Skip to Content
সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড

Price:

400.00 ৳


মিনি বিশ্বকোষ পাখি
মিনি বিশ্বকোষ পাখি
600.00 ৳
750.00 ৳ (20% OFF)
Time Riders : The Eternal War
Time Riders : The Eternal War
621.00 ৳
690.00 ৳ (10% OFF)

সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/16334/image_1920?unique=5da0682

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

সোনারগাঁও বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীন জনপদ। ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সমৃদ্ধ পুষ্প-পল্লব বৃক্ষরাজি শোভিত নদীনালা পরিবেষ্টিত অঞ্চল সোনারগাঁও। পৌরাণিক সূত্রমতে সোনারগাঁও প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন জনপদ। সোনারগাঁওয়ের রাজসিকতা পর্যটকদের স্মৃতিচারণ ও কিংবদন্তিতে চিরভাস্বর। শূর, পাল, দেবরাজাদের সময় এবং ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে সোনারগাঁও বাংলার রাজধানী ছিল। মসলিনখ্যাত নগরী হিসেবে সোনারগাঁওয়ের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। লোকজ ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশের চারণভূমি সোনারগাঁও। ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারনেই এদেশের মাটি ও মানুষের শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন সময়ে এখানে রাজাধিরাজ-রাজড়া, রাজক, পরিব্রাজক-পর্যটকের রাজকীয় পদচারণা ঘটে । সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার রাজধানী থাকায় শুভাগমন করেন সুফি, সাধক, পীর-মাশায়েখ, যোগী মুনী-ঋষী প্রমুখ। তাঁদের হাতেগড়া বহু কীর্তি সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে সোনারগাঁও এক গুরুত্বপুর্ণ পীঠস্থান। প্রাচীন রাজধানী শহরকে জাগ্রত করতেই সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড প্রকাশ । এটি অনুসন্ধিৎসু ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষের জন্য সোনারগাঁওয়ের স্থাপত্যশৈলী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মের সেতু বন্ধনের আলোকবর্তীকা । ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মৃতিধন্য এ জনপদে বিচরণে যারা রোমাঞ্চিত হতে চান তাদের জন্য সামান্য নিবেদন। সোনারগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে থাকা ইতিহাসের মূল্যবান নান্দনিক স্থাপত্যের নিদর্শন অবলোকনে ভ্রমণপিপাসুদের অনুরোধ জানাই । সোনারগাঁওয়ের বিলুপ্তপ্রায় স্থাপত্যশৈলী জাগরুক ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অম্লান রাখতে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। বাংলার সোনালি যুগের ঝর্ণাধারায় অবগাহন, স্থাপত্যকলার বিস্মৃতপ্রায় গোধূলিপথকে প্রদীপের উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটায় আলোকিত করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বইটির প্রকাশ। সোনারগাঁওয়ের মনোলোভা স্থাপত্যশৈলী পরিদর্শন করতে অপরিচিতির কারণে অনেককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কাঙ্ক্ষিত নিদর্শন অবলোকনে কেউ কেউ ব্যর্থও হন। এসব বিবেচনা করে পেশাগত সীমাবদ্ধতার মাঝেও লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার পরিণত প্রকাশ সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড। আমার লেখাটি সমাদৃত হলে শ্রম সার্থক হবে। সোনারগাঁও বাঙালির গর্ব। এই গর্বকে অম্লান রাখার প্রচেষ্টা সবার জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব বলে প্রতীতি ।

