Skip to Content
ভারতে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস : লামা তারনাথ বিরচিত

Price:

700.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

ভারতে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস : লামা তারনাথ বিরচিত

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/15020/image_1920?unique=531b500

700.00 ৳ 700.0 BDT 700.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বৌদ্ধধর্ম অস্তিত্ব মূলত বুদ্ধ গৌতমের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে। বৌদ্ধধর্মের সূত্রপাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অব্দি ছড়িয়ে পরে। বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস নানা ধরনের ভাববাদি আন্দোলনের উন্নয়ন যেমন, থেরবাদ, মহাযান ও বজ্রযানের মতো বৌদ্ধ ধর্মের অন্যান্য শাখার উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়ে চিহ্নিত। বৌদ্ধ ধর্ম পূর্বে গাঙ্গেয় উপত্যকায় কেন্দ্রীভূত থাকলেও পরে এই প্রাচীন ভূ-খণ্ড থেকে বৌদ্ধ ধর্ম অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতি গঠিত হয় বুদ্ধের পরিনির্বাণ লাভের পর। খৃষ্ট-পূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে মহাকাশ্যপ নামক বুদ্ধের একজন কাছের শিষ্যের তত্বাবধানে এবং রাজ্য অজাতশত্রুর সমর্থনে এই প্রথম বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয় বৈশালিতে। সম্রাট অশোকের আমলেই বৌদ্ধ ধর্ম ভারতের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পরে। অশোকের স্তম্ভ ও স্তূপ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্যে সম্রাট তাঁর প্রতিনিধিদের ভারতের দক্ষিণের দিকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত, পশ্চিমের গ্রীক-সাম্রাজ্যে, বিশেষ করে প্রতিবেশী গ্রিক-ব্যাক্লিয় রাজ্য এবং সম্ভবত ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। সম্রাট অশোক খৃষ্ট-পূর্ব ২৫০ অব্দে পাটলিপুত্রে (বর্তমান ভারতের বিহার অঙ্গরাজ্যের রাজধানী পাটনায়) ৩য় বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতির তত্বাবধান করেছিলেন মোলিপুত্র তিষ্য। তৃতীয় মহাসঙ্গীতির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ মিশনারী পৃথিবীর অন্যত্র প্রচার হতে থাকে। বেশ কয়েকজন পণ্ডিতদের মতে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কৃষ্ণা নদীর অববাহিকায় বসবাসরত মহাসাংঘিক নামক এক প্রাচীন আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্রের আবির্ভাব হয়েছিল যা প্রাচীন মহাযানের সূত্রগুলোর মধ্যে একটি। চতুর্থ মহাসঙ্গীতির