ইগলের চোখ

পুরো বাংলাদেশকে কে দেখেন ইগল পাখির চোখে? কার দৃষ্টি এতো সুতীক্ষ্ণ? তাঁকে নিয়েই প্রথম গল্প ইগলের চোখ ।ভেঙে পড়ছি আমরা ধীরে ধীরে গল্পে আমাদের চারপাশের ঘুণেধরা সম্পর্কগুলোরই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। সাহসী ছোটগল্পের নাম মেনোপজ।মা ও ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লিতে, এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না- এ দুটি গল্পই সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। মূর্খ মেয়েটি অধ্যাপককে ভালোবেসেছিল একজন অধ্যাপকের ব্যক্তিগত জীবনের কথা। সমাজের উঁচু থেকে নিচু তলার নারীদের ইচ্ছে অবদমনের গল্প অপরাধবোধ। আয়েশি শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত আমাদের সময় কি হয় শরণার্থীদের কথা স্মরণের? এ নিয়েই গল্প পত্রিকার হেডলাইন ।একজন নিভৃত লেখক ও তার তরুণ পাঠকের মনস্তাত্ত্বিক গল্প লেখক তোমায় ভালোবাসি ।বৈচিত্র্যপূর্ণ ৯টি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে ইগলের চোখ-এর ক্যানভাস। লেখকের সাবলীল ভাষ্যের জন্য পাঠককে এক গল্প থেকে আরেক গল্পে যেতে তাড়িত করবে । বইয়ের নামভূমিকার গল্পটি পাঠককে বিভিন্ন আঙ্গিকে ভাবতে সাহায্য করবে, যেভাবে আগে হয়তো কখনো ভাবেনি ।ছোট গল্পের যে আমেজ তা-এই গ্রন্থে চিত্রিত হয়েছে সুনিপুনভাবে । গল্প পাঠ শেষে যে আক্ষেপ তৈরি হবে—সেটাই এ গ্রন্থকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।