Sale!

সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু

সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক মহলের সকলে গুরু-শিষ্য হিসেবে জানেন। এমনও বলা হয় যে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর মানসপুত্র। সোহরাওয়ার্দীর জীবিতাবস্থায় (মৃত্যু ১৯৬৩) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্দেশ শিরোধার্য করে চলেছেন। একমাত্র তাঁর মৃত্যুর পর তিনি তাঁর মতাদর্শ নিয়ে নড়েচড়ে দাঁড়ান। গবেষণায় দেখা যায়, এসব বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক নয়। দুজনের মধ্যে মিল যেমন ছিল, অমিলও ছিল প্রচুর। আর সে অমিল হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির, আদর্শের ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৌলিক প্রশ্নে। বঙ্গবন্ধু অনেক বিষয়ে তাঁর মতামত সোহরাওয়ার্দীর জীবদ্দশায়ই প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকুতোভয় ও স্পষ্টবাদী বলেই তা সম্ভব হয়। তবে এ কথা কিছুটা ঠিক যে, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধুর পক্ষে তাঁর নিজস্ব পূর্ণ ভাবনা-চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সহজতর হয়। কেননা, সোহরাওয়ার্দীকে বঙ্গবন্ধু পিতৃজ্ঞানে দেখতেন। অন্যদিকে, ভিন্নতা বা মতভেদ থাকার পরও মৃত্যুর পূর্বদিন পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে পুত্র স্নেহে আগলে রেখেছেন। উভয়ের মধ্যে মতভিন্নতা থাকার পরও তা কখনো বিরোধ বা বিচ্ছেদে রূপ নেয়নি। তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক খুবই অদ্ভুত ও ব্যতিক্রমধর্মী।

মুখবন্ধ, ৫টি অধ্যায় ও উপসংহার নিয়ে গ্রন্থটি পরিকল্পিত। এটি পাঠে পাঠকবর্গ উত্থাপিত বিষয়সমূহ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারবেন। আশা করা যায়, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

৳ 350.00 ৳ 280.00

In stock

Book Details

Weight .386 kg
Dimensions 5.8 × 8.8 × .6 in
Binding Type

Language

ISBN

Publishers

Release date

Pages

Weight

About The Author

হারুন-অর-রশিদ Dr. Harun-or-Rashid

হারুন-অর-রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। অবিভক্ত বাংলা, ভারত, পাকিস্তানি ২৪ বছরের শাসন ও বাংলাদেশের রাজনীতি এবং এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র। বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন, অন্য কথায়, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ তাঁর গবেষণার মূল আকর্ষণ। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডব্লিউ এইচ মরিস-জোনস-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। এ ছাড়াও তিনি সুইডেনের উপসালা ও জাপানের রিউকোকু (কিউটো) বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ একজন কৃতী গবেষক। তাঁর গবেষণা গ্রন্থসমূহের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh, 19061947 (third print, UPL 2015), Inside Bengal Politics 19361947: Unpublished Correspondence of Partition Leaders (third print, UPL 2019), From 1947 Partition to Bangladesh: Bangabandhu and State Formation in Perspective (Dhaka, UPL 2021),বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ (৫ম মুদ্রণ, ইউপিএল ২০১৮), বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় (আগামী প্রকাশনী ২০০৩), বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০১৮ (দ্বিতীয় মুদ্রণ, অন্যপ্রকাশ ২০১৮), ‘আমাদের বাঁচার দাবী’ : ৬ দফা’র ৫০ বছর (বাংলা একাডেমি ২০১৬, দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০১৯), মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬ (বাংলা একাডেমি ২০১৬, দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০১৯), ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ (তৃতীয় মুদ্রণ, অন্যপ্রকাশ ২০১৮), বঙ্গীয় মুসলিম লীগ : পাকিস্তান আন্দোলন, বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু (অন্যপ্রকাশ ২০১৮), বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব : কী ও কেন (বাংলা একাডেমি ২০২০, দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০২০), ৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা (অন্যপ্রকাশ ২০২০), সম্পাদক, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, ১০ খণ্ড, (বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ২০২০), বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ : নির্বাচিত প্রবন্ধ (অন্যপ্রকাশ ২০২০), সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু : সমাজ ও রাষ্ট্রভাবনা (মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিউট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০), বঙ্গবন্ধুকোষ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সচিত্র জীবন-বৃত্তান্ত, (ঢাকা, জার্নিম্যান বুকস ২০২০) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক মহলের সকলে গুরু-শিষ্য হিসেবে জানেন। এমনও বলা হয় যে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর মানসপুত্র। সোহরাওয়ার্দীর জীবিতাবস্থায় (মৃত্যু ১৯৬৩) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্দেশ শিরোধার্য করে চলেছেন। একমাত্র তাঁর মৃত্যুর পর তিনি তাঁর মতাদর্শ নিয়ে নড়েচড়ে দাঁড়ান। গবেষণায় দেখা যায়, এসব বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক নয়। দুজনের মধ্যে মিল যেমন ছিল, অমিলও ছিল প্রচুর। আর সে অমিল হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির, আদর্শের ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৌলিক প্রশ্নে। বঙ্গবন্ধু অনেক বিষয়ে তাঁর মতামত সোহরাওয়ার্দীর জীবদ্দশায়ই প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকুতোভয় ও স্পষ্টবাদী বলেই তা সম্ভব হয়। তবে এ কথা কিছুটা ঠিক যে, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধুর পক্ষে তাঁর নিজস্ব পূর্ণ ভাবনা-চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সহজতর হয়। কেননা, সোহরাওয়ার্দীকে বঙ্গবন্ধু পিতৃজ্ঞানে দেখতেন। অন্যদিকে, ভিন্নতা বা মতভেদ থাকার পরও মৃত্যুর পূর্বদিন পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে পুত্র স্নেহে আগলে রেখেছেন। উভয়ের মধ্যে মতভিন্নতা থাকার পরও তা কখনো বিরোধ বা বিচ্ছেদে রূপ নেয়নি। তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক খুবই অদ্ভুত ও ব্যতিক্রমধর্মী।

মুখবন্ধ, ৫টি অধ্যায় ও উপসংহার নিয়ে গ্রন্থটি পরিকল্পিত। এটি পাঠে পাঠকবর্গ উত্থাপিত বিষয়সমূহ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারবেন। আশা করা যায়, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু”

Your email address will not be published. Required fields are marked *