উদ্ভব হয় খৃষ্ট-পরবর্তী ১০০ শতকে, কুষাণ সাম্রাজ্যের সম্রাট কণিষ্কের তত্ত্বাবধানে। চতুর্থ মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয় বর্তমানে কাশ্মীরের জলন্ধর স্থানে। খেরবাদ বৌদ্ধ শাখা প্রায় ৪০০ বছর আগে শ্রীলঙ্কাতে পালি ভাষায় তাদের চতুর্থ মহাসঙ্গীতির আয়োজন করেছিল। ভারতের কুষাণ সাম্রাজ্যের সমাপ্তির পর বৌদ্ধ ধর্ম গুপ্ত সাম্রাজ্যে (খৃষ্ট-পরবর্তী ৪র্থ থেকে - ৫ম শতাব্দী) বিকশিত হতে থাকে। সেই সময়ে ভারতের বর্তমান বিহার প্রদেশের নালন্দায় মহাযান শাখার অধ্যয়নের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। নালন্দায় প্রতিষ্ঠিত মহাযান শাখার এই বৌদ্ধ-অধ্যয়ন কেন্দ্রটি বহু শতাব্দি ধরে বৃহত্তর ও প্রভাবশালী বৌদ্ধ-বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল এবং নাগার্জুনের মতো বৌদ্ধ পণ্ডিত ছিল উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। উত্তর ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতনের মাইলফলক তখনই ঘটেছিল, যখন ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে তুর্কি আক্রমণকারি ও মুসলিম যোদ্ধা বখতিয়ার খিলজি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন। দ্বাদশ শতাব্দির শেষের দিকে বিহারে মুসলিম শাসন পাকাপোক্ত হওয়ার পর থেকে মধ্য ভারতে বৌদ্ধ ধর্ম বিলুপ্ত হতে থাকে এবং অনেক বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাসীরা সেই সময় ভারতের একেবারে উত্তরের দিকে অর্থাৎ হিমালয়ের অঞ্চলগুলোতে এবং একেবারে দক্ষিণে শ্রীলঙ্কার দিকে স্থানান্তরিত হতে থাকে। পাশাপাশি ভারতবর্ষে সেই সময় অদ্বৈত মতবাদ ও ভক্তি আন্দোলনের পুনরুত্থানের এবং সুফিবাদের আগমনের ফলে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব হ্রাস পায়। রাজসভাসদ্বর্গ কর্তৃক বজ্রযান ও শৈব ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতার ফলশ্রুতিতে বজ্রযান বৌদ্ধ শাখার অনেকগুলো শ্রেণীর উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল। মঞ্জুশ্রীকল্প নামক গ্রন্থ যেটি পরবর্তীতে ক্রিয়াতন্ত্রের অধীনভুক্ত হয়। বজ্রযান শাখার ভিক্ষু মঞ্জুশ্রী বাকি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিভিন্ন মন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছিল। পদ্মব্রজের গুহ্যসিদ্ধি, যেটি গুহ্যসমাজতন্ত্রের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত, সেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শৈব-গুরু হিসেবে কাজ করার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং শিষ্যদের মধ্যে শৈব সিদ্ধান্ত গ্রন্থের প্রবর্তিত করতেও দেখা যায়।

