Skip to Content
অবিভক্ত বাংলা : একটি স্বপ্নের কথা

Price:

340.00 ৳


Fearless Freedom (Penguin)
Fearless Freedom (Penguin)
600.00 ৳
600.00 ৳
ছায়াছবির ছায়াপথে
ছায়াছবির ছায়াপথে
400.00 ৳
400.00 ৳

অবিভক্ত বাংলা : একটি স্বপ্নের কথা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/21596/image_1920?unique=20d6fc2

340.00 ৳ 340.0 BDT 340.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রাজনীতির জগতে আমার নড়াচড়া ৬৫ বছর হয়ে গেলো। বাল্য বয়সে, ভারতের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনের সময়ে (১৯৫৭) “ভোট দেবেন কি সে, কাস্তে ধানের শিষে” - শ্লোগান দিয়ে, কাঁধে লাল ঝাণ্ডা নিয়ে মিছিলে হাঁটার মধ্যে দিয়ে এই যাত্রা শুরু। বাংলার প্রতি ভালোবাসা এবং লালঝাণ্ডা সম্পর্কে শ্রদ্ধা, আমার জন্মসূত্রে পাওয়া। বাংলার প্রতি আবেগ এবং কাঁধের লালঝাণ্ডা, আজও অমলিন আছে। কিন্তু বহু স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে! - ১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলন থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঘটনাবলীর আমি সাক্ষী। ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকহাজার বঙ্গবাসীর মৃত্যু; জেলের মধ্যে দলে দলে বিচারাধীন বন্দিকে খুন; হাজার হাজার বন্দিকে বছরের পর বছর কারাবন্দি করে রাখা; সবই “স্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ”-র (!) বুকে ঘটতে দেখেছি। কিন্তু একজন শোষক পুঁজিপতিকে কিংবা শোষক ভূস্বামীকে, অর্থাৎ যাদের শোষণ ও অত্যাচার যুগ যুগ ধরে সীমাহীন সংখ্যক মানুষের মৃত্যু আর জীবনযন্ত্রণার কারণ, তাদের কোনও শাসক স্পর্শও করলো না! ঝাণ্ডার রঙে ফারাক থাকলেও, এ'ব্যাপারে শাসকদের মধ্যে কোনও তফাৎ থাকে না। পরবর্তীকালে খেয়াল করলাম: রক্তে ভেজা, ঘামে সিক্ত, শ্রমিক। তথা শ্রমজীবী মানুষ কেউই কখনও 'শাসক' হয় না। বিলেতে বা বিদেশে শিক্ষিত”,উচ্চবর্ণের কিংবা উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ্যবাদী নেতা- নেত্রীরাই ‘শাসক' হ’ন। ফলে বাংলার জল-কাদা-তেল-কালি, বাঙালি সংস্কৃতি ও জনমানসের সঙ্গে এদের কোনও প্রত্যক্ষ আত্মিক সম্পর্কই নেই। জনসমাজ বাঁচলো কিংবামরলো, তা নিয়ে এঁরা কখনোই গভীরভাবে চিন্তিত হয় না। শোষক রাষ্ট্রযন্ত্র ঠিক ঠাক থাকলো কিনা, সেটা দেখভাল করাই এঁদের 'সাংবিধানিক কর্তব্য'। সেজন্যই রাষ্ট্রের দরকার পাহারাদার সরকার; আর সরকার চালাবার জন্য সংসদীয় দলগুলোর প্রয়োজন আপোষকামী নেতা-নেত্রী। সংসদীয় রাজনীতির সবকিছু সেই হিসেবেই চলে। শাসিত জনগণের স্বার্থ নিয়ে সংসদীয় দলের নেতৃত্বের এবং শাসক মোড়লদের কোনোদিনই মাথাব্যথা থাকে না।

Title

অবিভক্ত বাংলা : একটি স্বপ্নের কথা

Publisher

Chetona Prokashani, Kolkata

Number of Pages

107

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Research
  • Statistics
  • Politics
  • Essay
  • First Published

    SEP 2024

    রাজনীতির জগতে আমার নড়াচড়া ৬৫ বছর হয়ে গেলো। বাল্য বয়সে, ভারতের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনের সময়ে (১৯৫৭) “ভোট দেবেন কি সে, কাস্তে ধানের শিষে” - শ্লোগান দিয়ে, কাঁধে লাল ঝাণ্ডা নিয়ে মিছিলে হাঁটার মধ্যে দিয়ে এই যাত্রা শুরু। বাংলার প্রতি ভালোবাসা এবং লালঝাণ্ডা সম্পর্কে শ্রদ্ধা, আমার জন্মসূত্রে পাওয়া। বাংলার প্রতি আবেগ এবং কাঁধের লালঝাণ্ডা, আজও অমলিন আছে। কিন্তু বহু স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে! - ১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলন থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঘটনাবলীর আমি সাক্ষী। ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকহাজার বঙ্গবাসীর মৃত্যু; জেলের মধ্যে দলে দলে বিচারাধীন বন্দিকে খুন; হাজার হাজার বন্দিকে বছরের পর বছর কারাবন্দি করে রাখা; সবই “স্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ”-র (!) বুকে ঘটতে দেখেছি। কিন্তু একজন শোষক পুঁজিপতিকে কিংবা শোষক ভূস্বামীকে, অর্থাৎ যাদের শোষণ ও অত্যাচার যুগ যুগ ধরে সীমাহীন সংখ্যক মানুষের মৃত্যু আর জীবনযন্ত্রণার কারণ, তাদের কোনও শাসক স্পর্শও করলো না! ঝাণ্ডার রঙে ফারাক থাকলেও, এ'ব্যাপারে শাসকদের মধ্যে কোনও তফাৎ থাকে না। পরবর্তীকালে খেয়াল করলাম: রক্তে ভেজা, ঘামে সিক্ত, শ্রমিক। তথা শ্রমজীবী মানুষ কেউই কখনও 'শাসক' হয় না। বিলেতে বা বিদেশে শিক্ষিত”,উচ্চবর্ণের কিংবা উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ্যবাদী নেতা- নেত্রীরাই ‘শাসক' হ’ন। ফলে বাংলার জল-কাদা-তেল-কালি, বাঙালি সংস্কৃতি ও জনমানসের সঙ্গে এদের কোনও প্রত্যক্ষ আত্মিক সম্পর্কই নেই। জনসমাজ বাঁচলো কিংবামরলো, তা নিয়ে এঁরা কখনোই গভীরভাবে চিন্তিত হয় না। শোষক রাষ্ট্রযন্ত্র ঠিক ঠাক থাকলো কিনা, সেটা দেখভাল করাই এঁদের 'সাংবিধানিক কর্তব্য'। সেজন্যই রাষ্ট্রের দরকার পাহারাদার সরকার; আর সরকার চালাবার জন্য সংসদীয় দলগুলোর প্রয়োজন আপোষকামী নেতা-নেত্রী। সংসদীয় রাজনীতির সবকিছু সেই হিসেবেই চলে। শাসিত জনগণের স্বার্থ নিয়ে সংসদীয় দলের নেতৃত্বের এবং শাসক মোড়লদের কোনোদিনই মাথাব্যথা থাকে না।
    No Specifications