এ কে এম মুজাম্মিল হক

এ কে এম মুজাম্মিল হক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী। সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যানুসন্ধান এবং লোকশিল্প ও কারুশিল্পের উপাদান নিয়ে কাজ করে আসছেন। সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমীক্ষাধর্মী সাংস্কৃতিক গবেষণায় নিবেদিত প্রাণ। লেখালেখির হাতেখড়ি জাতীয় পত্রিকায় ফিচার লেখার মাধ্যমে। মানসিক প্রশান্তিতেই লেখালেখিতে জড়িয়ে পড়া। সেই সুবাদে দক্ষতার সাথে বালোকাফার গবেষণা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শাহবাগ ঢাকায় প্রথম কর্মজীবন। আর সোনারগাঁও জাদুঘরে গাইড লেকচারার- পিআরও হিসেবে। নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি লাইব্রেরিয়ান এবং গবেষণা অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন গবেষণাধর্মী একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর জনসংযোগের দায়িত্ব পালনে প্রচুর পড়াশুনার সুযোগ হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি লিখেছেন দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক সমকাল, আমাদের সময়, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক দেশ জনতা, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক বর্তমানসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন থেকে তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ঐতিহাসিক সোনারগাঁ HISTORICAL SONARGAON এবং ব্যক্তিগতভাবে সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক অসংখ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। তার সম্পাদনায় গতিধারা থেকে সুবর্ণগ্রামের ইতিহাস গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পারিবারিক : ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে লেখক এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা আলহাজ মেহেরুন নেসা খানম, পিতা আলহাজ মো. আবদুল গফুর খান। মিসেস নাজনীন হক নীরা সহধর্মিণী, কেএম নাজমুল হক প্রিন্স প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান। ক্ষণিকের নীড় : সোনারগাঁও ভিলা, বিনোদপুর, রাজবাড়ি পৌরসভা, রাজবাড়ি। তিনি সোনারগাঁও জাদুঘরের একজন অফিসার।

Title

সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড

Author

এ কে এম মুজাম্মিল হক

Publisher

Gatidhara

Number of Pages

195

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Travelogue
  • First Published

    JAN 2023

    সোনারগাঁও বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীন জনপদ। ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সমৃদ্ধ পুষ্প-পল্লব বৃক্ষরাজি শোভিত নদীনালা পরিবেষ্টিত অঞ্চল সোনারগাঁও। পৌরাণিক সূত্রমতে সোনারগাঁও প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন জনপদ। সোনারগাঁওয়ের রাজসিকতা পর্যটকদের স্মৃতিচারণ ও কিংবদন্তিতে চিরভাস্বর। শূর, পাল, দেবরাজাদের সময় এবং ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে সোনারগাঁও বাংলার রাজধানী ছিল। মসলিনখ্যাত নগরী হিসেবে সোনারগাঁওয়ের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। লোকজ ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশের চারণভূমি সোনারগাঁও। ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারনেই এদেশের মাটি ও মানুষের শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন সময়ে এখানে রাজাধিরাজ-রাজড়া, রাজক, পরিব্রাজক-পর্যটকের রাজকীয় পদচারণা ঘটে । সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার রাজধানী থাকায় শুভাগমন করেন সুফি, সাধক, পীর-মাশায়েখ, যোগী মুনী-ঋষী প্রমুখ। তাঁদের হাতেগড়া বহু কীর্তি সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে সোনারগাঁও এক গুরুত্বপুর্ণ পীঠস্থান। প্রাচীন রাজধানী শহরকে জাগ্রত করতেই সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড প্রকাশ । এটি অনুসন্ধিৎসু ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষের জন্য সোনারগাঁওয়ের স্থাপত্যশৈলী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মের সেতু বন্ধনের আলোকবর্তীকা । ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মৃতিধন্য এ জনপদে বিচরণে যারা রোমাঞ্চিত হতে চান তাদের জন্য সামান্য নিবেদন। সোনারগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে থাকা ইতিহাসের মূল্যবান নান্দনিক স্থাপত্যের নিদর্শন অবলোকনে ভ্রমণপিপাসুদের অনুরোধ জানাই । সোনারগাঁওয়ের বিলুপ্তপ্রায় স্থাপত্যশৈলী জাগরুক ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অম্লান রাখতে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। বাংলার সোনালি যুগের ঝর্ণাধারায় অবগাহন, স্থাপত্যকলার বিস্মৃতপ্রায় গোধূলিপথকে প্রদীপের উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটায় আলোকিত করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বইটির প্রকাশ। সোনারগাঁওয়ের মনোলোভা স্থাপত্যশৈলী পরিদর্শন করতে অপরিচিতির কারণে অনেককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কাঙ্ক্ষিত নিদর্শন অবলোকনে কেউ কেউ ব্যর্থও হন। এসব বিবেচনা করে পেশাগত সীমাবদ্ধতার মাঝেও লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার পরিণত প্রকাশ সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড। আমার লেখাটি সমাদৃত হলে শ্রম সার্থক হবে। সোনারগাঁও বাঙালির গর্ব। এই গর্বকে অম্লান রাখার প্রচেষ্টা সবার জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব বলে প্রতীতি ।
    No Specifications