদ্ধমূল ধারণা ওই ঘরেই সংরক্ষিত যুবকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। কিন্তু না আছে সে ঘরের চাবি, না জানালা। কেবল একটি দরোজা। অন্যের কি অধিকার থাকে পরদ্বার ভঙ্গের, উদ্ঘাটনের? পাশাপাশি সমাজের বলশালীদের চিরায়ত খলো-ভাবনা, হস্তগত করতে হবে ওই সম্পদ। কিন্তু ওরা কি সফল হয়েছিল? উন্মোচন করা গিয়েছিল কি সেই রহস্যময় ঘরের দরোজা? কী ধারণ করেছিল সংসারের প্রধান পুরুষ বিভুরঞ্জন-পৌত্র, পরোদ্ধারে অন্তঃপ্রাণ সত্যব্রত বন্ধুয়ার সেই একান্ত গৃহ?
Reviews
There are no reviews yet.