Title

ভারতে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস : লামা তারনাথ বিরচিত

Publisher

Sopan

Number of Pages

245

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Buddhism
  • First Published

    JAN 2022

    বৌদ্ধধর্ম অস্তিত্ব মূলত বুদ্ধ গৌতমের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে। বৌদ্ধধর্মের সূত্রপাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অব্দি ছড়িয়ে পরে। বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস নানা ধরনের ভাববাদি আন্দোলনের উন্নয়ন যেমন, থেরবাদ, মহাযান ও বজ্রযানের মতো বৌদ্ধ ধর্মের অন্যান্য শাখার উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়ে চিহ্নিত। বৌদ্ধ ধর্ম পূর্বে গাঙ্গেয় উপত্যকায় কেন্দ্রীভূত থাকলেও পরে এই প্রাচীন ভূ-খণ্ড থেকে বৌদ্ধ ধর্ম অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতি গঠিত হয় বুদ্ধের পরিনির্বাণ লাভের পর। খৃষ্ট-পূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে মহাকাশ্যপ নামক বুদ্ধের একজন কাছের শিষ্যের তত্বাবধানে এবং রাজ্য অজাতশত্রুর সমর্থনে এই প্রথম বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয় বৈশালিতে। সম্রাট অশোকের আমলেই বৌদ্ধ ধর্ম ভারতের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পরে। অশোকের স্তম্ভ ও স্তূপ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্যে সম্রাট তাঁর প্রতিনিধিদের ভারতের দক্ষিণের দিকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত, পশ্চিমের গ্রীক-সাম্রাজ্যে, বিশেষ করে প্রতিবেশী গ্রিক-ব্যাক্লিয় রাজ্য এবং সম্ভবত ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। সম্রাট অশোক খৃষ্ট-পূর্ব ২৫০ অব্দে পাটলিপুত্রে (বর্তমান ভারতের বিহার অঙ্গরাজ্যের রাজধানী পাটনায়) ৩য় বৌদ্ধ মহাসঙ্গীতির তত্বাবধান করেছিলেন মোলিপুত্র তিষ্য। তৃতীয় মহাসঙ্গীতির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ মিশনারী পৃথিবীর অন্যত্র প্রচার হতে থাকে। বেশ কয়েকজন পণ্ডিতদের মতে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কৃষ্ণা নদীর অববাহিকায় বসবাসরত মহাসাংঘিক নামক এক প্রাচীন আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্রের আবির্ভাব হয়েছিল যা প্রাচীন মহাযানের সূত্রগুলোর মধ্যে একটি। চতুর্থ মহাসঙ্গীতির উদ্ভব হয় খৃষ্ট-পরবর্তী ১০০ শতকে, কুষাণ সাম্রাজ্যের সম্রাট কণিষ্কের তত্ত্বাবধানে। চতুর্থ মহাসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয় বর্তমানে কাশ্মীরের জলন্ধর স্থানে। খেরবাদ বৌদ্ধ শাখা প্রায় ৪০০ বছর আগে শ্রীলঙ্কাতে পালি ভাষায় তাদের চতুর্থ মহাসঙ্গীতির আয়োজন করেছিল। ভারতের কুষাণ সাম্রাজ্যের সমাপ্তির পর বৌদ্ধ ধর্ম গুপ্ত সাম্রাজ্যে (খৃষ্ট-পরবর্তী ৪র্থ থেকে - ৫ম শতাব্দী) বিকশিত হতে থাকে। সেই সময়ে ভারতের বর্তমান বিহার প্রদেশের নালন্দায় মহাযান শাখার অধ্যয়নের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। নালন্দায় প্রতিষ্ঠিত মহাযান শাখার এই বৌদ্ধ-অধ্যয়ন কেন্দ্রটি বহু শতাব্দি ধরে বৃহত্তর ও প্রভাবশালী বৌদ্ধ-বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল এবং নাগার্জুনের মতো বৌদ্ধ পণ্ডিত ছিল উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। উত্তর ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতনের মাইলফলক তখনই ঘটেছিল, যখন ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে তুর্কি আক্রমণকারি ও মুসলিম যোদ্ধা বখতিয়ার খিলজি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন। দ্বাদশ শতাব্দির শেষের দিকে বিহারে মুসলিম শাসন পাকাপোক্ত হওয়ার পর থেকে মধ্য ভারতে বৌদ্ধ ধর্ম বিলুপ্ত হতে থাকে এবং অনেক বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাসীরা সেই সময় ভারতের একেবারে উত্তরের দিকে অর্থাৎ হিমালয়ের অঞ্চলগুলোতে এবং একেবারে দক্ষিণে শ্রীলঙ্কার দিকে স্থানান্তরিত হতে থাকে। পাশাপাশি ভারতবর্ষে সেই সময় অদ্বৈত মতবাদ ও ভক্তি আন্দোলনের পুনরুত্থানের এবং সুফিবাদের আগমনের ফলে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব হ্রাস পায়। রাজসভাসদ্বর্গ কর্তৃক বজ্রযান ও শৈব ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতার ফলশ্রুতিতে বজ্রযান বৌদ্ধ শাখার অনেকগুলো শ্রেণীর উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল। মঞ্জুশ্রীকল্প নামক গ্রন্থ যেটি পরবর্তীতে ক্রিয়াতন্ত্রের অধীনভুক্ত হয়। বজ্রযান শাখার ভিক্ষু মঞ্জুশ্রী বাকি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিভিন্ন মন্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছিল। পদ্মব্রজের গুহ্যসিদ্ধি, যেটি গুহ্যসমাজতন্ত্রের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত, সেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শৈব-গুরু হিসেবে কাজ করার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং শিষ্যদের মধ্যে শৈব সিদ্ধান্ত গ্রন্থের প্রবর্তিত করতেও দেখা যায়।
    No Specifications